আল্লাহ মুমিনদের থেকে শত্রুদেরকে হটিয়ে দেবেন। আল্লাহ কোন বিশ্বাসঘাতক অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
Truly, Allâh defends those who believe. Verily! Allâh likes not any treacherous ingrate to Allâh [those who disobey Allâh but obey Shaitân (Satan)].
إِنَّ اللَّهَ يُدَافِعُ عَنِ الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ كُلَّ خَوَّانٍ كَفُورٍ
Inna Allaha yudafiAAu AAani allatheena amanoo inna Allaha la yuhibbu kulla khawwanin kafoorin
YUSUFALI: Verily Allah will defend (from ill) those who believe: verily, Allah loveth not any that is a traitor to faith, or show ingratitude.
PICKTHAL: Lo! Allah defendeth those who are true. Lo! Allah loveth not each treacherous ingrate.
SHAKIR: Surely Allah will defend those who believe; surely Allah does not love any one who is unfaithful, ungrateful.
KHALIFA: GOD defends those who believe. GOD does not love any betrayer, unappreciative.
৩৭। আল্লাহ্র নিকট ইহাদের গোশ্ত বা রক্ত কিছুই পৌঁছায় না বরং পৌঁছায় তোমাদের [আল্লাহ্র ] প্রতি অনুরাগ। এভাবেই তিনি ইহাদের তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যেনো তোমরা আল্লাহ্র মহিমা কীর্তন করতে পার, এজন্য যে তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন ২৮১৫। যারা সৎ কাজ করে তুমি তাদের সুসংবাদ দাও।
৩৮। অবশ্যই আল্লাহ্ বিশ্বাসীদের রক্ষা করবেন। তিনি কোন বিশ্বাসঘাতক ও অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।
২৮১৫। আল্লাহ্র জন্য আত্মত্যাগের মর্মবাণী উদ্ধৃত করা হয়েছে টিকা ২৮১০। আল্লাহ্ এই বিশ্ব ভূবনের মালিক। কোরবাণীর পশুর রক্ত, মাংস কিছুই তার কাছে পৌঁছায় না। যা পৌঁছায় তা হচ্ছে বান্দার সৎকাজে আত্মোৎসর্গের নিয়ত। পৌত্তলিক এবং আরব মোশরেকরা সে যুগে দেব-দেবীর পূজা করতো প্রাণী বলি দ্বারা অর্থাৎ রক্ত দ্বারা দেব-দেবীর মনোরঞ্জন করা হতো। এটা ছিলো তাদের নিজস্ব কল্পনা। যিনি পৃথিবীর স্রষ্টা, বিশ্ব বিধাতা তাঁর তো সৃষ্ট পদার্থের রক্তের প্রয়োজন নাই। তিনি তো অভাবমুক্ত। তিনি চান ভক্তের আকুল আকুতি , ভালোবাসা ,ভক্তি ও শ্রদ্ধার ডালি এবং আল্লাহ্র জন্য আত্মোৎসর্গ। ভক্তের এই প্রাণের ভালোবাসার প্রকাশের জন্য আনুষ্ঠানিক যে ব্যবস্থা তাই হচ্ছে পশু কোরবাণী। আত্মোৎসর্গের প্রতীক হচ্ছে কোরবাণী যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় হযরত ইব্রাহীমের সর্বোচ্চ আত্মাত্যাগের কাহিনী। একমাত্র মনের এই আত্মত্যাগের মহত্তম দিকটি আনুষ্ঠানিক কর্মের মাধ্যমে প্রকাশের জন্যই পশু হত্যার নির্দ্দেশ দেয়া হয়েছে এবং সেই কারণেই কোরবাণীর পশুর উপরে আল্লাহ্র নামে কোরবাণী দেওয়ার নির্দ্দেশ দান করা হয়েছে। অন্যথায় জীবনের পবিত্রতা ও মহার্ঘতা আমরা বিস্মৃত হতাম। আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনার মাধ্যমে পশু জবেহ্ করার হুকুম কারণ আল্লাহ্র করুণার পরিবর্তে আমরা খাদ্য সংগ্রহ করি পশু হত্যার মাধ্যমে। এই আনুষ্ঠানিকতা আমাদের উজ্জীবিত করে আল্লাহ্র করুণার প্রতি – যা মন থেকে পশু হত্যার নিষ্ঠুরতার দিকটি অবমূল্যায়ন করতে সক্ষম হয়। কোরবাণীর পশুর দুই -তৃতীয়াংশ গরীবদের মাঝে ও আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করা হয়। এ ভাবেই কোরবাণীর প্রতীককে মানবতার সেবার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। নিজস্ব কিছু গরীব ও আত্মীয়দের জন্য আত্মত্যাগের মনোভাবই হচ্ছে কোরবাণীর মূল সুর। চরিত্রের মাঝে এই দুলর্ভ গুণরাজির প্রকাশই হচ্ছে কোরবাণীর আত্মত্যাগের নির্যাস। স্রষ্টার নিকট আমাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে হয় এ জন্য যে আল্লাহ্ আমাদের দূর্লভ চারিত্রিক গুণাবলী অর্জন করার সুযোগ দান করেছেন, আমাদের পথের নির্দ্দেশনা দান করেছেন। আমাদের জাতীয় জীবনে আজকে বহু লোককে দেখা যায় যারা কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে। যারা কোরবাণীর মাধ্যমে অর্থ বিত্তের প্রদর্শনীর প্রতিযোগিতা করে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং আত্মত্যাগ, কোরবাণীর এই মহৎ শিক্ষাকে জাতীয় জীবনে জাগরিত করা সকলের কর্তব্য।