সে বলল, রাজা বাদশারা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে, তখন তাকে বিপর্যস্ত করে দেয় এবং সেখানকার সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে অপদস্থ করে। তারাও এরূপই করবে।
She said: ”Verily! Kings, when they enter a town (country), they despoil it, and make the most honourable amongst its people low. And thus they do.
قَالَتْ إِنَّ الْمُلُوكَ إِذَا دَخَلُوا قَرْيَةً أَفْسَدُوهَا وَجَعَلُوا أَعِزَّةَ أَهْلِهَا أَذِلَّةً وَكَذَلِكَ يَفْعَلُونَ
Qalat inna almulooka itha dakhaloo qaryatan afsadooha wajaAAaloo aAAizzata ahliha athillatan wakathalika yafAAaloona
YUSUFALI: She said: “Kings, when they enter a country, despoil it, and make the noblest of its people its meanest thus do they behave.
PICKTHAL: She said: Lo! kings, when they enter a township, ruin it and make the honour of its people shame. Thus will they do.
SHAKIR: She said: Surely the kings, when they enter a town, ruin it and make the noblest of its people to be low, and thus they (always) do;
KHALIFA: She said, “The kings corrupt any land they invade, and subjugate its dignified people. This is what they usually do.
রুকু – ৩
৩২। সে বলেছিলো, ” হে পরিষদবর্গ ! আমার এই ব্যাপারে আমাকে পরামর্শ দাও। কোন ব্যাপারে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না, তোমাদের উপস্থিতি ছাড়া।”
৩৩। তারা বলেছিলো, ” আমরা তো শক্তিতে সমৃদ্ধ প্রচন্ড যুদ্ধে পারদর্শী। কিন্তু আপনি হুকুম দেয়ার মালিক। সুতারাং ভেবে বলুন আপনি কি হুকুম দেবেন। ”
৩৪। সে বলেছিলো, ” রাজা-বাদশারা যখন কোন দেশে [ বিজয়ী রূপে ] প্রবেশ করে, তখন সে দেশ লুণ্ঠন করে ৩২৭১। সেখানের মর্যদাবান ব্যক্তিদের লাঞ্ছিত করে। এরাও এরূপই করবে।
৩২৭১। এই আয়াতের মাধ্যমে রাণী বিলকিসের চরিত্রের বিশেষ দিক প্রকাশিত করা হয়েছে। রাণী শাসক হিসেবে ক্ষমতা, ঐশ্বর্য্য ,সম্মান , প্রজাদের আনুগত্য সব কিছুই পূর্ণমাত্রায় ভোগ করছিলেন। কিন্তু তিনি পরিষদদের সাথে আলোচনা ব্যতীত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন না। তাঁর পরিষদবর্গ ছিলো তাঁর একান্ত অনুগত এবং তাঁর আদেশ মানার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। তাঁর প্রজাবর্গ ছিলো সাহসী, অনুগত ও তৃপ্ত। যদিও তাঁরা দেশকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু রাণী বিলকিস সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে ছিলেন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ। তিনি তাঁর দেশকে যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত করতে চান নাই। তিনি তাঁর বিচক্ষণতার দ্বারা অনুধাবন করেছিলেন যে, সুলাইমান ঠিক অন্য আর সকল নৃপতির মত অস্ত্রের মাধ্যমে দেশ জয়ের পক্ষপাতি নন। সম্ভবতঃ বিলকিসের হৃদয় ছিলো পবিত্র, তাই আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো পূর্ব থেকেই সে হৃদয়ে প্রবেশ করেছিলো , যার দরুণ সত্য ও মিথ্যাকে প্রভেদ করার ক্ষমতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে তাঁর হৃদয়ে তিনি লাভ করেছিলেন ; যদিও তাঁর রাজত্বে তাঁর সকল প্রজা ছিলো মোশরেক। রাণী ছিলেন একজন সুদক্ষ শাসক এবং প্রজাবৎসল। প্রজাদের জন্য তাঁর ছিলো অপরিমেয় স্নেহ ভালোবাসা। সুতারাং প্রজারাও তাদের রাণীকে যৎপরনাস্তি ভালোবাসতো। যে কোন অবস্থাতেই তারা রাণীর পাশে অবস্থান নেবে। সুতারাং যুদ্ধের রাস্তায় না যেয়ে রাণী সিদ্ধান্ত নিলেন যে, উপঢৌকন প্রেরণ করা হোক। সম্ভবতঃ রাণীর হৃদয়ে আধ্যাত্মিক আলোর অনুপ্রবেশ ঘটেছিলো – কারণ তাঁর সিদ্ধান্ত ছিলো মানবিক ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন। রাণী বিলকিসের চরিত্রে দূরদর্শিতা ও নারীর মমত্বের রূপ লক্ষ্য করা যায় কারণ প্রজাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব সত্বেও তিনি শান্তির পথে তাদের টেনে নিতে সক্ষম ছিলেন।