অতঃপর মূসা তাদের জন্তুদেরকে পানি পান করালেন। অতঃপর তিনি ছায়ার দিকে সরে গেলেন এবং বললেন, হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাযিল করবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।
So he watered (their flocks) for them, then he turned back to shade, and said: ”My Lord! Truly, I am in need of whatever good that You bestow on me!”
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
Fasaqa lahuma thumma tawalla ila alththilli faqala rabbi innee lima anzalta ilayya min khayrin faqeerun
YUSUFALI: So he watered (their flocks) for them; then he turned back to the shade, and said:”O my Lord! truly am I in (desperate) need of any good that Thou dost send me!”
PICKTHAL: So he watered (their flock) for them. Then he turned aside into the shade, and said: My Lord! I am needy of whatever good Thou sendest down for me.
SHAKIR: So he watered (their sheep) for them, then went back to the shade and said: My Lord! surely I stand in need of whatever good Thou mayest send down to me.
KHALIFA: He watered for them, then turned to the shade, saying, “My Lord, whatever provision you send to me, I am in dire need for it.”
২৪। সুতারাং মুসা তাদের [ মেষপালকে ] পানি পান করালো ; অতঃপর সে ছায়াতে ফিরে গিয়ে বললো , ” হে আমার প্রভু ! তোমার যে কোন অনুগ্রহের জন্য আমি প্রকৃতই [ ভীষণভাবে ] কাঙ্গাল। ” ৩৩৫২
৩৩৫২। কুমারীদ্বয় কৃতজ্ঞদৃষ্টি মুসার প্রতি নিক্ষেপ করে ওষ্ঠে মৃদু হাসির রেখা ফুটিয়ে প্রস্থান করলো। তাদের সেই দৃষ্টি , হাসি মুসার হৃদয়ে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করলো ? মুসা তাঁর তৃষ্ণা নিবারণ করে গাছের ছায়াতে বসে আল্লাহ্কে ধন্যবাদ দিলেন। কারণ সুন্দরী কুমারী তরুণীর হৃদয়ের কৃতজ্ঞতা তাঁকে প্রশান্তি এনে দিয়েছিলো। যদিও মুসা সে সময়ে ছিলেন একজন গৃহহীন, ভবঘুরে, কিন্তু তাঁর অশান্ত হৃদয় কারও কোমল স্পর্শের জন্য, সহানুভূতির জন্য হয়ে উঠেছিলো উম্মুখ। হৃদয়ের দিক থেকে এবং বিত্তের দিক থেকে তিনি সে সময়ে ছিলেন প্রায় ভিক্ষুকের সমকক্ষ। সুতারাং কুমারীদ্বয়ের হাসি ও কৃতজ্ঞতা তার কাছে মনে হয়েছিলো অনেক পাওয়া, এবং তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে আল্লাহ্কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মুসার মনে হয়তো বা স্বপ্ন জেগে থাকবে, স্বচ্ছল বৃদ্ধ ব্যক্তি, বিশাল পশুপাল, সর্বপরি যার সুন্দরী নম্র কন্যাদ্বয় আছে, যেখানে সুখের এবং শান্তির কোনও অভাব নাই। যদিও তিনি ধারণা করেছিলেন যে তার মত ভিক্ষুকের পক্ষে এ স্বপ্ন বাতুলতা , সম্ভবতঃ তিনি আর কখনও তাদের দেখবেন না , কিন্তু এসব বাস্তব সত্য তাঁর তরুণ হৃদয়ের আবেগকে,স্বপ্নকে প্রতিহত করতে পারে নাই। হয়তো বা তিনি কল্পনায় স্বচ্ছল বৃদ্ধের সংসারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত দেখতে পেয়েছিলেন, যে কারণে তিনি বলেছিলেন, ” তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবে আমি তার কাঙ্গাল।” অবশ্য আল্লাহ্ তাঁর জন্য চরম বিস্ময় প্রস্তুত করে রেখেছিলেন।