যদি ইহকালে ও পরকালে তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত, তবে তোমরা যা চর্চা করছিলে, তজ্জন্যে তোমাদেরকে গুরুতর আযাব স্পর্শ করত।
Had it not been for the Grace of Allâh and His Mercy unto you in this world and in the Hereafter, a great torment would have touched you for that whereof you had spoken.
وَلَوْلَا فَضْلُ اللَّهِ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَتُهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ لَمَسَّكُمْ فِي مَا أَفَضْتُمْ فِيهِ عَذَابٌ عَظِيمٌ
Walawla fadlu Allahi AAalaykum warahmatuhu fee alddunya waal-akhirati lamassakum fee ma afadtum feehi AAathabun AAatheemun
YUSUFALI: Were it not for the grace and mercy of Allah on you, in this world and the Hereafter, a grievous penalty would have seized you in that ye rushed glibly into this affair.
PICKTHAL: Had it not been for the grace of Allah and His mercy unto you in the world and the Hereafter an awful doom had overtaken you for that whereof ye murmured.
SHAKIR: And were it not for Allah’s grace upon you and His mercy in this world and the hereafter, a grievous chastisement would certainly have touched you on account of the discourse which you entered into.
KHALIFA: If it were not for GOD’s grace towards you, and His mercy in this world and in the Hereafter, you would have suffered a great retribution because of this incident.
১৪। দুনিয়া ও আখিরাতে যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহ্র দয়া ও অনুগ্রহ না থাকতো, তবে তোমাদের এই [কুৎসা ] রটনার জন্য মহাশাস্তি তোমাদের ঘিরে ধরতো ২৯৬৭।
২৯৬৭। দেখুন আয়াত [ ২৪ : ১০ ]। হযরত আয়েশার [ রা ] মাধ্যমে যে ঘটনার সুত্রপাত ঘটে, আল্লাহ্র করুণা না থাকলে কুৎসা রটনার দরুণ দুনিয়ার ও আখেরাতের কল্যাণ তাদের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যেতো এবং কঠিন শাস্তি তাদের স্পর্শ করতো ইহকালে এবং পরকালেও। ইহকালে, কারণ নবীজীর [সা ] বিচক্ষণতা ও জ্ঞান দ্বারা ঘটনাটির সুত্রপাতেই যদি বিনষ্ট হয়ে না যেতো, তবে নব্য গঠিত মুসলিম উম্মার মধ্যে যারা ছিলো তাঁর ঘনিষ্ঠ ও নিকটজন এবং মুসলিম জগতের স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব , তাদের মাঝে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতো এবং মুসলিম উম্মার একতাতে ফাটল ধরতো। ইহকালের এই বিপর্যয় থেকে আল্লাহ্ নও মুসলিমদের রক্ষা করেন। যারা এই মিথ্যার রটনা করেছিলো এবং অংশ গ্রহণ করেছিলো তাদের পরকাল বা আধ্যাত্মিক জগত ধ্বংস হয়ে যেতো, যদি না তারা ঠিক সময়েই তওবা করে ক্ষমার সুযোগ লাভ করতো। তাদের মনে কোনও সন্দেহ বা বিভেদ বা অবিশ্বাস, বা বিদ্বেষের বিষবাষ্প ছিলো না, – সম্পূর্ণ ব্যাপারটির ফয়সালা হয়ে যাওয়ার পরে। এ ভাবেই মুসলিম উম্মার ইহকাল ও পরকাল রক্ষা পায় আল্লাহ্র করুণায়।