এটা এ জন্যে যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাত্রির মধ্য দাখিল করে দেন এবং আল্লাহ সবকিছু শোনেন, দেখেন।
That is because Allâh merges the night into the day, and He merges the day into the night. And verily, Allâh is All-Hearer, All-Seer.
ذَلِكَ بِأَنَّ اللَّهَ يُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَيُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ اللَّهَ سَمِيعٌ بَصِيرٌ Thalika bi-anna Allaha yooliju allayla fee alnnahari wayooliju alnnahara fee allayli waanna Allaha sameeAAun baseerun
YUSUFALI: That is because Allah merges night into day, and He merges day into night, and verily it is Allah Who hears and sees (all things).
PICKTHAL: That is because Allah maketh the night to pass into the day and maketh the day to pass into the night, and because Allah is Hearer, Seer.
SHAKIR: That is because Allah causes the night to enter into the day and causes the day to enter into the night, and because Allah is Hearing, Seeing.
KHALIFA: It is a fact that GOD merges the night into the day, and merges the day into the night, and that GOD is Hearer, Seer.
৬১। ইহা এ জন্য যে, আল্লাহ্ রাত্রিকে প্রবেশ করান দিবসের মাঝে, এবং দিবসকে প্রবেশ করান রাত্রির মাঝে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ [ সব ] শোনেন [ সব ] দেখেন ২৮৪১।
২৮৪১। অনেকের কাছে আল্লাহ্র গুণাবলীর বর্ণনাকে অদ্ভুদ ও সামঞ্জস্যহীন মনে হতে পারে। কারণ একই সাথে বলা হয়েছেঃ তিনি দয়ালু আবার সেই সাথে ন্যায় বিচারক, তিনি বান্দাকে রক্ষা করেন আবার সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ অর্থাৎ আল্লাহ্র রাস্তায় শহীদ হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন। একদিকে মন্দের পরিবর্তে ভালো করার আদেশ দান করেন, আবার সমপরিমাণ প্রতিশোধেরও অধিকার দান করেছেন। কিন্তু যারা অদূরদর্শী শুধু তারাই আল্লাহ্র সম্বন্ধে এরূপ চিন্তা করতে পারে। কারণ বিশ্ব প্রকৃতির মাঝে , আল্লাহ্র সৃষ্টির মাঝে এরূপ বহু সামঞ্জস্যহীনতা বিদ্যমান। ” আল্লাহ্ রাত্রিকে প্রবেশ করান দিবসের মধ্যে এবং দিবসকে প্রবিষ্ট করান রাত্রির মধ্যে।” অর্থাৎ আমাদের চেনা পৃথিবীর দিন রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধির উদাহরণ এখানে দেয়া হয়েছে। দিনের বা রাত্রির কোনও নির্দ্দিষ্ট সীমা রেখা নাই। বছরের কোনও সময়ে রাত্রি দিবসের মাঝে প্রবেশ করে দিবসকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলে , আবার কখনও দিবস রাত্রির মাঝে প্রবেশ করে রাত্রিকে সংক্ষিপ্ত করে ফেলে। দিবা রাত্রির পরিবর্তিত অবস্থান সত্বেও রাত্রি হচ্ছে বিশ্রামের জন্য নির্দ্দিষ্ট। বিশ্ব প্রকৃতি সুপ্তির কোলে ঢলে পড়ে। দিন হচ্ছে কর্মচাঞ্চল্যের জন্য নির্দ্দিষ্ট। সূর্যের প্রদীপ্ত আলোতে ভাস্বর সুন্দর এই পৃথিবী হেসে ওঠে। এই পৃথিবীতে অসংখ্য সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ্র শিল্পী সত্তা ও জ্ঞানের চিহ্ন ভাস্বর, যা মানুষের সর্বোচ্চ জ্ঞানও অনুধাবনে অক্ষম। ঠিক সেরকম এই পৃথিবীতে মানুষে মানুষে , সামাজিক অবস্থান ও পরস্পরের সম্পর্কের ক্ষেত্র অত্যন্ত জটিলতায় পরিপূর্ণ যা সব সময়ে আমাদের পক্ষে অনুধাবন সম্ভব নয়। একমাত্র আল্লাহ্র পক্ষেই সম্ভব এসব সুক্ষ ভেদাভেদ সম্পর্কে অবহিত হওয়া এবং তাঁর সৃষ্ট জীবের আবেদনে সাড়া দেওয়া।