তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। ইহকাল ও পরকালে তাঁরই প্রশংসা। বিধান তাঁরই ক্ষমতাধীন এবং তোমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।
And He is Allâh; Lâ ilâha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He). His is all praise, in the first (i.e. in this world) and in the last (i.e.in the Hereafter). And for Him is the Decision, and to Him shall you (all) be returned.
وَهُوَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ لَهُ الْحَمْدُ فِي الْأُولَى وَالْآخِرَةِ وَلَهُ الْحُكْمُ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
Wahuwa Allahu la ilaha illa huwa lahu alhamdu fee al-oola waal-akhirati walahu alhukmu wa-ilayhi turjaAAoona
YUSUFALI: And He is Allah: There is no god but He. To Him be praise, at the first and at the last: for Him is the Command, and to Him shall ye (all) be brought back.
PICKTHAL: And He is Allah; there is no Allah save Him. His is all praise in the former and the latter (state), and His is the command, and unto Him ye will be brought back.
SHAKIR: And He is Allah, there is no god but He! All praise is due to Him in this (life) and the hereafter, and His is the judgment, and to Him you shall be brought back.
KHALIFA: He is the one GOD; there is no other god beside Him. To Him belongs all praise in this first life, and in the Hereafter. All judgment belongs with Him, and to Him you will be returned.
৭০। এবং তিনি আল্লাহ্। তিনি ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই। [সৃষ্টির ] আদিতে এবং অন্তে – সকল প্রশংসা তারই। বিধান তারই। তোমাদের [ সকলকে ] তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তিত করা হবে।
৭১। বল : ” তোমরা কি চিন্তা করে দেখেছ ? আল্লাহ্ যদি রাত্রিকে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত চিরস্থায়ী করতেন, তবে আল্লাহ্ ব্যতীত এমন কোন উপাস্য আছে কি যে তোমাদের আলোকসম্পাত করতে পারতো ? তবুও কি তোমরা শুনবে না ? ৩৩৯৯
৩৩৯৯। এই আয়াতগুলির মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহ সমূহকে তুলে ধরা হয়েছে। কত সুক্ষ ও গভীর ভাবে মানুষের অনুভূতি ও উপলব্ধিকে জাগরিত করার প্রয়াস হয়েছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা দিবারাত্রের পর্যায়ক্রমে অভ্যস্ত। কিন্তু এর মাঝে যে আল্লাহ্র অনুগ্রহ রয়েছে তা কখনও অনুভব করি না, হৃদয়ঙ্গম করি না। দিন হচ্ছে আমাদের দিবসের কাজের জন্য নির্ধারিত আর রাত্রি বিশ্রামের জন্য। যদি ধরাপৃষ্ঠে কোনও দিনের আভির্ভাব না ঘটতো, রাত্রি যদি অনাদি অনন্তকাল ব্যপী দীর্ঘ হতো তবে আমাদের কি পরিণতি ঘটতো ? আমাদের সকল বুদ্ধি , অনুভব ক্ষমতা হারিয়ে যেতো। আমরা মাটির নীচের অন্ধকার জীবে পরিণত হতাম। সারা পৃথিবী বৃক্ষলতা শূন্য বিরান ভূমিতে পরিণত হতো। দিনের পৃথিবীর সৌন্দর্য্য , অনুভব জীবন থেকে হারিয়ে যেতো। আমাদের সকল মানসিক দক্ষতা নষ্ট হয়ে যেতো, আবার যদি রাত্রির আগমন না ঘটে পৃথিবীতে শুধুই দিন থাকতো , তবে দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের শেষে গভীর সুপ্তির কোলে বিশ্রাম ঘটতো না। ফলে ক্লান্তি ধীরে ধীরে আমাদের গ্রাস করে ফেলতো , আমাদের কর্মক্ষমতা হারিয়ে যেতো। পৃথিবী ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ না পেয়ে মাটি প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে যেতো ফলে পৃথিবী বৃক্ষলতা শূন্য হয়ে জীবনের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন হতো। দিনরাত্রির পর্যায়ক্রমের ফলে আমাদের প্রতিদিনের জীবন হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত সমৃদ্ধ ও সুখী। এ ভাবেই আমরা আমাদের পৃথিবীর শিক্ষানবীশ কালকে সমাপ্ত করে পরলোকের স্থায়ী জীবনের জন্য প্রস্তুত হতে পারি। আমাদের আধ্যাত্মিক জীবনের সমৃদ্ধিও দিন রাত্রির প্রতিদিনের ন্যায় পর্যায়ক্রমে গঠিত হয়। আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধির জন্য চেষ্টাও ক্রমাগত ধারাবাহিক ভাবে চলতে পারে না। কখনও তা সক্রিয় কখনও তা নিষ্ক্রিয় থাকে। পৃথিবীতে আল্লাহ্ র নির্দ্দেশিত পথে পূত পবিত্র জীবন যাপনের মাধ্যমে আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি ঘটে, তবে মাঝে মাঝে ক্ষণস্থায়ী ঘটনা প্রবাহ বাঁধার সৃষ্টি করে বিশ্রামের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। পৃথিবীর ইতিহাসেও আমরা দেখি আল্লাহ্র নবী রসুলদের আগমনে পৃথিবীতে তীব্র আধ্যাত্মিক আলোড়নের সৃষ্টি হয় পৃথিবী উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে স্বর্গীয় আলোয়। আবার এমন সময় আসে যখন পৃথিবী আত্মিক আলো বিহীন হয়ে পাপের অন্ধকারে ডুবে যায় [ অন্ধকার যুগ ]। এ সবই ঘটে থাকে পর্যায়ক্রমে।তবে এ কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, এ সবই হচ্ছে আল্লাহ্র পরিকল্পনার অংশ মাত্র। তাঁর জ্ঞান, বিচক্ষণতা ও দয়া, তুলনাহীন, যা শুধুমাত্র পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত প্রযোজ্য। এরপরে সৃষ্টি হবে নূতন পৃথিবী নূতন আঙ্গিকে , নূতন আইনে।