সে ধারণা করে যে, আল্লাহ কখনই ইহকালে ও পরকালে রাসূলকে সাহায্য করবেন না, সে একটি রশি আকাশ পর্যন্ত ঝুলিয়ে নিক; এরপর কেটে দিক; অতঃপর দেখুক তার এই কৌশল তার আক্রোশ দূর করে কিনা।
Whoever thinks that Allâh will not help him (Muhammad SAW) in this world and in the Hereafter, let him stretch out a rope to the ceiling and let him strangle himself. Then let him see whether his plan will remove that whereat he rages!
مَن كَانَ يَظُنُّ أَن لَّن يَنصُرَهُ اللَّهُ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ فَلْيَمْدُدْ بِسَبَبٍ إِلَى السَّمَاء ثُمَّ لِيَقْطَعْ فَلْيَنظُرْ هَلْ يُذْهِبَنَّ كَيْدُهُ مَا يَغِيظُ
Man kana yathunnu an lan yansurahu Allahu fee alddunya waal-akhirati falyamdud bisababin ila alssama-i thumma liyaqtaAA falyanthur hal yuthhibanna kayduhu ma yagheethu
YUSUFALI: If any think that Allah will not help him (His Messenger) in this world and the Hereafter, let him stretch out a rope to the ceiling and cut (himself) off: then let him see whether his plan will remove that which enrages (him)!
PICKTHAL: Whoso is wont to think (through envy) that Allah will not give him (Muhammad) victory in the world and the Hereafter (and is enraged at the thought of his victory), let him stretch a rope up to the roof (of his dwelling), and let him hang himself. Then let him see whether his strategy dispelleth that whereat he rageth!.
SHAKIR: Whoever thinks that Allah will not assist him in this life and the hereafter, let him stretch a rope to the ceiling, then let him cut (it) off, then let him see if his struggle will take away that at which he is enraged.
KHALIFA: If anyone thinks that GOD cannot support him in this life and in the Hereafter, let him turn completely to (his creator in) heaven, and sever (his dependence on anyone else). He will then see that this plan eliminates anything that bothers him.
১৫। যদি কেউ মনে করে থাকে যে, আল্লাহ্ তাঁকে [ রাসুলকে ] এই পৃথিবীতে এবং পরকালে সাহায্য করবেন না, তবে তাঁর উচিত যে, সে যেনো আকাশের দিকে একটি দড়ি টানায় এবং [ নিজেকে ] বিচ্ছিন্ন করে ২৭৮৬। অতঃপর দেখুক তার এই প্রচেষ্টা, তার আক্রোশের হেতু দূর করে কি না।
২৭৮৬। এই আয়াতটি সম্বন্ধে তফসীরকারদের মতদ্বৈত আছে। অধিকাংশ তফসীরকারের মতে ” আল্লাহ্ তাকে ” বাক্যটির মধ্যে ” তাকে” সর্বনামটি রাসুলের (সা) পরিবর্তে ব্যবহার হয়েছে। এবং “যদি কেহ ” বাক্যটির মধ্যে “কেহ” শব্দটি রাসুলের (সা) শত্রুদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়েছে। এই লাইনটির অর্থ দাঁড়ায় রাসুলের (সা) শত্রুদের সর্বান্তকরণের ইচ্ছা ছিলো, যে কোন ভাবে আল্লাহ্ নবীর ধ্বংস কামনা। মওলানা ইউসুফ আলী এখানে ইবনে আব্বাসকে অনুসরণ করেছেন যাকে অধিকাংশ তফসীরকারগণ অনুসরণ করে থাকেন। সম্পূর্ণ আয়াতটির অর্থ দাঁড়ায় যে, রাসুলের (সা) শত্রুরা তাঁর সাফল্যে যদি রাগে অন্ধ হয়ে যায় ,তবে তারা ছাদে রজ্জু ঝুলিয়ে তাতে ঝুলে পড়ুক। “Samaa” শব্দটি ঘরের ছাদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। যদি “Samaa” শব্দটির অর্থ “আকাশ ” হয় , যা এখানে করা হয়েছে, তাহলে সম্পূর্ণ আয়াতটির অর্থ দাঁড়াবে, : আল্লাহ্র সাহায্য ও রাসুলের (সা) সাফল্যে যদি রাসুলের (সা) শত্রুরা আক্রোশে অন্ধ হয়ে যায়, তবে তারা আকাশ পর্যন্ত দড়ি ঝুলিয়ে দিক এবং এভাবে তারা দেখুক যে তারা [ শত্রুরা ] আল্লাহ্র সাহায্য বন্ধ করতে পারে কি না। অন্য কথায় তারা নির্বোধ , কারণ তারা মনে করে তাদের নিম্নমানের কৌশল দ্বারা তারা আল্লাহ্র রাসুলকে (সা) আল্লাহ্র সাহায্যচ্যুত করতে পারবে। সারকথা এই যে, ইসলামের পথ রুদ্ধকারী শত্রু চায় যে, আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর রাসুল (সা) ও ধর্মকে সাহায্য না করুণ। সুতারাং যে ব্যক্তি রাসুল (সা) ও তাঁর ধর্মের উন্নতির পথ রুদ্ধ করতে চায়, তার সাধ্য থাকলে এরূপ কৌশল অবলম্বন করা উচিত যাতে নবুওয়াতের পদ বিলুপ্ত হয়ে যায় এবং ওহীর আগমন বন্ধ হয়ে যায়। এই অসম্ভব বিষয়বস্তুকে সম্ভব ধরে নেয়ার ভঙ্গীতে এভাবে ব্যক্ত করা হয়েছে যে, রসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে ওহী বন্ধ করতে সে কোনরূপে আকাশে পৌঁছে ওহী আসার পথ বন্ধ করে দিক।