তুমি কি তোমার পালনকর্তাকে দেখ না, তিনি কিভাবে ছায়াকে বিলম্বিত করেন? তিনি ইচ্ছা করলে একে স্থির রাখতে পারতেন। এরপর আমি সূর্যকে করেছি এর নির্দেশক।
Have you not seen how your Lord spread the shadow. If He willed, He could have made it still then We have made the sun its guide [i.e. after the sunrise, it (the shadow) squeezes and vanishes at midnoon and then again appears in the afternoon with the decline of the sun, and had there been no sun light, there would have been no shadow].
أَلَمْ تَرَ إِلَى رَبِّكَ كَيْفَ مَدَّ الظِّلَّ وَلَوْ شَاء لَجَعَلَهُ سَاكِنًا ثُمَّ جَعَلْنَا الشَّمْسَ عَلَيْهِ دَلِيلًا
Alam tara ila rabbika kayfa madda alththilla walaw shaa lajaAAalahu sakinan thumma jaAAalna alshshamsa AAalayhi daleelan
YUSUFALI: Hast thou not turned thy vision to thy Lord?- How He doth prolong the shadow! If He willed, He could make it stationary! then do We make the sun its guide;
PICKTHAL: Hast thou not seen how thy Lord hath spread the shade – And if He willed He could have made it still – then We have made the sun its pilot;
SHAKIR: Have you not considered (the work of) your Lord, how He extends the shade? And if He had pleased He would certainly have made it stationary; then We have made the sun an indication of it
KHALIFA: Have you not seen how your Lord designed the shadow? If He willed, He could have made it fixed, then we would have designed the sun accordingly.
রুকু-৫
৪৫। তুমি কি তোমার প্রভুর দিকে লক্ষ্য কর নাই ? ৩০৯৮- কি ভাবে তিনি ছায়াকে দীর্ঘায়িত করেন ৩০৯৯ ? তিনি ইচ্ছা করলে একে নিশ্চল রাখতে পারতেন। অতঃপর আমি সূর্যকে করেছি এর নির্দেশক ৩১০০ !
৩০৯৮। লক্ষ্য করুণ আয়াত [ ২৪ : ৩৫ ] এ আল্লাহ্কে বলা হয়েছে আকাশ ও পৃথিবীর আলো স্বরূপ। এই আর একটি আয়াত যেখানে আল্লাহ্র মহিমান্বিত রূপকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে তাঁর সৃষ্ট আলো ও ছায়ার ধারণা সম্বন্ধে চিন্তার মাধ্যমে।
৩০৯৯। নগর কেন্দ্রীক জীবনে আমরা , আলো ও ছায়ার যে অপূর্ব লীলা খেলা বিশ্ব ভূবন জুড়ে প্রতি নিয়ত প্রতি পলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে , তার খোঁজ আমরা রাখি না। আমরা সূর্যাস্তের রং এর খেলা দেখে মুগ্ধ হই। গোধূলীর আবীরে মাখা পশ্চিম আকাশের সৌন্দর্য আমাদের পৃথিবীর মালিন্যের উর্দ্ধে নিয়ে যায়। কিন্তু শহর ভিত্তিক অধিকাংশ লোকই প্রত্যুষের সূর্যদয়ের লগ্নে আলো ছায়ার স্বর্গীয় দৃশ্য জীবনে কখনও অবলোকনের সুযোগ পায় নাই। সূর্য দিক্চক্রবালের অতিক্রমের পূর্বে শুরু হয় আলো আঁধারির খেলা। সূর্যের সমস্ত দিনের যাত্রা পথে প্রত্যুষ হচ্ছে সর্বাপেক্ষা পবিত্র সময়। কারণ এ সময়ে দিনের কর্ম কোলাহল থাকে না। কর্মচঞ্চলতামুক্ত প্রকৃতি থাকে কলুষতা মুক্ত। সারারাত্রি বিশ্রামের পরে বিশ্ব প্রকৃতি থাকে নূতন সূর্যদয়ের জন্য উন্মুখ – পূত পবিত্র ভাব সমস্ত প্রকৃতিকে পরিব্যপ্ত করে থাকে। এর মাঝে দিক্চক্রবালে চলে আলো আঁধারির খেলা। প্রত্যুষের ও গোধূলির যে আলো তা সূর্যের সরাসরি আলো নয়, তা প্রকৃত সূর্যের আলোর প্রতিফলন মাত্র। গোধূলি বিলিন হয় রাত্রির অন্ধকারে, প্রত্যুষের অর্ন্তধান ঘটে দিনের আগমনে। দিনের সূর্য , প্রকৃত ছায়ার সাথে সম্পৃক্ত।
৩১০০। সকালের সূর্যের যে ছায়া তা স্পষ্ট ও দীর্ঘায়িত। এই ছায়ার আকৃতি ও দিক্ সূর্যের গতিপথের সাথে সম্পৃক্ত। এই ছায়ার অস্তিত্ব প্রতি মূহুর্তে সূর্যের সাথে পরিবর্তনশীল।