1 of 3

025.060

তাদেরকে যখন বলা হয়, দয়াময়কে সেজদা কর, তখন তারা বলে, দয়াময় আবার কে? তুমি কাউকে সেজদা করার আদেশ করলেই কি আমরা সেজদা করব? এতে তাদের পলায়নপরতাই বৃদ্ধি পায়।
And when it is said to them: ”Prostrate to the Most Beneficent (Allâh)! They say: ”And what is the Most Beneficent? Shall we fall down in prostration to that which you (O Muhammad SAW) command us?” And it increases in them only aversion.

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اسْجُدُوا لِلرَّحْمَنِ قَالُوا وَمَا الرَّحْمَنُ أَنَسْجُدُ لِمَا تَأْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُورًا
Wa-itha qeela lahumu osjudoo lilrrahmani qaloo wama alrrahmanu anasjudu lima ta/muruna wazadahum nufooran

YUSUFALI: When it is said to them, “Prostrate to (Allah) Most Gracious!”, they say, “And what is (Allah) Most Gracious? Shall we prostrate to that which thou commandest us?” And it increases their flight (from the Truth).
PICKTHAL: And when it is said unto them: Prostrate to the Beneficent! they say: And what is the Beneficent? Are we to prostrate to whatever thou (Muhammad) biddest us? And it increaseth aversion in them.
SHAKIR: And when it is said to them: Prostrate to the Beneficent Allah, they say: And what is the Allah of beneficence? Shall we prostrate to what you bid us? And it adds to their aversion.
KHALIFA: When they are told, “Fall prostrate before the Most Gracious,” they say, “What is the Most Gracious? Shall we prostrate before what you advocate?” Thus, it only augments their aversion.

৬০। যখন তাদের বলা হয়, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌কে ] তোমরা সিজ্‌দা কর।” তারা বলে, ” পরম করুণাময় [আল্লাহ্‌] কে ? তুমি যাকে আদেশ কর আমরা কি তাকেই সিজ্‌দা করবো ? ” এবং ইহাতে তাদের [সত্যের প্রতি ] অবিশ্বাসই বেড়ে যায় মাত্র ৩১২০।

৩১২০। যাদের হৃদয়ে স্বর্গীয় আলো বা নূর প্রবেশ করে নাই, তারা আল্লাহ্‌র উপরে সর্ব নির্ভরশীলতা বা আল্লাহ্‌র ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পন করার প্রকৃত ভাবার্থ বুঝতে অক্ষম। কারণ তাদের সকল চিন্তা ভাবনা জাগতিক ও স্বার্থ বুদ্ধি সম্পন্ন। সুতারাং যেখানে ব্যক্তিস্বার্থ ব্যহত হয় সেখানে তারা কোনও রূপ নৈতিকতা বা নীতিজ্ঞানের পরোয়া করে না। এ সব বিষয়বুদ্ধি সম্পন্ন লোকেরা জাগতিক বিষয়ের উর্দ্ধে আর কোন কিছুই তারা বুঝতে বা অনুধাবনে অক্ষম। নীতি বা নৈতিকতার জন্য পার্থিব ক্ষতি তাদের নিকট বোকামীর সামিল। এর কারণ তাদের মাঝে প্রকৃত ধর্ম বিশ্বাসের অভাব। যদিও সে সমাজে ধার্মিক বলে বিবেচিত হয় এবং ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা সে নির্ভুলভাবে পালন করে থাকে, তবুও সে প্রকৃত ধার্মিক নয়। তার বিশ্বাস শুধুমাত্র মৌখিক , কারণ জীবনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে সে আল্লাহ্‌র রহমত অনুধাবনে হয় ব্যর্থ। এ সব মৌখিক ভাবে ধর্ম পালনকারীদের সম্পর্কেই বলা হয়েছে যে, তারা আল্লাহ্‌র গুণবাচক নাম রাহমান [ পরম করুণাময় ] কথাটির প্রকৃত অর্থ কখনই অনুধাবন করতে পারবে না। সম্ভবতঃ তাদের পাপ কার্য তাদের অনুধাবন ক্ষমতাকে অন্ধকারের পর্দ্দায় ঢেকে ফেলে। যার ফলে তারা তাদের অন্তরে আল্লাহ্‌র নূরকে প্রত্যক্ষ করতে পারে না। চর্ম চক্ষু থাকতেও তারা অর্ন্তদৃষ্টি বিহীন ফলে তাদের চারিদিকে ছড়ানো আল্লাহ্‌র রহমতকে তারা প্রত্যক্ষ করতে পারে না। হৃদয় থাকতেও হৃদয় আল্লাহ্‌র নূরে উদ্ভাসিত না হয়ে অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে পড়ে [ ২৪ : ৪০ ]।

এভাবেই ধার্মিকতার নামধারীদের সাথে আল্লাহ্‌র প্রকৃত বান্দার তুলনা করা হয়েছে। মোমেন ব্যক্তিদের সম্বন্ধে নীচের আয়াতে [ ২৫ : ৬৩ – ৭৫ ] বলা হয়েছে।