1 of 3

002.254

হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম।
O you who believe! Spend of that with which We have provided for you, before a Day comes when there will be no bargaining, nor friendship, nor intercession. And it is the disbelievers who are the Zâlimûn (wrong-doers, etc.).

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَنفِقُواْ مِمَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ يَوْمٌ لاَّ بَيْعٌ فِيهِ وَلاَ خُلَّةٌ وَلاَ شَفَاعَةٌ وَالْكَافِرُونَ هُمُ الظَّالِمُونَ
Ya ayyuha allatheena amanoo anfiqoo mimma razaqnakum min qabli an ya/tiya yawmun la bayAAun feehi wala khullatun wala shafaAAatun waalkafiroona humu alththalimoona

YUSUFALI: O ye who believe! Spend out of (the bounties) We have provided for you, before the Day comes when no bargaining (Will avail), nor friendship nor intercession. Those who reject Faith they are the wrong-doers.
PICKTHAL: O ye who believe! spend of that wherewith We have provided you ere a day come when there will be no trafficking, nor friendship, nor intercession. The disbelievers, they are the wrong-doers.
SHAKIR: O you who believe! spend out of what We have given you before the day comes in which there is no bargaining, neither any friendship nor intercession, and the unbelievers– they are the unjust.
KHALIFA: O you who believe, you shall give to charity from the provisions we have given to you, before a day comes where there is no trade, no nepotism, and no intercession. The disbelievers are the unjust.

রুকু – ৩৪

২৫৪। হে বিশ্বাসীগণ ! যে [অনুগ্রহ] আমি তোমাদের দান করেছি
তা থেকে ব্যয় কর ২৯৪; সেই দিন আসার পূর্বে যেদিন কোন দরকষাকষি [চলবে না];
বন্ধুত্ব, সুপারিশ [কাজে] আসবে না ২৯৫। যারা ঈমানকে প্রত্যাখ্যান করে তারাই
পাপী।

২৯৪। ‘Spend’ বা ‘ব্যয় কর’। অর্থাৎ দান কর বা সৎ কাজে
নিয়োজিত কর। আল্লাহ্‌র যা কিছু দান, তা সবকিছু একা ভোগ করবে বলে মজুদ করে
রাখা হারাম। আল্লাহ্‌র এই দানকে শুধুমাত্র টাকা পয়সার নিক্তিতে মাপা যায়
না। সভ্যতার বিকাশের জন্য আল্লাহ্‌ মানুষকে যা কিছু দান করেছেন সবই
আল্লাহ্‌র নেয়ামত [দেখুন টিকা ২৭]। সৎ কাজ করাও হচ্ছে দান করা। সৎ কাজ কি ?
সৎ কাজ হচ্ছে সেই কাজ যা আল্লাহ্‌র সৃষ্টির মঙ্গলের জন্য করা হয়। হতে পারে
তা প্রতিবেশীর জন্য, হতে পারে তা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য, হতে পারে তা
অপরিচিত আগন্তুকের জন্য, হতে পারে তা সমাজের জন্য। এমন কি হতে পারে তা পশু,
পাখী, বা গাছপালা বা প্রকৃতি। যা-ই আল্লাহ্‌র সৃষ্ট তার রক্ষণাবেক্ষণ, তার
মঙ্গলের জন্য, নিজের মেধা, মনন শক্তি, শ্রম, উৎসর্গ করার নামই হচ্ছে দান
করা। শুধু অর্থ সম্পদ গরীবের মধ্যে বিতরণকে সঙ্কীর্ণার্থে দান পরিগণিত করা
যায়, কিন্তু ইসলামের চোখে দানের সংজ্ঞা বা পরিধি অনেক ব্যাপক। আল্লাহ্‌
যাকে যে নেয়ামত [অর্থ-সম্পদ, মেধা-মননশক্তি, সাহিত্য প্রতিভা, শিল্পী মন,
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, প্রভাব-প্রতিপত্তি, সমাজে উচ্চ অধিষ্ঠান, উচ্চ বংশে
জন্ম ইত্যাদি] দিয়েছেন; সেই নেয়ামতকে নিঃস্বার্থভাবে জনগণের কল্যাণের জন্য
নিয়োজিত করাই হচ্ছে ইসলামের দৃষ্টিতে বৃহত্তর পরিসরে দান করা বা Charity।
এখানে নিঃস্বার্থ কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ এই দানের পিছনে যেনো দম্ভ,
আত্ম অহংকার বা সমাজের চোখে সুনামের মোহ বা কোনও বিশেষ সুবিধা লাভের
আকাঙ্খা থাকে না। এই দানের হবে একটাই উদ্দেশ্য – আর তা হচ্ছে আল্লাহ্‌র
নেয়ামতকে আল্লাহ্‌র সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করা যেনো স্রষ্টাকে খুশী করা
যায়, পরম করুণাময়ের সন্তুষ্টিই হবে দানের একমাত্র উদ্দেশ্য। আর এ কথাটা
অনুধাবনযোগ্য যে আল্লাহ্‌র নেয়ামত বলতে অর্থ-সম্পদ ব্যতীতও মানসিক এবং
আত্মিক নেয়ামতকেও বোঝায় [টিকা ২৭]। আল্লাহ্‌র সৃষ্ট সকল প্রাণী নিয়ে তাঁর
পরিবার। “তিনিই আল্লাহ্‌র সর্বাধিক প্রিয় যিনি আল্লাহ্‌র সৃষ্ট প্রাণীগণের
সর্বাধিক কল্যাণ সাধনের চেষ্টা করেন।” – হাদীস।
২৯৫। আরও দেখুন ২ : ৪৮, ১২৩।