অতঃপর বালিকাদ্বয়ের একজন লজ্জাজড়িত পদক্ষেপে তাঁর কাছে আগমন করল। বলল, আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যাতে আপনি যে আমাদেরকে পানি পান করিয়েছেন, তার বিনিময়ে পুরস্কার প্রদান করেন। অতঃপর মূসা যখন তাঁর কাছে গেলেন এবং সমস্ত বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন, তখন তিনি বললেন, ভয় করো না, তুমি জালেম সম্প্রদায়ের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছ।
Then there came to him one of the two women, walking shyly. She said: ”Verily, my father calls you that he may reward you for having watered (our flocks) for us.” So when he came to him and narrated the story, he said: ”Fear you not. You have escaped from the people who are Zâlimûn (polytheists, disbelievers, and wrong-doers).”
فَجَاءتْهُ إِحْدَاهُمَا تَمْشِي عَلَى اسْتِحْيَاء قَالَتْ إِنَّ أَبِي يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا فَلَمَّا جَاءهُ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَ قَالَ لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
Fajaat-hu ihdahuma tamshee AAala istihya-in qalat inna abee yadAAooka liyajziyaka ajra ma saqayta lana falamma jaahu waqassa AAalayhi alqasasa qala la takhaf najawta mina alqawmi alththalimeena
YUSUFALI: Afterwards one of the (damsels) came (back) to him, walking bashfully. She said: “My father invites thee that he may reward thee for having watered (our flocks) for us.” So when he came to him and narrated the story, he said: “Fear thou not: (well) hast thou escaped from unjust people.”
PICKTHAL: Then there came unto him one of the two women, walking shyly. She said: Lo! my father biddeth thee, that he may reward thee with a payment for that thou didst water (the flock) for us. Then, when he came unto him and told him the (whole) story, he said: Fear not! Thou hast escaped from the wrongdoing folk.
SHAKIR: Then one of the two women came to him walking bashfully. She said: My father invites you that he may give you the reward of your having watered for us. So when he came to him and gave to him the account, he said: Fear not, you are secure from the unjust people.
KHALIFA: Soon, one of the two women approached him, shyly, and said, “My father invites you to pay you for watering for us.” When he met him, and told him his story, he said, “Have no fear. You have been saved from the oppressive people.”
২৫। তৎপর [তরুণীদ্বয়ের ] একজন লজ্জ্বা-জড়িত চরণে তাঁর নিকট ফিরে এলো। সে বলেছিলো, ” আমার পিতা আপনাকে আমন্ত্রণ করেছেন; আমাদের [ মেষপালকে ] আমাদের পক্ষ থেকে পানি পান করানোর পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য ৩৩৫৩।” সুতারাং যখন সে [ মুসা ] তার নিকট এসে সকল বৃত্তান্ত বর্ণনা করলো, সে বললো, ” ভয় পেয়ো না; তুমি অত্যাচারী সম্প্রদায়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছ।” ৩৩৫৪
৩৩৫৩। মুসা যখন সবেমাত্র বিশ্রাম নিচ্ছিলেন , সে সময়ে কুমারীদ্বয়ের একজন লজ্জাবনত চরণে মুসার নিকট আগমন করলেন এবং বিণীতভাবে বললেন : ” আপনি আমাদের জন্য যা করেছেন, তার জন্য আমার পিতা আপনার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের জন্য এবং পারিশ্রমিক দেবার জন্য ডেকেছেন।”
৩৩৫৪। হযরত মুসা এই আমন্ত্রণকে সুস্বাগত জানালেন – বিশেষভাবে আমন্ত্রণের র্বাতা যিনি বহন করে এনেছিলেন। হযরত মুসার সে সময়কার অবস্থার তুলনায় এর থেকে সুখবর আর কি বা হতে পারে ? মুসা বৃদ্ধ লোকটির আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেলেন। নিমন্ত্রণ কর্তা ছিলেন সমৃদ্ধ এবং এক সুশৃঙ্খল সুখী পরিবারের মালিক। পরিবারের সকল সদস্য ও সদস্যারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। তাদের পরস্পরের প্রতি ছিলো বিশ্বাস ও আনুগত্য। সুতারাং তারা যখন নব আগুন্তকের সম্বন্ধে বর্ণনা করেছিলো, তাদের বর্ণনা শুনে তাদের পিতা মুসা সম্বন্ধে পূর্বেই ভালো ধারণা পোষণ করেন এবং তাঁকে তাদের গৃহে সাদর অভ্যর্থনা করেন। আল্লাহ্র পরিকল্পনা সাধারণ মানুষের অগম্য। হয়তো নিমন্ত্রণ পাওয়ার পরে মুসার জগৎ রঙ্গীন স্বপ্নে ভরে যায়। কন্যাদ্বয়ের পিতাকে তিনি মহৎভাবে নিজ হৃদয়ে অঙ্কিত করতে থাকেন এবং কন্যাদ্বয়কে দেবীর ন্যায় হৃদয়ে প্রতিষ্ঠিত করেন। এ সমস্তই আল্লাহ্র পরিকল্পনা। ফলে বৃদ্ধ পিতা ও মুসা দেখা হওয়া মাত্র তৎক্ষণাত বন্ধুতে পরিণত হয়ে যায়। মুসা তাঁকে তাঁর জীবন কাহিনী বিবৃত করেন – তিনি কে ছিলেন, কিভাবে তিনি এখানে এলেন, কি পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জন্মভূমি মিশর ত্যাগে বাধ্য হন – তার সকল দুর্ভাগ্যের পূর্ণ বিবরণ তিনি বৃদ্ধ লোককে বর্ণনা করেন। সম্ভবতঃ বৃদ্ধের সমগ্র পরিবার এই কাহিনী শ্রবণে অংশগ্রহণ করে। অবশ্যই সেখানে বৃদ্ধের কন্যাদ্বয়ও উপস্থিত ছিলো। আমরা কল্পনা করতে পারি এই সুঠাম সুদর্শন যুবকের দুঃসাহসিক অভিযাত্রার কাহিনী শুনতে শুনতে তরুণীদ্বয়ের নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো। চক্ষু বিস্ফোরিত হয়ে যাচ্ছিল এবং তাদের হৃদয় এই যুবকের জন্য সশ্রদ্ধ ভক্তি ও অনুকম্পাতে ভরে যাচ্ছিল। সম্ভবতঃ যে তরুণীটি তাঁকে সঙ্গে করে গৃহে নিয়ে এসেছিলো তাঁর হৃদয়ে এই যুবকের জন্য পূর্বরাগের মৃদু ছোঁয়াতে ভরে যাচ্ছিল।
মোট কথা সমগ্র পরিবার সাদর অভ্যর্থনা দ্বারা মুসাকে তাদের পরিবারে গ্রহণ করে। মুসা সমগ্র পরিবারের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হন। ফলে পরিবারের প্রধান বৃদ্ধ ব্যক্তিটি মুসাকে তাঁর আতিথেয়তা গ্রহণের আমন্ত্রণ জানান এবং বলেন যে, মুসা এখানে সম্পূর্ণ নিরাপদ। বৃদ্ধ পরিবার প্রধান মুসাকে আরও বলেন যে, ” অত্যাচারী জালিমদের মাঝে কে বাস করতে চায় ? এটা খুব ভালো যে তুমি জালিমদের কবল থেকে বেঁচে গেছ।” বৃদ্ধের জীবনের বহু অভিজ্ঞতাই তাকে এই সিদ্ধান্তে আসতে সাহায্য করে।