যারা কাফের, তাদের কর্ম মরুভুমির মরীচিকা সদৃশ, যাকে পিপাসার্ত ব্যক্তি পানি মনে করে। এমনকি, সে যখন তার কাছে যায়, তখন কিছুই পায় না এবং পায় সেখানে আল্লাহকে, অতঃপর আল্লাহ তার হিসাব চুকিয়ে দেন। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী।
As for those who disbelieve, their deeds are like a mirage in a desert. The thirsty one thinks it to be water, until he comes up to it, he finds it to be nothing, but he finds Allâh with him, Who will pay him his due (Hell). And Allâh is Swift in taking account.
وَالَّذِينَ كَفَرُوا أَعْمَالُهُمْ كَسَرَابٍ بِقِيعَةٍ يَحْسَبُهُ الظَّمْآنُ مَاء حَتَّى إِذَا جَاءهُ لَمْ يَجِدْهُ شَيْئًا وَوَجَدَ اللَّهَ عِندَهُ فَوَفَّاهُ حِسَابَهُ وَاللَّهُ سَرِيعُ الْحِسَابِ
Waallatheena kafaroo aAAmaluhum kasarabin biqeeAAatin yahsabuhu alththam-anu maan hatta itha jaahu lam yajidhu shay-an wawajada Allaha AAindahu fawaffahu hisabahu waAllahu sareeAAu alhisabi
YUSUFALI: But the Unbelievers,- their deeds are like a mirage in sandy deserts, which the man parched with thirst mistakes for water; until when he comes up to it, he finds it to be nothing: But he finds Allah (ever) with him, and Allah will pay him his account: and Allah is swift in taking account.
PICKTHAL: As for those who disbelieve, their deeds are as a mirage in a desert. The thirsty one supposeth it to be water till he cometh unto it and findeth it naught, and findeth, in the place thereof, Allah Who payeth him his due; and Allah is swift at reckoning.
SHAKIR: And (as for) those who disbelieve, their deeds are like the mirage in a desert, which the thirsty man deems to be water; until when he comes to it he finds it to be naught, and there he finds Allah, so He pays back to him his reckoning in full; and Allah is quick in reckoning;
KHALIFA: As for those who disbelieve, their works are like a mirage in the desert. A thirsty person thinks that it is water. But when he reaches it, he finds that it is nothing, and he finds GOD there instead, to requite him fully for his works. GOD is the most efficient reckoner.
৩৯। কিন্তু অবিশ্বাসীদের কর্ম হচ্ছে বালুকাময় মরুভূমির মধ্যে মরিচিকা সদৃশ্য ৩০১০। পিপাসায় কাতর ব্যক্তি যাকে পানি বলে ভুল করে, যতক্ষণ না সে উহার নিকট আসে এবং কিছুই খুঁজে পায় না ৩০১১। কিন্তু সে তার সাথে আল্লাহকে খুঁজে পায় ৩০১২ , এবং আল্লাহ্ তার প্রাপ্য পুরোপুরি দিয়ে দেবেন। বস্তুতঃ আল্লাহ্ হিসাব গ্রহণে তৎপর।
৩০১০। আল্লাহ্র নূর এবং যারা অন্তরে আল্লাহ্র নূরকে ধারণ করে পূর্ববর্তী আয়াতসমূহে বিভিন্ন রূপকের মাধ্যমে তাদের কথা বলা হয়েছে। এই আয়াতে রূপকের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে তাদের কথা, যারা আল্লাহ্র নূরকে অস্বীকার করে, ফলে তাদের অন্তর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যায়। আল্লাহ্র নূর হচ্ছে প্রকৃত সত্য যা সুনিশ্চিত ও সন্দেহাতীত বাস্তবতা ; এবং যে সব আত্মা এই নূরকে আত্মার মাঝে ধারণ করে তারা সেই সত্যের আলোকে প্রতিফলিত করে, যার উল্লেখ পূর্ববর্তী আয়াতে করা হয়েছে। যারা আল্লাহ্র নূরকে ধারণ করে থাকে, সেই সব মোমেন বান্দার জীবন ইহকাল ও পরকালে সুনিশ্চিত সত্যের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকে – তাদের জীবন ধন্য। আল্লাহ্র পুরষ্কার প্রাপ্তিতে তাদের জীবনের সকল শঙ্কা, ভয় কেটে যাবে। অপর পক্ষে অন্ধকার কখনও বাস্তবতা হতে পারে না তা হচ্ছে আলোর বিপরীত। যারা আল্লাহ্র সত্যকে অস্বীকার করে , তাদের আত্মার যে অবস্থা তাই বর্ণনা করা হয়েছে এই আয়াতে। এই বর্ণনার জন্য দুটো উপমার ব্যবহার করা হয়েছে। একটি হচ্ছে মরীচিকা ও অন্যটি পরের আয়াতে বলা হয়েছে গভীর সমুদ্র তলের অন্ধকার।
৩০১১। মরীচিকা দেখা যায় মরুভূমির মাঝে। এ এক আশ্চর্য্য দৃশ্য। মুরুভূমির মাঝে যাত্রীরা যদি কখনও পথ হারিয়ে ফেলে, তৃষ্ণায় কাতর হয়ে দিগবিদিগ্ জ্ঞান শূন্য হয়ে একবিন্দু পানির জন্য ছুটাছুটি করছে – মাথার উপরে গনগনে মধ্যাহ্ন সূর্যের তাপ সে সময়ে তাদের দৃষ্টিবিভ্রম ঘটে। তারা দেখতে পায় দূরে মরূদ্যান। ছায়া-সুশীতল , খেজুর বৃক্ষ শোভিত শীতল পানির নহর। তারা উন্মাদের ন্যায় সেদিকে ধাবিত হয় কিন্তু হায়! পৌঁছে দেখতে পায় সবই মিথ্যা। আবার অন্যপ্রান্তে ভেসে ওঠে মরীচিকার দৃশ্য। ছুটাছুটি করতে করতে হতভাগ্য যাত্রী শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করে।
৩০১২। যারা আল্লাহ্ কে অস্বীকার করে , তাদের অবস্থাকে বোঝানোর জন্য মরীচিকার উপমা ব্যবহার করা হয়েছে। যারা মরীচিকা দেখে বিভ্রান্ত হয়, তাদের শেষ পরিণতি মৃত্যু। ঠিক সেই ভাবে যারা আল্লাহ্র সত্যকে অস্বীকার করে তাদের আত্মা থাকে বিভ্রান্ত , অশান্ত ও সত্য বিমুখ। শান্তির আশায় তারা দিগবিদিগ জ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটাছুটি করে। অর্থাৎ বিভিন্ন উপায়ে তারা আত্মার মাঝে প্রশান্তি লাভের চেষ্টা করে। অবশ্য তাদের এই চেষ্টা হয় মূলতঃ জাগতিক বিষয়বস্তু কেন্দ্রিক। ফলে প্রকৃত সত্য তাদের থেকে বহুদূরে থেকে যায়। কিন্তু তারা বুঝতে অক্ষম আল্লাহ্র সত্য তাদের সাথেই বিরাজমান। মৃত্যুর মাধ্যমে দেহের বন্ধন মুক্ত হওয়ার পর আল্লাহ্র অস্তিত্ব সে আত্মার মাঝে অনুভবে সক্ষম হবে। ” সে তার সাথে আল্লাহ্কে খুঁজে পায়।”