যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায়, তাদের সাথে তোমরা লিখিত চুক্তি কর যদি জান যে, তাদের মধ্যে কল্যাণ আছে। আল্লাহ তোমাদেরকে যে, অর্থ-কড়ি দিয়েছেন, তা থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য কারো না। যদি কেহ তাদের উপর জোর-জবরদস্তি করে, তবে তাদের উপর জোর-জবরদস্তির পর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
And let those who find not the financial means for marriage keep themselves chaste, until Allâh enriches them of His Bounty. And such of your slaves as seek a writing (of emancipation), give them such writing, if you know that they are good and trustworthy. And give them something yourselves out of the wealth of Allâh which He has bestowed upon you. And force not your maids to prostitution, if they desire chastity, in order that you may make a gain in the (perishable) goods of this worldly life. But if anyone compels them (to prostitution), then after such compulsion, Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful (to those women, i.e. He will forgive them because they have been forced to do this evil action unwillingly).
وَلْيَسْتَعْفِفِ الَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّى يُغْنِيَهُمْ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَالَّذِينَ يَبْتَغُونَ الْكِتَابَ مِمَّا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ فَكَاتِبُوهُمْ إِنْ عَلِمْتُمْ فِيهِمْ خَيْرًا وَآتُوهُم مِّن مَّالِ اللَّهِ الَّذِي آتَاكُمْ وَلَا تُكْرِهُوا فَتَيَاتِكُمْ عَلَى الْبِغَاء إِنْ أَرَدْنَ تَحَصُّنًا لِّتَبْتَغُوا عَرَضَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَمَن يُكْرِههُّنَّ فَإِنَّ اللَّهَ مِن بَعْدِ إِكْرَاهِهِنَّ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
WalyastaAAfifi allatheena la yajidoona nikahan hatta yughniyahumu Allahu min fadlihi waallatheena yabtaghoona alkitaba mimma malakat aymanukum fakatiboohum in AAalimtum feehim khayran waatoohum min mali Allahi allathee atakum wala tukrihoo fatayatikum AAala albigha-i in aradna tahassunan litabtaghoo AAarada alhayati alddunya waman yukrihhunna fa-inna Allaha min baAAdi ikrahihinna ghafoorun raheemun
YUSUFALI: Let those who find not the wherewithal for marriage keep themselves chaste, until Allah gives them means out of His grace. And if any of your slaves ask for a deed in writing (to enable them to earn their freedom for a certain sum), give them such a deed if ye know any good in them: yea, give them something yourselves out of the means which Allah has given to you. But force not your maids to prostitution when they desire chastity, in order that ye may make a gain in the goods of this life. But if anyone compels them, yet, after such compulsion, is Allah, Oft-Forgiving, Most Merciful (to them),
PICKTHAL: And let those who cannot find a match keep chaste till Allah give them independence by His grace. And such of your slaves as seek a writing (of emancipation), write it for them if ye are aware of aught of good in them, and bestow upon them of the wealth of Allah which He hath bestowed upon you. Force not your slave-girls to whoredom that ye may seek enjoyment of the life of the world, if they would preserve their chastity. And if one force them, then (unto them), after their compulsion, lo! Allah will be Forgiving, Merciful.
SHAKIR: And let those who do not find the means to marry keep chaste until Allah makes them free from want out of His grace. And (as for) those who ask for a writing from among those whom your right hands possess, give them the writing if you know any good in them, and give them of the wealth of Allah which He has given you; and do not compel your slave girls to prostitution, when they desire to keep chaste, in order to seek the frail good of this world’s life; and whoever compels them, then surely after their compulsion Allah is Forgiving, Merciful.
KHALIFA: Those who cannot afford to get married shall maintain morality until GOD provides for them from His grace. Those among your servants who wish to be freed in order to marry, you shall grant them their wish, once you realize that they are honest. And give them from GOD’s money that He has bestowed upon you. You shall not force your girls to commit prostitution, seeking the materials of this world, if they wish to be chaste. If anyone forces them, then GOD, seeing that they are forced, is Forgiver, Merciful.
৩৩। যারা বিবাহের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের বন্দোবস্ত করতে পারে না, তারা যেনো নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করে সংযত ভাবে চলে, যতদিন না আল্লাহ্ আপন কৃপায় তাদের সচ্ছল করেন ২৯৯০। এবং তোমাদের অধীনস্ত ক্রীত দাস-দাসীগণ যারা [ অর্থের পরিবর্তে ] স্বাধীনতার চুক্তি লিখিয়ে নিতে চায়, তাদের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হও ২৯৯১, যদি তোমরা তাদের মধ্য মঙ্গলজনক কিছু বুঝতে পার। হ্যাঁ, [ সেক্ষেত্রে ] আল্লাহ্ তোমাদের যে সম্পদ দিয়েছেন তা থেকে তাদের কিছু দান করবে। আর তোমাদের দাসীগণ যখন সতীত্ব রক্ষা করতে চায়, তখন পার্থিব লাভের আশায় তাদের ব্যভিচারিণী হতে বাধ্য কর না ২৯৯২ , ২৯৯৩। কিন্তু যদি কেউ তাদের [ব্যভিচারে ] বাধ্য করে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাদের বাধ্যতার পরে তাদের প্রতি ক্ষমাকারী , পরম করুণাময় ২৯৯৪।
২৯৯০। মুসলিম যুবকদের বিবাহের সময়ে মেয়েকে দেনমোহর দিতে হয়। আর এই দেনমোহর নগদ পরিশোধ যোগ্য। সেই কারণে দরিদ্র যুবকদের অনেক সময়েই দেনমোহরের অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। যদি কেহ গরীব হয়, বিবাহের সামর্থ্য না থাকে তবুও তাকে কৌমার্য রক্ষা করতে হবে। বিবাহ বর্হিভূত যৌন আকাঙ্খা তৃপ্ত করার কোনও সুযোগ ইসলামে নাই। যৌন আকাঙ্খা একমাত্র বিবাহের মাধ্যমে, সুস্থ ও পবিত্র দাম্পত্য জীবনের মাধ্যমে, পরিপূর্ণ করার বিধান ইসলাম অনুমোদন করে।
২৯৯১। ক্রীতদাস প্রথা বর্তমানে পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত। ইসলামের প্রাথমিক যুগে ক্রীতদাস প্রথা সারা পৃথিবীতে প্রচলিত ছিলো। কিন্তু ইসলামে সে যুগেও ক্রীতদাসদের মুক্তির উপায় সহজ করে আয়াত নাজেল হয়। ক্রীতদাস বা দাসীদের মধ্যে কেহ যদি শর্তসাপেক্ষে মুক্তি প্রার্থনা করে এবং লিখিত অঙ্গীকার করে মুক্তির বিনিময়ে নির্দ্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের , তবে আল্লাহ্র হুকুম হচ্ছে ঐ ক্রীতদাস ও দাসীকে ঐ অর্থ সৎ উপায়ে উপার্জনের অধিকার দান করা। ক্রীতদাস ও দাসীর ঐ আবেদন যদি যুক্তি-যুক্ত হয় এবং ক্রীতদাস বা দাসী যদি উক্ত কর্ম সম্পাদনের যোগ্য হয়, তবে তাদের আবেদন যেনো অস্বীকার করা না হয়। দাস মুক্তির সনদ শুধু এখানেই শেষ নয়; এমন কি মনিবকে অর্থ দ্বারা সাহায্য করতেও বলা হয়েছে দাস বা দাসীকে। সেই অন্ধকারময় যুগে ইসলামই প্রথম দাস মুক্তির সনদ নিয়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়।
২৯৯২। যে যুগে ক্রীতদাস প্রথা সারা পৃথিবীতে চালু ছিলো, তখনও দাসীদের অধিকার রক্ষার সনদ নাজেল হয়। মনিবকে নিষেধ করা হয়েছে দাসী দ্বারা বেশ্যাবৃত্তি না চালানো। যদিও বর্তমান পৃথিবীতে দাস প্রথা অবলুপ্ত হয়েছে , কিন্তু সভ্য সমাজে বেশ্যাবৃত্তির নামে ‘দাসপ্রথা’ এখনও চালু আছে। মেয়েদের এই প্রথাতে নিয়োজিত করা ও বাধ্য করা আল্লাহ্ পূর্ণ নিষেধ করেছেন।
২৯৯৩। “সতীত্ব রক্ষা করিতে চাহিলে ……. ” – অর্থাৎ যদি সে নিজস্ব সতীত্ব রক্ষা করতে চায়, তাহলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করা চলবে না। সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন চাপে অনেক সময়ে অনেক মেয়েকে এ পথে নিয়ে আসা হয়। যার দরুণ বহু মুসলিম দেশেও পতিতালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। ইসলাম এ ব্যবস্থাকে অনুমোদন করে না। এ সব পতিতাদের সুস্থ সবল জীবনে ফিরিয়ে আনা মুসলমান মানেই কর্তব্য। কারণ এ ব্যবস্থা আল্লাহ্র চোখে অপছন্দীয়।
২৯৯৪। হতভাগ্য নারীরা যারা ভাগ্যচক্রে স্বইচ্ছার বিরুদ্ধে এই পথ অবলম্বনে বাধ্য হয়েছে , যারা পুরুষের এই যৌন বিকৃতির শীকার , যারা এই ঘৃণ্য ও পাপিষ্ঠ বাণিজ্যের পণ্য, আল্লাহ্ তো পরম দয়াময় ও ক্ষমাশীল। সমাজের চোখে প্রমাণিত এ সব পাপিষ্ঠদের জন্য আছে আল্লাহ্র ক্ষমা ও দয়া। তাঁর নেয়ামত সকলের জন্য অবারিত।