আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
Allâh burdens not a person beyond his scope. He gets reward for that (good) which he has earned, and he is punished for that (evil) which he has earned. ”Our Lord! Punish us not if we forget or fall into error, our Lord! Lay not on us a burden like that which You did lay on those before us (Jews and Christians); our Lord! Put not on us a burden greater than we have strength to bear. Pardon us and grant us Forgiveness. Have mercy on us. You are our Maulâ (Patron, Suppor-ter and Protector, etc.) and give us victory over the disbelieving people.”
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لاَ تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلاَ تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلاَ تُحَمِّلْنَا مَا لاَ طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلاَنَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
La yukallifu Allahu nafsan illa wusAAaha laha ma kasabat waAAalayha ma iktasabat rabbana la tu-akhithna in naseena aw akhta/na rabbana wala tahmil AAalayna isran kama hamaltahu AAala allatheena min qablina rabbana wala tuhammilna ma la taqata lana bihi waoAAfu AAanna waighfir lana wairhamna anta mawlana faonsurna AAala alqawmi alkafireena
YUSUFALI: On no soul doth Allah Place a burden greater than it can bear. It gets every good that it earns, and it suffers every ill that it earns. (Pray:) “Our Lord! Condemn us not if we forget or fall into error; our Lord! Lay not on us a burden Like that which Thou didst lay on those before us; Our Lord! Lay not on us a burden greater than we have strength to bear. Blot out our sins, and grant us forgiveness. Have mercy on us. Thou art our Protector; Help us against those who stand against faith.”
PICKTHAL: Allah tasketh not a soul beyond its scope. For it (is only) that which it hath earned, and against it (only) that which it hath deserved. Our Lord! Condemn us not if we forget, or miss the mark! Our Lord! Lay not on us such a burden as thou didst lay on those before us! Our Lord! Impose not on us that which we have not the strength to bear! Pardon us, absolve us and have mercy on us, Thou, our Protector, and give us victory over the disbelieving folk.
SHAKIR: Allah does not impose upon any soul a duty but to the extent of its ability; for it is (the benefit of) what it has earned and upon it (the evil of) what it has wrought: Our Lord! do not punish us if we forget or make a mistake; Our Lord! do not lay on us a burden as Thou didst lay on those before us, Our Lord do not impose upon us that which we have not the strength to bear; and pardon us and grant us protection and have mercy on us, Thou art our Patron, so help us against the unbelieving people.
KHALIFA: GOD never burdens a soul beyond its means: to its credit is what it earns, and against it is what it commits. “Our Lord, do not condemn us if we forget or make mistakes. Our Lord, and protect us from blaspheming against You, like those before us have done. Our Lord, protect us from sinning until it becomes too late for us to repent. Pardon us and forgive us. You are our Lord and Master. Grant us victory over the disbelieving people.”
২৮৬। আল্লাহ্ কোন আত্মাকে তার সাধ্যের অতীত ভার অর্পন করেন না ৩৪০। প্রতিটি সৌভাগ্য যা সে লাভ করে তা তারই অর্জন, এবং প্রতিটি দুর্ভাগ্য যা সে ভোগ করে তা তারই অর্জন। [প্রার্থনা], “হে আমাদের প্রভু ! যদি আমরা ভুলে যাই অথবা বিভ্রান্ত হই তুমি আমাদের দোষ নিও না। হে প্রভু ! আমাদের উপর সেরূপ ভার অর্পণ করো না, যেরূপ তুমি আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপরে অর্পণ করেছিলে ৩৪১। হে আমাদের প্রভু ! এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন করে দাও, এবং আমাদের ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি অনুগ্রহ কর। তুমিই আমাদের রক্ষাকর্তা। যারা ঈমানের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাদের বিরুদ্ধে তুমি আমাদের সাহায্য কর।”
৩৪০। দেখুন [২ : ২৩৩] “আল্লাহ্ কোন আত্মাকে তার সাধ্যের অতীত ভার অর্পণ করেন না।” [২ : ২৮৬] আয়াতের এই লাইনটি আয়াত [২ : ২৩৩] এর পুনরাবৃত্তি। [২ : ২৩৩] আয়াতে এই কার্যাভারকে আর্থিক সঙ্গতির প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করা হয় এবং এখানে আধ্যাত্মিক শক্তির প্রেক্ষিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে আল্লাহ্ আমাদের আশ্বস্ত করছেন যে, আমাদের আত্মার যার যতটুকু ক্ষমতা, আল্লাহ্ তার কাছে ততটুকুই আনুগত্য দাবী করবেন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, আমাদের ক্ষমতার যেনো পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে পারি, এই প্রার্থনা আল্লাহ্র কাছে করা।
৩৪১। “আমাদের উপরে সেরূপ ভার অর্পণ করে না, যেরূপ তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপরে অর্পণ করেছিলে।” এর অর্থ বনী ইসরাঈলের উপর যে সেব কঠিন কাজ-কর্ম আরোপিত ছিল। আমাদের মনে যেনো কোনও উদ্ধতপনা বা অহংকার থেকে নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করার প্রবণতা না জন্মে। বরং আমাদের এই কথা মনে রাখতে হবে যে, তারা তাদের বোঝা বা ভার (আল্লাহ্ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব) বহনে অক্ষম হয়েছিল। আল্লাহ্ আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক হালকা করে দিয়েছেন। সুতরাং এই বোধ থেকে আমরা আল্লাহ্র কাছে আত্মসমর্পণের জন্য এবং তার ক্ষমা পাওয়ার জন্য আকুতি প্রকাশ করবো। আল্লাহ্র রাস্তায় চলার জন্য একমাত্র সম্বল হচ্ছে আল্লাহ্র ক্ষমা ও সাহায্য প্রার্থনা।
এখানেই সূরা বাকারার শেষ। এই সূরায় সামাজিক বিধি-বিধান বিস্তারিতভাবে উল্লিখিত হয়েছে। শেষ করা হয়েছে আল্লাহ্র সাহায্য প্রার্থনার মাধ্যমে। এই সাহায্য ব্যক্তিস্বার্থে নয় বরং সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে। এই সাহায্য চাওয়া হয়েছে কাফিরদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসীদের জয়ের মাধ্যমে অর্থাৎ অন্যায় অসত্যের বিরুদ্ধে সত্যের ও বিশ্বাসের জয়ের মাধ্যমে।