যাদের অন্তর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে ভীত হয় এবং যারা তাদের বিপদাপদে ধৈর্য্যধারণ করে এবং যারা নামায কায়েম করে ও আমি যা দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে।
Whose hearts are filled with fear when Allâh is mentioned; who patiently bear whatever may befall them (of calamities); and who perform AsSalât (Iqâmat-as-Salât), and who spend (in Allâh’s Cause) out of what We have provided them.
الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللَّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَالصَّابِرِينَ عَلَى مَا أَصَابَهُمْ وَالْمُقِيمِي الصَّلَاةِ وَمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنفِقُونَ
Allatheena itha thukira Allahu wajilat quloobuhum waalssabireena AAala ma asabahum waalmuqeemee alssalati wamimma razaqnahum yunfiqoona
YUSUFALI: To those whose hearts when Allah is mentioned, are filled with fear, who show patient perseverance over their afflictions, keep up regular prayer, and spend (in charity) out of what We have bestowed upon them.
PICKTHAL: Whose hearts fear when Allah is mentioned, and the patient of whatever may befall them, and those who establish worship and who spend of that We have bestowed on them.
SHAKIR: (To) those whose hearts tremble when Allah is mentioned, and those who are patient under that which afflicts them, and those who keep up prayer, and spend (benevolently) out of what We have given them.
KHALIFA: They are the ones whose hearts tremble upon mentioning GOD, they steadfastly persevere during adversity, they observe the Contact Prayers (Salat), and from our provisions to them, they give to charity.
৩৫। তাদেরকে যাদের হৃদয়, আল্লাহ্র উল্লেখে ভয়ে ভীত হয়, যারা বিপদ বিপর্যয়কালে ধৈর্যশীল ও অধ্যাবসায়ী হয়, নিয়মিত সালাত কায়েম করে, এবং আমি তাদের যা দান করেছি তা থেকে [ দানে ] ব্যয় করে ২৮১২।
২৮১২। মুত্তাকী বা খোদাভীরুদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যবলী এই আয়াতগুলিতে বর্ণনা করা হয়েছে। ক্রম অনুযায়ী তা নিম্নরূপ : ১) বিনয় হবে তাদের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ্র ক্ষমতার কাছে নিজের ক্ষুদ্রতা ও তুচ্ছতা অনুধাবনের মাধ্যমেই জন্ম নেয় আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্য, বিনয়, ও আত্মসমর্পনের মানসিকতা। ফলে আল্লাহ্র হেদায়েত বিনয়ী ব্যক্তির মনে রেখাপাত করে; আল্লাহ্র হেদায়েত গ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে। এক কথায় বিনয়ী ব্যক্তিকে আল্লাহ্ হেদায়েত করেন। ২) আল্লাহ্ ভীতি তাদের হৃদয়কে কম্পিত করে। এই আল্লাহ্ ভীতি তীব্র ভালোবাসারই আর এক [ দেখুন টিকা ২৬ ] প্রকাশ। প্রিয়জনকে অসন্তুষ্ট করার ভয় ও ব্যথা এই হচ্ছে তার ‘তাকওয়া’ বা আল্লাহ্ ভীতির মূল উৎস। আল্লাহ্র প্রতি এই ভালোবাসার তীব্রতার ফল্গুধারা তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলে স্বতঃ প্রবাহিত। ৩) তারা পার্থিব কোনও বিপদ-আপদে ভীত হয় না, বরং ধৈর্য্য এবং অধ্যাবসায়ের ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহ্র অনুগ্রহের প্রত্যাশা করে। তারা বিপদ -বিপর্যয়কে আল্লাহ্র পরীক্ষা বলে জানে , এবং ধৈর্যের সাথে দৃঢ় পদক্ষেপে বিপদের ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ পথ আল্লাহ্র উপরে নির্ভর করে অতিক্রম করার প্রয়াস পায়। ৪) ফলে এসব বিপদ বিপর্যয়ের মাঝে এ সব পূণ্যাত্মাদের যে প্রার্থনা তা শুধুমাত্র কোনও আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত থাকে না। তাদের প্রার্থনা বা সালাত উৎসরিত হয় অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে। তাদের অন্তরের আকুতি থাকে এক আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে নিবেদিত। আল্লাহ্র করুণার সাথে তাদের সরাসরি যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা পায়, ফলে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং বন্ধুর পথ চলার শক্তি উদ্দীপ্ত হয় ঠিক সেই ভাবে যে ভাবে একজন প্রভুভক্ত ভৃত্য তার দয়ালু ও অনুভূতিশীল মনিবের উপস্থিতিতে উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। ৫) তাঁরা শোকর করেন আল্লাহ্ তাদের যে নেয়ামত দান করেছেন তার জন্য। কৃতজ্ঞতার এই প্রকাশ প্রতিদিনের জীবনে আল্লাহ্র সৃষ্টির সেবায় দানের মাধ্যমে এই কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটানো। অভাবগ্রস্থদের মাঝে দান করা আল্লাহ্র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর শ্রেষ্ঠ ভাষা।