আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল।
Allâh said: ”You are granted your request, O Mûsa (Moses)!
قَالَ قَدْ أُوتِيتَ سُؤْلَكَ يَا مُوسَى
Qala qad ooteeta su/laka ya moosa
YUSUFALI: (Allah) said: “Granted is thy prayer, O Moses!”
PICKTHAL: He said: Thou art granted thy request, O Moses.
SHAKIR: He said: You are indeed granted your petition, O Musa
KHALIFA: He said, “Your request is granted, O Moses.
৩৬। [আল্লাহ্ ] বলেছিলেন , ” হে মুসা! তোমার প্রার্থনা মঞ্জুর হলো !
৩৭। ” আমি তো [ পূর্বেও ] তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম।
৩৮। ” স্মরণ কর! ওহীর মাধ্যমে তোমার মাতাকে বাণী প্রেরণ করেছিলাম ২৫৫৭।
২৫৫৭। এই আয়াতের মাধ্যমে মুসার লালন – পালনের প্রধান প্রধান লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলির উপরে ইঙ্গিত দান করা হয়েছে। হযরত ইউসুফ যখন মিশরের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন সে সময়ে বণী ইসরাঈলীদের মিশরে আগমন ঘটে। হযরত ইউসুফের বহু বছর পরে এক ফেরাউন মিশরের সিংহাসনে আরোহণ করেন যিনি ইসরাঈলীদের ঘৃণা করতেন। তিনি ইসরাঈলীদের সদ্যজাত ছেলে শিশুদের মেরে ফেলার আদেশ দান করেন। এসময়েই হযরত মুসার জন্ম হয়। মুসার মা মুসাকে জন্মের পর থেকে গোপন করে রাখেন। কিন্তু যখন তা আর সম্ভব হলো না , তাঁর মনে উদয় হলো যে, শিশুকে একটি সিন্দুকে করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার কথা। তাঁর মনের এই কল্পনা কোন খাম-খেয়াল ছিলো না। এ ছিলো মহান আল্লাহর ইঙ্গিত। কারণ আল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো যে, হযরত মুসাকে তিনি মিশরের সর্বোচ্চ জ্ঞানে শিক্ষিত করবেন যেনো এই জ্ঞান তাকে এর অসম্পূর্ণতাকে প্রকাশ করতে ও আল্লাহর মহিমাকে ঘোষণা করতে সাহায্য করে। সিন্দুকটি নীল নদীতে ভেসে যাচ্ছিল। সিন্দুকটি যেয়ে নীলনদীর তীরে বাগানের পার্শ্বে আটকে যায়। সিন্দুকটি ফেরাউনের লোকজন তুলে নিয়ে ফেরাউনের প্রাসাদে নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ফেরাউনের স্ত্রী তাঁকে দত্তক পুত্ররূপে গ্রহণ করেন। এ সম্বন্ধে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আয়াত [ ২৮ : ৪ – ১৩ ]।