অতঃপর যখন দূত সুলায়মানের কাছে আগমন করল, তখন সুলায়মান বললেন, তোমরা কি ধনসম্পদ দ্বারা আমাকে সাহায্য করতে চাও? আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন, তা তোমাদেরকে প্রদত্ত বস্তু থেকে উত্তম। বরং তোমরাই তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে সুখে থাক।
So when (the messengers with the present) came to Sulaimân (Solomon), he said: ”Will you help me in wealth? What Allâh has given me is better than that which He has given you! Nay, you rejoice in your gift!”
فَلَمَّا جَاء سُلَيْمَانَ قَالَ أَتُمِدُّونَنِ بِمَالٍ فَمَا آتَانِيَ اللَّهُ خَيْرٌ مِّمَّا آتَاكُم بَلْ أَنتُم بِهَدِيَّتِكُمْ تَفْرَحُونَ
Falamma jaa sulaymana qala atumiddoonani bimalin fama ataniya Allahu khayrun mimma atakum bal antum bihadiyyatikum tafrahoona
YUSUFALI: Now when (the embassy) came to Solomon, he said: “Will ye give me abundance in wealth? But that which Allah has given me is better than that which He has given you! Nay it is ye who rejoice in your gift!
PICKTHAL: So when (the envoy) came unto Solomon, (the King) said: What! Would ye help me with wealth? But that which Allah hath given me is better than that which He hath given you. Nay it is ye (and not I) who exult in your gift.
SHAKIR: So when he came to Sulaiman, he said: What! will you help me with wealth? But what Allah has given me is better than what He has given you. Nay, you are exultant because of your present;
KHALIFA: When the hoopoe returned to Solomon (he told him the news), and he responded (to Sheba’s people): “Are you giving me money? What GOD has given me is far better than what He has given you. You are the ones to rejoice in such gifts.”
৩৫।” আমি তার জন্য উপঢৌকন পাঠাচ্ছি , দেখি [ আমার ] দূতেরা কি [ উত্তর ] আনে। ”
৩৬। দূতেরা যখন সুলেমানের নিকট পৌঁছুলো, সে বলেছিলো, ” তোমরা কি আমাকে প্রচুর সম্পদ দিতে চাও ? কিন্তু আল্লাহ্ আমাকে যা দিয়েছেন তা , তিনি তোমাদের যা দিয়েছেন তা থেকে উত্তম। অথচ তোমরাই তোমাদের উপঢৌকন নিয়ে উৎফুল্ল বোধ করছো ৩২৭২।
৩২৭২। বেচারী বিলকিস্ – তাঁর ধারণা ছিলো যে মেয়েলী কৌশল দ্বারা সুলাইমানকে তিনি শান্ত করতে পারবেন, এবং তাঁর যুদ্ধংদেহী মনোভাব সম্পন্ন প্রজাকূলকে নিবৃত করতে পারবেন। কিন্তু রাণীর এই কৌশল সুলাইমানের উপরে উল্টো ভাবে কাজ করেছিলো। তিনি একে অপমান বলে গ্রহণ করলেন। কারণ সুলাইমানের আহ্বান কোনও রাজ্য বিস্তারের আকাঙ্খা ছিলো না। তা ছিলো সত্য ধর্মের প্রতি, এক আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যের আহ্বান। মহত্তর, সত্যের আহ্বানের পরিবর্তে উপঢৌকন , হাস্যকর ব্যাপার বৈকি। তিনি উপঢৌকন প্রত্যাখান করেন এবং বলেন যে, ” এ সব ঝকমকে তুচ্ছ বস্তু তোমাদের হৃদয়ে আনন্দ সঞ্চার করুক। আমার ওসবে প্রয়োজন নাই, কারণ আল্লাহ্ আমাকে জাগতিক প্রচুর ধনসম্পদ দান করেছেন। তা ব্যতীত এমন কিছু দিয়েছেন যা পার্থিব সম্পদের থেকে শ্রেষ্ঠ।” এখানে তিনি আল্লাহ্র হেদায়েতের আলোর কথা বলেছেন।