তোমাদের মধ্যে যারা উচ্চমর্যাদা ও আর্থিক প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন কসম না খায় যে, তারা আত্নীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তকে এবং আল্লাহর পথে হিজরতকারীদেরকে কিছুই দেবে না। তাদের ক্ষমা করা উচিত এবং দোষক্রটি উপেক্ষা করা উচিত। তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়।
And let not those among you who are blessed with graces and wealth swear not to give (any sort of help) to their kinsmen, Al-Masâkîn (the poor), and those who left their homes for Allâh’s Cause. Let them pardon and forgive. Do you not love that Allâh should forgive you? And Allâh is Oft-Forgiving, Most Merciful.
وَلَا يَأْتَلِ أُوْلُوا الْفَضْلِ مِنكُمْ وَالسَّعَةِ أَن يُؤْتُوا أُوْلِي الْقُرْبَى وَالْمَسَاكِينَ وَالْمُهَاجِرِينَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلْيَعْفُوا وَلْيَصْفَحُوا أَلَا تُحِبُّونَ أَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
Wala ya/tali oloo alfadli minkum waalssaAAati an yu/too olee alqurba waalmasakeena waalmuhajireena fee sabeeli Allahi walyaAAfoo walyasfahoo ala tuhibboona an yaghfira Allahu lakum waAllahu ghafoorun raheemun
YUSUFALI: Let not those among you who are endued with grace and amplitude of means resolve by oath against helping their kinsmen, those in want, and those who have left their homes in Allah’s cause: let them forgive and overlook, do you not wish that Allah should forgive you? For Allah is Oft-Forgiving, Most Merciful.
PICKTHAL: And let not those who possess dignity and ease among you swear not to give to the near of kin and to the needy, and to fugitives for the cause of Allah. Let them forgive and show indulgence. Yearn ye not that Allah may forgive you? Allah is Forgiving, Merciful.
SHAKIR: And let not those of you who possess grace and abundance swear against giving to the near of kin and the poor and those who have fled in Allah’s way, and they should pardon and turn away. Do you not love that Allah should forgive you? And Allah is Forgiving, Merciful.
KHALIFA: Those among you who are blessed with resources and wealth shall be charitable towards their relatives, the poor, and those who have immigrated for the sake of GOD. They shall treat them with kindness and tolerance; do you not love to attain GOD’s forgiveness? GOD is Forgiver, Most Merciful.
২২। তোমাদের মধ্য যারা [আল্লাহ্র ] অনুগ্রহ ভাজন ও প্রাচুর্যের অধিকারী ২৯৭৪, তারা যেনো শপথ গ্রহণ না করে যে, তারা আত্মীয় -স্বজন , অভাবগ্রস্থ এবং আল্লাহ্র রাস্তায় যারা হিজরত করেছে, তাদের [ কিছুই ] দান করবে না। তাদের ক্ষমা কর এবং [দোষত্রুটি ] উপেক্ষা কর। তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহ্ তোমাদের ক্ষমা করুন? নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
২৯৭৪। এই আয়াতের প্রত্যাদেশ কাল হযরত আবু বকরের ঘটনার সাথে জড়িত। হযরত আবু বকর [ রা ] হযরত আয়েশার [ রা ] পিতা ছিলেন। আধ্যাত্মিক দিক থেকে তিনি ছিলেন একজন খাঁটি মোমেন বান্দা ও আল্লাহ্র বিশেষ করুণায় ধন্য , জাগতিক দিক থেকেও তিনি ছিলেন প্রচুর অর্থ বিত্তের মালিক। আর এ সব অর্থ-বিত্ত তিনি সব সময়েই গরীব দুঃখীদের দুঃখ মোচনের কাজে ব্যবহার করতেন। হযরত আবু বকরের জ্ঞাতিভ্রাতা নাম ‘মিশতা’ যিনি ছিলেন অত্যন্ত গরীব। আবু বকর তাকে নিয়মিত অর্থ সাহায্য করতেন, এই মিশ্তা হযরত আয়েশার [ রা ] কলঙ্ক রটনায় অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ আবু বকর অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেন। এরই প্রেক্ষিতে এই আয়াতটি অবতীর্ণ করা হয়। এই আয়াতের মাধ্যমে প্রকৃত মোমেন বান্দা যারা আধ্যাত্মিক জগতে সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত তাদের মানদণ্ড বর্ণনা করা হয়েছে। অপরাধীকে ক্ষমা প্রদর্শন করা ও তাদের অপরাধ ভুলে পুণরায় ভাতৃবন্ধনে আবদ্ধ হওয়াই হচ্ছে প্রকৃত মোমেন বান্দার বৈশিষ্ট্য। হযরত আবু বকর এই আয়াত নাজেল হওয়ার পরে মিশতাকে ক্ষমা করেন ও তাঁর অর্থ সাহায্য পূনর্বহাল করেন। এর ফলে মুসলিম উম্মার মাঝে পুণরায় শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরে আসে, এই আয়াতটি যদিও একটি বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয় , কিন্তু এর শিক্ষা সার্বজনীন , যুগকাল অতিক্রান্ত। একজন মহানুভব দাতা ও পৃষ্ঠপোষক কখনও তার ব্যক্তিগত রাগ ও বিদ্বেষের কারণে তার দান বা পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করতে পারে না, যদি অপরাধী অনুতপ্ত হয় এবং আত্ম সংশোধন করে। যদি সর্বশক্তিমান আল্লাহ্ মহা অপরাধ ক্ষমা করতে পারেন তবে অপরাধীর অনুতাপকে ফিরিয়ে দেবার আমাদের কি অধিকার আছে ?