আমি তোমাদের বিশ্বস্ত পয়গম্বর।
“I am to you an apostle worthy of all trust.
إِنِّي لَكُمْ رَسُولٌ أَمِينٌ
Innee lakum rasoolun ameenun
YUSUFALI: “I am to you a messenger worthy of all trust.
PICKTHAL: Lo! I am a faithful messenger unto you,
SHAKIR: Surely I am a faithful messenger to you;
KHALIFA: “I am an honest messenger to you.
১৭৮। ” আমি তো তোমাদের জন্য এক বিশ্বাসযোগ্য রাসুল।
১৭৯। ” সুতারাং আল্লাহ্কে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।
১৮০। ” এর জন্য আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাই না; আমার পুরষ্কার রয়েছে শুধুমাত্র জগৎ সমূহের প্রভুর নিকটে।
১৮১। ” মাপে সঠিক দেবে ৩২১৬। [ প্রতারণার দ্বারা ] অন্যের ক্ষতি করো না।
৩২১৬। সুয়েব নবীর সম্প্রদায়েরা ছিলো ব্যবসায়িক সম্প্রদায়। কিন্তু তারা তাদের ব্যবসায়ে সৎ ছিলো না। তারা অন্যায় ভাবে ক্রেতা সাধারণকে প্রতারণা করতো, মাপে কম দিত। প্রতারণা , অন্যায় ও অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে অশান্তি সৃষ্টি করা তাদের ছিলো নৈমিত্তিক ব্যাপার। ” মাপে কম দেয়া ” বাক্যটি প্রতীকধর্মী। মাপে কম দেয়ার অর্থ – যার যা প্রাপ্য বা অধিকার তাকে ততটুকু না দেয়া, এই প্রাপ্য বস্তু হতে পারে বাণিজ্যিক জিনিষপত্র , অথবা নাগরিক অধিকার। সরকারী অফিসে যখন ধর্না দিয়ে নিজস্ব প্রাপ্য বা অধিকার পাওয়ার জন্য হা পিত্তেশ করতে হয়। অথবা নাগরিক জীবনে বিভিন্ন ক্রিয়াক্রর্মে প্রতিটি পদক্ষেপে সরকারী কর্মচারীদের দ্বারা যখন বিভিন্নভাবে হয়রানির শীকার হতে হয় – তখনও ব্যক্তি তার প্রাপ্য অধিকার লাভে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রেও ‘মাপে কম দেয়া ‘ বাক্যটি প্রযোজ্য। অর্থাৎ জীবনের সর্বক্ষেত্রে কারও অধিকার থেকে বঞ্চিত করার নাম ‘মাপে কম দেয়া ‘। যখনই সমাজে কারও অধিকার না দেয়া হয়, তখনই সমাজ জীবনে অন্যায় ও অবিচার বিরাজ করে। পরবর্তী আয়াতে [ ২৬ : ১৮২ – ১৮৩ ] দেখুন ‘মাপে কম দেয়ার ‘ বিশেষ ব্যাখ্যা দান করা হয়েছে। “সঠিক দাড়িপাল্লা ” বাক্যটি শুধুমাত্র ওজনের বাটখাড়া নয়। ওজনের ব্যাপারে যেরূপ বাটখাড়ার ও পাথরের ওজন সঠিক হওয়া প্রয়োজন, ঠিক সেরূপ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে ন্যায় ও অন্যায়ের মানদন্ডের “সঠিক দাড়িপাল্লার” প্রয়োজন। “প্রাপ্ত বস্তু কম দিবে না” – এই বাক্যটি দ্বারা শুধুমাত্র জিনিষ পত্রই বোঝানো হয় নাই। এই বাক্যটি প্রতীকধর্মী। একটি সমাজে ও নাগরিক জীবনে আমরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের উপরে নির্ভরশীল। একটি সমাজে প্রতিটি লোকের থাকে নির্দ্দিষ্ট নাগরিক অধিকার। এই অধিকারকেই ‘বস্তু’ প্রতীক শব্দটির দ্বারা এবং ব্যবসায়িক লেনদেনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজ জীবনে যখন নাগরিক অধিকার হরণ করা হয় এবং সমাজের নীতিনির্ধারক ও প্রয়োগকারীদের দ্বারা নাগরিক অধিকার যখন স্বেচ্ছাচারিতায় পর্যবসিত হয় তখন সমাজ জীবনে ” বিপর্যয় ঘটে যায়”। অন্যায় , অবিচার, অসত্য সমাজের মূল কাঠামোকে বিধ্বস্ত করে ফেলে , ঠিক যেভাবে ঘুণ কাঠকে ধ্বংস করে ফেলে। [ যেমন বাংলাদেশে বর্তমানে ঘটেছে ] এসব অন্যায়কারীদের আল্লাহ্কে ভয় করতে বলা হয়েছে এবং আল্লাহ্র বিধান যা ন্যায় ও সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত তা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। তিনিই স্রষ্টা যিনি মানুষের পূর্ববর্তীদেরও সৃষ্টি করেছেন। তাঁর বিধান হচ্ছে – প্রতারণা ও অন্যায়ের মাধ্যমে কেউ সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না। সমৃদ্ধি অর্জনের একমাত্র রাস্তা হচ্ছে সঠিক আদান প্রদান ও সমাজ জীবনে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা।