1 of 3

028.052

কোরআনের পূর্বে আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা এতে বিশ্বাস করে।
Those to whom We gave the Scripture [i.e. the Taurât (Torah) and the Injeel (Gospel), etc.] before it, – they believe in it (the Qur’ân).

الَّذِينَ آتَيْنَاهُمُ الْكِتَابَ مِن قَبْلِهِ هُم بِهِ يُؤْمِنُونَ
Allatheena ataynahumu alkitaba min qablihi hum bihi yu/minoona

YUSUFALI: Those to whom We sent the Book before this,- they do believe in this (revelation):
PICKTHAL: Those unto whom We gave the Scripture before it, they believe in it,
SHAKIR: (As to) those whom We gave the Book before it, they are believers in it.
KHALIFA: Those whom we blessed with the previous scriptures will believe in this.

৫২। এর পূর্বে যাদের আমি কিতাব প্রেরণ করেছিলাম , তারা এই [ প্রত্যাদেশ ] বিশ্বাস করে।

৫৩। এবং ইহা তাদের নিকট আবৃত্তি করা হয়, তারা বলে, ” আমরা ইহাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম , নিশ্চয়ই ইহা আমাদের প্রভুর প্রেরিত সত্য। আমরা তো ইহার পূর্বেও মুসলমান [আল্লাহ্‌র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পনকারী ] ছিলাম।” ৩৩৮৫।

৩৩৮৫। কোরাণ যখন অবতীর্ণ হয়, কিছু সংখ্যক খৃষ্টান ও ইহুদী ছিলো যারা হযরত মুহম্মদের [সা ] প্রচারিত ইসলাম ধর্মকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলো। তারাঁ বুঝতে পেরেছিলো যে, ইসলাম ধর্ম এবং কোরাণের প্রত্যাদেশ হচ্ছে পূর্ববর্তী ঐশী প্রত্যাদেশ সমূহের যুক্তিসঙ্গত ধারাবাহিকতা। এটা কোনও নূতন ধর্ম নয়। সুতারাং তারা শুধু ইসলামকে অভিনন্দনই জানান নাই, তারা সানন্দে ইসলাম গ্রহণ করেন। এদের কথাই উপরের আয়াতে বলা হয়েছে , যারা বলেছিলেন , ” আমরা ইহাতে ঈমান আনি, ইহা আমাদিগের প্রতিপালক হইতে আগত সত্য। আমরা তো পূর্বেও আত্মসমর্পনকারী ছিলাম।” আত্মসমর্পনকারী অর্থাৎ ইসলামে বিশ্বাসী। ইহুদীদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে সালাত [ রাঃ ] ও অন্যান্য এবং আবিসিনিয়ার কিছু খৃষ্টান ইসলাম গ্রহণ করেন। এদের সম্বন্ধেই এই আয়াতে বলা হয়েছে।

তাঁরা সঠিকভাবেই দাবী করেছিলেন যে, তারা পূর্বেও মুসলিম ছিলেন। সে হিসেবে হযরত আদম , নূহ্‌, ইব্রাহীম, মুসা এবং যীশুখৃষ্ট সকলেই মুসলমান ছিলেন। যদিও এই আয়াতে এদের সম্পর্কেই বলা হয়েছে ,কিন্তু এর আবেদন সার্বজনীন। এই আয়াতের বক্তব্য তখনও প্রযোজ্য ছিলো এখনও প্রযোজ্য আছে। কারণ তাওরাত ও ইঞ্জিলের যে শিক্ষা সে শিক্ষাও হচ্ছে ইসলাম। তবে সময়ের ব্যবধানে মানুষ তাওরাত ও ইঞ্জিলের শিক্ষাকে বিকৃত করে ফেলেছে। ফলে বর্তমানে যে গ্রন্থ আছে তা হযরত মুসা ও ঈসার গ্রন্থের প্রকৃত রূপ নয়। যদি কেউ প্রকৃত পক্ষেই তাওরাত ও ইঞ্জিলের শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে তবে সে অবশ্যই রসুলুল্লাহ্‌ [ সা ] ও তার নিকট প্রেরিত প্রত্যাদেশকে সনাক্ত করতে সক্ষম হবে।