তোমরা কি ধারণা কর যে, আমি তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার কাছে ফিরে আসবে না?
”Did you think that We had created you in play (without any purpose), and that you would not be brought back to Us?”
أَفَحَسِبْتُمْ أَنَّمَا خَلَقْنَاكُمْ عَبَثًا وَأَنَّكُمْ إِلَيْنَا لَا تُرْجَعُونَ
Afahasibtum annama khalaqnakum AAabathan waannakum ilayna la turjaAAoona
YUSUFALI: “Did ye then think that We had created you in jest, and that ye would not be brought back to Us (for account)?”
PICKTHAL: Deemed ye then that We had created you for naught, and that ye would not be returned unto Us?
SHAKIR: What! did you then think that We had created you in vain and that you shall not be returned to Us?
KHALIFA: “Did you think that we created you in vain; that you were not to be returned to us?”
১১৪। তিনি বলবেন, ” তোমরা অল্পকালই অবস্থান করেছিলে, – যদি তোমরা তা জানতে !
১১৫। “তোমরা কি তবে মনে করেছিলে যে, আমি তোমাদের কৌতুকচ্ছলে সৃষ্টি করেছি এবং তোমরা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না ? ” ২৯৫০
২৯৫০। মানুষ হচেছ ” আশরাফুল মাখলুকাত ” – স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। মানুষকে সৃষ্টি স্রষ্টা উদ্দেশ্য বিহীনভাবে করেন নাই। এই সৃষ্টির পিছনে স্রষ্টার এক নির্দ্দিষ্ট উদ্দেশ্য বিদ্যমান। সুতারাং পার্থিব জীবন অসার বিষয়বস্তুতে নষ্ট করা উচিত নয়। মানুষের জন্য আছে পরকালের জবাবদিহিতা। এই পৃথিবীর সকল কাজকর্মের হিসাব তাকে পরকালে আল্লাহ্র নিকট দিতে হবে। এই পৃথিবীর জীবন স্বপ্ন বা অলীক নয়। এ জীবন সত্য, এ জীবন পরলোকের জন্য নিবেদিত। কবরেই জীবনের শেষ নয়। সুতারাং আমরা সকলে আন্তরিক ভাবে পরলোকের জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করবো। আল্লাহ্ যে উদ্দেশ্যে আমাদের সৃষ্টি করেছেন সেই উদ্দেশ্যের প্রতি আন্তরিকভাবে অগ্রসর হওয়া ও সত্যকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করা মানুষের কর্তব্য। যে চেষ্টা করে আল্লাহ্র করুণা তাঁকে বেষ্টন করে থাকে।