এই কিতাবে ইদ্রীসের কথা আলোচনা করুন, তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী।
And mention in the Book (the Qur’ân) Idris (Enoch).Verily! He was a man of truth, (and) a Prophet.
وَاذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِدْرِيسَ إِنَّهُ كَانَ صِدِّيقًا نَّبِيًّا
Waothkur fee alkitabi idreesa innahu kana siddeeqan nabiyyan
YUSUFALI: Also mention in the Book the case of Idris: He was a man of truth (and sincerity), (and) a prophet:
PICKTHAL: And make mention in the Scripture of Idris. Lo! he was a saint, a prophet;
SHAKIR: And mention Idris in the Book; surely he was a truthful man, a prophet,
KHALIFA: And mention in the scripture Idris. He was a saint, a prophet.
৫৬। কিতাবে আরও উল্লেখ আছে ইদরীসের কাহিনী ২৫০৮। সে ছিলো সত্যবাদী [ বিশ্বস্ত এবং ] একজন নবী।
৫৭। এবং আমি তাঁকে উন্নীত করেছিলাম উচ্চ মর্যাদায়।
২৫০৮। কোরাণ শরীফে দুইবার হযরত ইদরীসের উল্লেখ আছে। এই সূরাতে ও সূরা [ ২১ : ৮৫ ] আয়াতে। যেখানে তাঁকে ধৈর্য্যশীল রূপে বর্ণনা করা হয়েছে। বাইবেলে [Gen . V. 21 – 24] তাঁর পরিচিতি হচ্ছে যিনি “Walked with God.” এ কথা সত্য হতেও পারে নাও হতে পারে। বাইবেলের [Gen. V. 24] বর্ণিত ভাষ্য [God took him] অনুযায়ী এই আয়াতকে [ ১৯ : ৫৭ ] ব্যাখ্যা করা যায় না। ” উচ্চ মর্যদায় উন্নীত করার ” অর্থ এই নয় যে, তিনি মৃত্যুর তোরণ অতিক্রম না করেই আল্লাহ্র নিকট উন্নীত হন। কোরাণ শরীফের বর্ণনা থেকে আমরা যেটুকু বুঝতে পারি তা হচ্ছে তিনি ছিলেন সত্যাশ্রয়ী, বিশ্বস্ত এবং তাঁর সম্প্রদায়ের নিকট তাঁর ছিলো উচ্চ মর্যদা। এই সব গুণাবলীতে তিনি যাদের সমকক্ষ ছিলেন , তাদের উল্লেখ করা হয়েছে তার উল্লেখের সম্বন্ধে। তিনি সর্বদা জনসাধারণের সংস্পর্শে থাকতেন এবং তিনি ছিলেন তাদের সম্মানের পাত্র। হযরত ইদ্রিসের উল্লেখের মাধ্যমে এই উপদেশ দেয়া হয়েছে যে, আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য আমাদের জনসংযোগ বিচ্যুত হওয়ার আবশ্যক নাই। আল্লাহ্কে পাওয়ার জন্য লোকালয় ত্যাগ করে বনে যাওয়ার প্রয়োজন নাই। কারণ যিনি আল্লাহ্র অনুগ্রহভাজন হবেন তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে অপরজনকে পথ দেখানো।