বিলকীস বলল, হে পরিষদবর্গ, আমাকে আমার কাজে পরামর্শ দাও। তোমাদের উপস্থিতি ব্যতিরেকে আমি কোন কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না।
She said: ”O chiefs! Advise me in (this) case of mine. I decide no case till you are present with me.”
قَالَتْ يَا أَيُّهَا المَلَأُ أَفْتُونِي فِي أَمْرِي مَا كُنتُ قَاطِعَةً أَمْرًا حَتَّى تَشْهَدُونِ
Qalat ya ayyuha almalao aftoonee fee amree ma kuntu qatiAAatan amran hatta tashhadoona
YUSUFALI: She said: “Ye chiefs! advise me in (this) my affair: no affair have I decided except in your presence.”
PICKTHAL: She said: O chieftains! Pronounce for me in my case. I decide no case till ye are present with me.
SHAKIR: She said: O chiefs! give me advice respecting my affair: I never decide an affair until you are in my presence.
KHALIFA: She said, “O my advisers, counsel me in this matter. I am not deciding anything until you advise me.”
রুকু – ৩
৩২। সে বলেছিলো, ” হে পরিষদবর্গ ! আমার এই ব্যাপারে আমাকে পরামর্শ দাও। কোন ব্যাপারে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি না, তোমাদের উপস্থিতি ছাড়া।”
৩৩। তারা বলেছিলো, ” আমরা তো শক্তিতে সমৃদ্ধ প্রচন্ড যুদ্ধে পারদর্শী। কিন্তু আপনি হুকুম দেয়ার মালিক। সুতারাং ভেবে বলুন আপনি কি হুকুম দেবেন। ”
৩৪। সে বলেছিলো, ” রাজা-বাদশারা যখন কোন দেশে [ বিজয়ী রূপে ] প্রবেশ করে, তখন সে দেশ লুণ্ঠন করে ৩২৭১। সেখানের মর্যদাবান ব্যক্তিদের লাঞ্ছিত করে। এরাও এরূপই করবে।
৩২৭১। এই আয়াতের মাধ্যমে রাণী বিলকিসের চরিত্রের বিশেষ দিক প্রকাশিত করা হয়েছে। রাণী শাসক হিসেবে ক্ষমতা, ঐশ্বর্য্য ,সম্মান , প্রজাদের আনুগত্য সব কিছুই পূর্ণমাত্রায় ভোগ করছিলেন। কিন্তু তিনি পরিষদদের সাথে আলোচনা ব্যতীত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন না। তাঁর পরিষদবর্গ ছিলো তাঁর একান্ত অনুগত এবং তাঁর আদেশ মানার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। তাঁর প্রজাবর্গ ছিলো সাহসী, অনুগত ও তৃপ্ত। যদিও তাঁরা দেশকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য সর্বদা প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু রাণী বিলকিস সিদ্ধান্ত গ্রহণের ব্যাপারে ছিলেন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ। তিনি তাঁর দেশকে যুদ্ধ বিগ্রহে লিপ্ত করতে চান নাই। তিনি তাঁর বিচক্ষণতার দ্বারা অনুধাবন করেছিলেন যে, সুলাইমান ঠিক অন্য আর সকল নৃপতির মত অস্ত্রের মাধ্যমে দেশ জয়ের পক্ষপাতি নন। সম্ভবতঃ বিলকিসের হৃদয় ছিলো পবিত্র, তাই আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো পূর্ব থেকেই সে হৃদয়ে প্রবেশ করেছিলো , যার দরুণ সত্য ও মিথ্যাকে প্রভেদ করার ক্ষমতা স্বতঃস্ফুর্তভাবে তাঁর হৃদয়ে তিনি লাভ করেছিলেন ; যদিও তাঁর রাজত্বে তাঁর সকল প্রজা ছিলো মোশরেক। রাণী ছিলেন একজন সুদক্ষ শাসক এবং প্রজাবৎসল। প্রজাদের জন্য তাঁর ছিলো অপরিমেয় স্নেহ ভালোবাসা। সুতারাং প্রজারাও তাদের রাণীকে যৎপরনাস্তি ভালোবাসতো। যে কোন অবস্থাতেই তারা রাণীর পাশে অবস্থান নেবে। সুতারাং যুদ্ধের রাস্তায় না যেয়ে রাণী সিদ্ধান্ত নিলেন যে, উপঢৌকন প্রেরণ করা হোক। সম্ভবতঃ রাণীর হৃদয়ে আধ্যাত্মিক আলোর অনুপ্রবেশ ঘটেছিলো – কারণ তাঁর সিদ্ধান্ত ছিলো মানবিক ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন। রাণী বিলকিসের চরিত্রে দূরদর্শিতা ও নারীর মমত্বের রূপ লক্ষ্য করা যায় কারণ প্রজাদের যুদ্ধংদেহী মনোভাব সত্বেও তিনি শান্তির পথে তাদের টেনে নিতে সক্ষম ছিলেন।