আপনি কি তাকে দেখেন না, যে তারা প্রবৃত্তিকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন?
Have you (O Muhammad SAW) seen him who has taken as his ilâh (god) his own desire? Would you then be a Wakîl (a disposer of his affairs or a watcher) over him?
أَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَهَهُ هَوَاهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا
Araayta mani ittakhatha ilahahu hawahu afaanta takoonu AAalayhi wakeelan
YUSUFALI: Seest thou such a one as taketh for his god his own passion (or impulse)? Couldst thou be a disposer of affairs for him?
PICKTHAL: Hast thou seen him who chooseth for his god his own lust? Wouldst thou then be guardian over him?
SHAKIR: Have you seen him who takes his low desires for his god? Will you then be a protector over him?
KHALIFA: Have you seen the one whose god is his own ego? Will you be his advocate?
৪৩। তুমি কি এরূপ ব্যক্তিকে দেখ না যে তার আপন ভাবাবেগকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করেছে ? [এরপরেও] তুমি কি তার কর্মবিধায়ক হতে পার ? ৩০৯৭
৪৪। তুমি কি মনে কর তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বুঝতে পারে ? তারা তো গৃহপালিত পশুর মতই ; বরং পথভ্রষ্টতায় নিকৃষ্টতম।
৩০৯৭। যে লোক প্রবৃত্তির অধীনে , যে শুধুমাত্র নিজ প্রবৃত্তির পরিতৃপ্তিতে নিয়োজিত তার পক্ষে আল্লাহ্র হেদায়েত গ্রহণ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। প্রবৃত্তির বশীভূত ব্যক্তিকে সঠিক পথে পরিচালিত করা বা হেদায়েত করা সম্ভব নয়। সে কথাকেই এই আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ্ আমাদের বলেছেন। মানুষের দেহে একই সাথে প্রবৃত্তিরূপ শয়তান বিদ্যমান আবার মহৎ গুণাবলী যা আল্লাহ্র নামের সাথে সম্পৃক্ত তাও বিদ্যমান। মানুষের বিভিন্ন রীপু সমূহ যথা , কাম, ক্রোধ, লোভ, অহংকার, আত্মগরিমা, হিংসা -দ্বেষ , প্রভৃতি রীপু এবং এ সব রীপু থেকে উৎপন্ন খারাপ ও কদর্য অভ্যাস সমূহ যেমন মিথ্যাচারীতা, প্রতারাণার প্রবণতা, অন্যের জিনিষ অন্যায় ভাবে গ্রাসের প্রবণতা, অহেতুক বিলাসীতার আকাঙ্খা ইত্যাদি একজনকে প্রবৃত্তির দাসে পরিণত করে। সুতারাং যারা প্রবৃত্তির দাস , তাদের কথা আল্লাহ্ পরবর্তী আয়াতে বলেছেন যে তারা পশুর সমকক্ষ বা তারও অধম। কারণ কোনও হেদায়েতই এদের সঠিক পথে আনতে পারবে না। এমনকি নবী করিমের [ সা ] আবেদনও এদের কাছে তুচ্ছ মনে হবে। কারণ পাপাচারীরা প্রবৃত্তির তারণায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ার ফলে তাদের স্বাভাবিক বিচার বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়। কোন যুক্তিই তাদের অন্ধ কামনা-বাসনার উপরে স্থান লাভ করে না। তারা তাদের অন্ধ কামনা-বাসনার আকাঙ্খা ত্যাগ না করা পর্যন্ত তাদের জন্য সঠিক পথের অন্বেষণ করা বাতুলতা মাত্র। তার হেদায়েতের দায়িত্ব গ্রহণ করা কারও পক্ষেই সম্ভব নয়, কারণ সে কোনও নৈতিক আইন বা উপদেশ মানতে ইচ্ছুক নয়। নৈতিকতা অর্জন ব্যতীত কিভাবে হেদায়েতের পথ পাওয়া সম্ভব ? সে তো পশুরও অধম। পশু হয়তো সদুপদেশ বুঝতে পারে না , একথা সত্য , কিন্তু আল্লাহ্ পশুর চরিত্রে যে সহজাত স্বাভাবিক প্রেরণা প্রেথিত করে দিয়েছেন তার সৃষ্টিলগ্নে , তা পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে। এই প্রেরণা বা প্রবণতাকে অস্বীকার করার ক্ষমতা কোনও প্রাণীর নাই। “সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” লাভের ফলে মানুষ বারে বারে আল্লাহ্র আইনকে লঙ্ঘন করে ফলে সে প্রবৃত্তির অনুগত হয়ে পড়ে এবং আল্লাহ্র হেদায়েত গ্রহণে হয় অপারগ।