তাদেরকে সৎপথে আনার দায় তোমার নয়। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যে মাল তোমরা ব্যয় কর, তা নিজ উপাকারার্থেই কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় করো না। তোমরা যে, অর্থ ব্যয় করবে, তার পুরস্কার পুরোপুরি পেয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।
Not upon you (Muhammad SAW) is their guidance, but Allâh guides whom He wills. And whatever you spend in good, it is for yourselves, when you spend not except seeking Allâh’s Countenance. And whatever you spend in good, it will be repaid to you in full, and you shall not be wronged.
لَّيْسَ عَلَيْكَ هُدَاهُمْ وَلَـكِنَّ اللّهَ يَهْدِي مَن يَشَاء وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ فَلأنفُسِكُمْ وَمَا تُنفِقُونَ إِلاَّ ابْتِغَاء وَجْهِ اللّهِ وَمَا تُنفِقُواْ مِنْ خَيْرٍ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ
Laysa AAalayka hudahum walakinna Allaha yahdee man yashao wama tunfiqoo min khayrin fali-anfusikum wama tunfiqoona illa ibtighaa wajhi Allahi wama tunfiqoo min khayrin yuwaffa ilaykum waantum la tuthlamoona
YUSUFALI: It is not required of thee (O Messenger), to set them on the right path, but Allah sets on the right path whom He pleaseth. Whatever of good ye give benefits your own souls, and ye shall only do so seeking the “Face” of Allah. Whatever good ye give, shall be rendered back to you, and ye shall not Be dealt with unjustly.
PICKTHAL: The guiding of them is not thy duty (O Muhammad), but Allah guideth whom He will. And whatsoever good thing ye spend, it is for yourselves, when ye spend not save in search of Allah’s Countenance; and whatsoever good thing ye spend, it will be repaid to you in full, and ye will not be wronged.
SHAKIR: To make them walk in the right way is not incumbent on you, but Allah guides aright whom He pleases; and whatever good thing you spend, it is to your own good; and you do not spend but to seek Allah’s pleasure; and whatever good things you spend shall be paid back to you in full, and you shall not be wronged.
KHALIFA: You are not responsible for guiding anyone. GOD is the only one who guides whoever chooses (to be guided). Any charity you give is for your own good. Any charity you give shall be for the sake of GOD. Any charity you give will be repaid to you, without the least injustice.
২৭২। [হে নবী] তাদের সৎপথ গ্রহণের দায়িত্ব তোমার নয়; ৩২০; বরং আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা সৎপথে পরিচালিত করেন। যা কিছু ভালো [কাজ] তোমরা কর, তা করবে তোমাদের নিজের আত্মার কল্যাণের জন্য। এবং তোমরা তা করবে শুধু মাত্র আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য ৩২১। যা কিছু ভালো [কাজ] করবে, তা তোমাদের ফেরত দেয়া হবে, এবং তোমাদের প্রতি কোন অন্যায় করা হবে না।
৩২০। অনেক সাহাবী, কাফিরদেরকে এ উদ্দেশ্যে দান খয়রাত দিতেন যে, সম্ভবতঃ এ কৌশলে কিছু লোক মুসলমান হয়ে যাবে; এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও এ মতই প্রকাশ করেছিলেন। তাই এই আয়াতে আল্লাহ্ রাসূল (সাঃ) কে সম্বোধন করে বলেছেন যে, তাদেরকে সৎ পথে নিয়ে আসা আপনার দায়িত্ব নয়, যে কারণে এত সূক্ষ্ণ আয়োজন করতে হবে। কিন্তু এটি তো আল্লাহ্ তায়ালার কাজ, যাকে ইচ্ছা সৎ পথে নিয়ে আসবেন। আপনার কাজ শুধু হেদায়েত পৌঁছে দেওয়া। দানের সাথে হেদায়েতের কোনও সম্পর্ক নাই। দানের প্রধান শর্ত হচ্ছে অভাবী মানুষের অভাব মোচন। এ অভাব হতে পারে বিদ্যার, অর্থের, শক্তির ইত্যাদি। আয়াত [২ : ২৭১]-এ ‘অভাবগ্রস্থ’ কথাটির দ্বারা এই ভাবকেই প্রকাশ করা হয়েছে। এই অভাবগ্রস্থ মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ করা চলবে না। তাদের একটাই পরিচয় তারা অভাবগ্রস্থ। কাজেই এ চিন্তা করা উচিত নয় যে দান শুধু মুসলমানেরাই পাবে- কাফিররা পাবে না। কে দানের যোগ্য সে বিচারের ভার আমাদের আল্লাহ্ দেন নাই। আমাদের উপরে হুকুম হচ্ছে অভাবগ্রস্থের অভাব মোচন; সে ভালো হোক মন্দ হোক কাফির হোক, মুসলমান হোক সকলেই সমান হকদার। প্রসঙ্গক্রমে বলা যায় এই আয়াতটি [২ : ২৫৬] “ধর্মের ব্যাপারে বাধ্যবাধকতা নাই” উপরের বক্তব্যটি সমর্থন করে। বাধ্যবাধকতার অর্থ শুধু এই নয় যে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বাধ্যবাধকতার সৃষ্টি করা যায়। বাধ্যবাধকতার অর্থ এই হতে পারে যে অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা। অর্থাৎ দানের মাধ্যমে কাউকে অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল করা এবং তার প্রতিদানে তাকে ধর্মান্তরিত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা। দান বা ঘুষ বা সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তি কোনও কিছুই যেনো ধর্মান্তরিতদের জন্য প্রযোজ্য না হয়। দানের উদ্দেশ্য হবে একটাই আর তা হচ্ছে, অভাবগ্রস্থের অভাব মোচন করা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের জন্য। আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভই হচ্ছে দানের প্রধান উদ্দেশ্য। আল্লাহ্র সন্তুষ্টির জন্য ব্যয় করলেই পরিণামে তা নিজের জন্য কল্যাণকর হবে। যদিও এই আয়াতটি আল-মুস্তফা (সাঃ) কে সম্বোধন করে বলা, কিন্তু এর প্রয়োগ সর্বকালের, সর্বযুগের এবং সর্বসাধারণের জন্য।
৩২১। দেখুন [২ : ১১২] আয়াতে টিকা। ‘Wajh’ এর আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে ‘মুখ’ বা ‘প্রসন্নতা’ অর্থ অনুগ্রহ, করুণা বা সান্নিধ্য অর্থে। [আরও দেখুন টিকা ৩১৯]।