বলুন পৃথিবী এবং পৃথিবীতে যারা আছে, তারা কার? যদি তোমরা জান, তবে বল।
Say: ”Whose is the earth and whosoever is therein? If you know!”
قُل لِّمَنِ الْأَرْضُ وَمَن فِيهَا إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ
Qul limani al-ardu waman feeha in kuntum taAAlamoona
YUSUFALI: Say: “To whom belong the earth and all beings therein? (say) if ye know!”
PICKTHAL: Say: Unto Whom (belongeth) the earth and whosoever is therein, if ye have knowledge?
SHAKIR: Say: Whose is the earth, and whoever is therein, if you know?
KHALIFA: Say, “To whom belongs the earth and everyone on it, if you know?”
৮২। তারা বলে , ” কি ! যখন আমাদের মৃত্যু হবে এবং আমরা মাটি এবং অস্থিতে পরিণত হব, সত্যিই কি তখন আমাদের পুনরায় উত্থিত করা হবে ?
৮৩। ” আমাদের এরূপ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে এবং অতীতে আমাদের পূর্ব পুরুষদেরও। এগুলি তো প্রাচীন কালের কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু নয়। ”
৮৪। বল : ” এই পৃথিবী এবং এতে যা আছে তা কার অধিকারে ? যদি তোমরা জান [ তবে বল ]। ”
৮৫। তারা বলবে : ” আল্লাহ্র। ” বল : ” তবুও কি তোমরা সর্তক বাণী গ্রহণ করবে না ২৯২৭। ”
২৯২৭। যারা পরলোকের জীবনে অবিশ্বাসী , তাদের এই আয়াতের মাধ্যমে চারিদিকের পৃথিবীতে দৃষ্টিপাত করতে বল হয়েছে। এই পৃথিবী ও পৃথিবীর সকল কিছু এবং বিশাল বিশ্ব-ভূবন অমোঘ প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত। কে তাদের জন্য এই নিয়মের সৃষ্টি করলো ? এ সব জড় ও জীব পদার্থ অবশ্যই তাদের নিজস্ব ধর্মের প্রচলন নিজে নিজে করে নাই। বাইরে থেকে কোন এক শক্তি তাদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। প্রকৃতির এসব অমোঘ শক্তির দিকে এসব অবিশ্বাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এরা এই শক্তির উৎস – আল্লাহ্ বলে স্বীকার করে। দৃষ্টিকে আর একটু প্রসারিত করলে বিশাল নভোমন্ডলের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। অসীম আকাশ আমাদের দৃষ্টিসীমার বাইরে বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত ; যার শেষ কোথায় বর্তমান বিজ্ঞান তা বলতে পারে না। কাছের আকাশের অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। কে এই সৌন্দর্যকে সৃষ্টি করেন? মহা বিশ্ব ভূবনের নিয়ন্ত্রণের পিছনে যে শক্তি কাজ করে, এসব অবিশ্বাসীদের তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে এবং বিশাল মহা বিশ্ব ভূবনের তুলনায় নিজেদের ক্ষুদ্রতাকে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে।