মানুষ কি স্মরণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না।
Does not man remember that We created him before, while he was nothing?
أَوَلَا يَذْكُرُ الْإِنسَانُ أَنَّا خَلَقْنَاهُ مِن قَبْلُ وَلَمْ يَكُ شَيْئًا
Awa la yathkuru al-insanu anna khalaqnahu min qablu walam yaku shay-an
YUSUFALI: But does not man call to mind that We created him before out of nothing?
PICKTHAL: Doth not man remember that We created him before, when he was naught?
SHAKIR: Does not man remember that We created him before, when he was nothing?
KHALIFA: Did the human being forget that we created him already, and he was nothing?
রুকু – ৫
৬৬। লোকে বলে, ” যখন আমি মরে যাব, তখন আমি আবার জীবিত অবস্থায় উত্থিত হব ?”
৬৭। কিন্তু মানুষ কি স্মরণ করে না যে, প্রথমে আমি তাকে শুণ্য থেকে সৃষ্টি করি ?
৬৮। সুতারাং তোমার প্রভুর শপথ ! নিঃসন্দেহে আমি ওদের এবং [তাদের সাথে ] শয়তানাদেরও একসঙ্গে সমবেত করবো ২৫১৬। অতঃপর আমি তাদের নতজানু করে জাহান্নামের চারিদিকে উপস্থিত করবো ২৫১৭।
২৫১৬। পরলোকে অবিশ্বাস করা, এটা যে শুধুমাত্র কোন দার্শনিক তত্বে সন্দেহ পোষণ করা তা নয়। এর সাথে জড়িত থাকে অবাধ্যতা, কুটিলতা, আত্মার ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা ও সহজাত প্রেরণা যা মানুষের অন্তরের অন্তঃস্থলের অবস্থানকে নির্ণয় করে। ঈমান বা বিশ্বাস আত্মার চেতনাকে সুসংহত করে, কেন্দ্রীভূত করে এক সুনির্দ্দিষ্ট লক্ষ্যের প্রতি। যার ফলে স্রষ্টাকে অনুভব করার ক্ষমতা, স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভের আকাঙ্খা, শান্তির পরশ উপলব্ধির ক্ষমতা সহজাত প্রেরণা হিসেবে নিজের আত্মার মাঝে জন্ম লাভ করে। আত্মার এ অবস্থায় আল্লাহ্র ক্ষমতা সম্বন্ধে আমাদের কোনও সন্দেহই থাকবে না। যে স্রষ্টা কোনও কিছু ব্যতীতই আমাদের সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি অবশ্যই আমাদের সত্ত্বা বা অনুভব বা ব্যক্তিত্বকে এক ভুবন থেকে অন্য ভূবনে স্থানান্তরিত করতে সক্ষম। অর্থাৎ দৈহিক মৃত্যুর পরেও আমাদের সত্ত্বাকে অপরিবর্তিত রাখতে সক্ষম। কিন্তু যদি আমরা ইচ্ছাকৃত ভাবে আল্লাহ্র পথ নির্দ্দেশকে অস্বীকার করি তবে আমাদের আত্মার একাগ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে, ফলে আত্মার মাঝে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। সৃষ্টি হবে সন্দেহ, বিভেদের। যার ফলে আল্লাহ্র রহমতের আলো এ সব আত্মায় প্রবেশে বাঁধা পায়। ফলে, তারা হয় আল্লাহ্র অনুগ্রহ বঞ্চিত। এদের কথাই বলা হয়েছে যাদের পরলোকে শয়তানের সাথে একত্র সমবেত করা হবে। শয়তান, মন্দ ও পাপের প্রতীক। অর্থাৎ এসব লোকের পাপ কার্যই হবে তাদের জন্য শয়তানের প্রতীক, যা পরলোকেও তাদের সাথে থাকবে। সেখানে কিন্তু তাদের উদ্ধত, একগুয়ে ও অবাধ্যতা দূর হয়ে যাবে। সত্যকে অস্বীকার করার প্রতিফল তারা সর্বোচ্চ বিনয়ের সাথে গ্রহণ করবে। ” নতজানু ” শব্দটি দ্বারা সর্বোচ্চ বিনয়কে বোঝানো হয়েছে।
২৫১৭। ” জাহান্নামের চতুর্দিক” পাপের পথ বহুবিধ। পাপের শাস্তি জাহান্নাম। বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন পথে মানুষ পাপ করে থাকে। কিন্তু সকল পাপের পথই একখানে এসে মিলিত হয়, আর তা হচ্ছে “জাহান্নাম “। সে জন্যই বলা হয়েছে দোযখের সাতটি দরজা। দেখুন আয়াত [ ১৫ : ৪৪ ] এবং টিকা ১৯৭৭।