রুকু – ৩
২৩। যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আল্লাহ্ তাদের অধিষ্ঠিত করবেন বেহেশতের বাগানে, পাদদেশে যার নদী প্রবাহিত। সেখানে তাদের স্বর্ণ- কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা সাজানো হবে। এবং সেখানে তাদের পোষাক হবে রেশমের। ২৭৯৫
২৪। [ এই পৃথিবীর জীবনে ] তারা সর্বোচ্চ পবিত্র বাক্য [ কুর-আন ] দ্বারা পরিচালিত ছিলো এবং যিনি [ সকল ] প্রশংসার যোগ্য তার পথে পরিচালিত হয়েছিলো।
২৭৯৫। উপরের আয়াতে [ ২২ : ১৪ ] মোমেন বান্দাদের পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছে বিপরীতে [ ২২ : ১০ – ১৩ ] কাফের দল ; এই দুদল ইসলামের যুগেই হোক বা তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব যুগের জন্য প্রযোজ্য। এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে যারা কাফেরদের দ্বারা অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হন, যাদের কাবা শরীফে [আল্লাহ্র পথে ] প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই এবং জীবনের সকল সুখ, স্বচ্ছন্দ, আরাম – আয়েশ থেকে যাদের বঞ্চিত করা হয়। তাদের জন্য প্রতীকের মাধ্যমে বেহেশতের সুখ শান্তির বর্ণনা করা হয়েছে। যা থেকে বোঝা যায় প্রতিটি পুরষ্কার হচ্ছে নির্দিষ্ট নির্যাতনের বিপরীতে শান্তির প্রলেপ। অলঙ্কৃত করা হবে স্বর্ণ কঙ্কন ও মুক্তা দ্বারা , অর্থাৎ যারা পৃথিবীতে অত্যাচারের দ্বারা তাদের গৃহ এবং সম্পত্তিচ্যুত হয়েছিলেন, তারা বেহেশতে তদপেক্ষা অধিক মূল্যবান বস্তু দ্বারা পুরষ্কৃত হবেন। এখানে মূল্যবান বিষয় সম্পত্তির প্রতীক হিসেবে “স্বর্ণ কঙ্কণ ও মুক্তা ও রেশমের পোষাক ” কে বর্ণনা করা হয়েছে যা সাধারণত নৃপতিরা ব্যবহার করে। ” পবিত্র বাক্য ” [ ২২ : ২৪ ] যার বিপরীত হচ্ছে অকথ্য ভত্র্সনা। অর্থাৎ ভর্তসনা ও নির্যাতনের বিপরীতে ” পবিত্র বাক্যের” বা মধুর ব্যবহারের যে সুখ ,সেই সুখ তারা পাবে। “পরম প্রশংসা ভাজন আল্লাহ্র পথে” এর বিপরীতে হচ্ছে, নিষ্ঠুর নির্যাতন ও অত্যাচার যা তারা ভোগ করেছিলেন। অর্থাৎ পৃথিবীতে ভর্তসনা ও অত্যাচারে বিপরীত অবস্থা তারা বেহেশতে লাভ করবে। সেখানে তাদেরকে আল্লাহ্র পবিত্র বাক্য ও আল্লাহ্র পথে অনুগামী করা হবে।