দুনিয়া ও আখেরাতের বিষয়ে। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, এতীম সংক্রান্ত হুকুম। বলে দাও, তাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে গুছিয়ে দেয়া উত্তম আর যদি তাদের ব্যয়ভার নিজের সাথে মিশিয়ে নাও, তাহলে মনে করবে তারা তোমাদের ভাই । বস্তুতঃ অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে আল্লাহ জানেন। আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তোমাদের উপর জটিলতা আরোপ করতে পারতেন। নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞ।
In (to) this worldly life and in the Hereafter. And they ask you concerning orphans. Say: ”The best thing is to work honestly in their property, and if you mix your affairs with theirs, then they are your brothers. And Allâh knows him who means mischief (e.g. to swallow their property) from him who means good (e.g. to save their property). And if Allâh had wished, He could have put you into difficulties. Truly, Allâh is All-Mighty, All-Wise.”
فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْيَتَامَى قُلْ إِصْلاَحٌ لَّهُمْ خَيْرٌ وَإِنْ تُخَالِطُوهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ الْمُفْسِدَ مِنَ الْمُصْلِحِ وَلَوْ شَاء اللّهُ لأعْنَتَكُمْ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
Fee alddunya waal-akhirati wayas-aloonaka AAani alyatama qul islahun lahum khayrun wa-in tukhalitoohum fa-ikhwanukum waAllahu yaAAlamu almufsida mina almuslihi walaw shaa Allahu laaAAnatakum inna Allaha AAazeezun hakeemun
YUSUFALI: (Their bearings) on this life and the Hereafter. They ask thee concerning orphans. Say: “The best thing to do is what is for their good; if ye mix their affairs with yours, they are your brethren; but Allah knows the man who means mischief from the man who means good. And if Allah had wished, He could have put you into difficulties: He is indeed Exalted in Power, Wise.”
PICKTHAL: Upon the world and the Hereafter. And they question thee concerning orphans. Say: To improve their lot is best. And if ye mingle your affairs with theirs, then (they are) your brothers. Allah knoweth him who spoileth from him who improveth. Had Allah willed He could have overburdened you. Allah is Mighty, Wise.
SHAKIR: On this world and the hereafter. And they ask you concerning the orphans Say: To set right for them (their affairs) is good, and if you become co-partners with them, they are your brethren; and Allah knows the mischief-maker and the pacemaker, and if Allah had pleased, He would certainly have caused you to fall into a difficulty; surely Allah is Mighty, Wise.
KHALIFA: upon this life and the Hereafter. And they ask you about the orphans: say, “Bringing them up as righteous persons is the best you can do for them. If you mix their property with yours, you shall treat them as family members.” GOD knows the righteous and the wicked. Had GOD willed, He could have imposed harsher rules upon you. GOD is ALmighty, Most Wise.
২২০। দুনিয়া ও পরলোক সম্বন্ধে ২৪৩। লোকে তোমাকে এতিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে ২৪৪। বল, ‘তাদের কল্যাণের জন্য যা কর, তাই-ই উত্তম। যদি তোমরা তাদের সাথে মিলে মিশে থাক, তবে তারা তোমাদের ভাই। আল্লাহ্ জানেন, কে অনিষ্টকারী এবং কে হিতাকাঙ্ক্ষী এবং আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে তোমাদের কষ্টে ফেলতে পারতেন। অবশ্যই আল্লাহ্ ক্ষমতায় মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ২৪৫।’
২৪৩। মাদকদ্রব্য ও জুয়া পাপ। এ পাপের জন্য শুধু যে ব্যক্তিগত ক্ষতি হয় তাই নয়, সামাজিক ভাবেও এর ক্ষতি প্রভূত। উপকারের চেয়ে অপকারিতা বেশী। তাই এ সম্বন্ধে আল্লাহ্ আমাদের চিন্তা করতে বলেছেন, ব্যক্তির জীবনে এর প্রভাব, সমাজ জীবনে এর প্রভাব এবং সর্বোপরি আধ্যাত্মিক জীবনে এর প্রভাব সম্পর্কে।
২৪৪। এতিমদের সম্পত্তি সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা উত্তম পন্থা হচ্ছে তাদের হিসাব নিকাশ সম্পূর্ণ আলাদা রাখা। কোনও অভিভাবক যেনো এতিমের সম্পত্তির সাথে নিজের সম্পত্তি মিশ্রিত না করে ফেলে, যাতে তার মনে এতিমের সম্পত্তি থেকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য লোভ জন্মাতে পারে। এমনকি ব্যক্তিগত লাভের জন্য এতিম মেয়েকে বিয়ে করাও উচিত নয়। অধিকন্তু আয়াত [৬:১৫২]-এ সম্বন্ধে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, অভিভাবকেরা তাদের সম্পদ এতিমের সম্পদ থেকে আলাদা রাখবে। এতিমের মাল আলাদা করার আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সম্পদ যেনো নষ্ট করা না হয়। আর যদি ব্যয় যৌথ রাখলে তাদের মঙ্গল হয়, তবে তাদের মঙ্গলের খেয়াল করা অতি উত্তম। অর্থাৎ এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে এতিমের ক্ষতি হয়। অভিভাবক যদি এমন কিছু করেন যা এতিমের জন্য ক্ষতিকারক কিন্তু আইন তাকে স্পর্শ করতে পারবে না সেক্ষেত্রে আল্লাহ্কে ভয় করতে বলা হয়েছে।
২৪৫। ইসলামে আল্লাহ্র আইনকে এত কঠোর করা হয় নাই যাতে তা মানুষের কাছে দুরূহ বা ভারী মনে হয়। বরং আল্লাহ্ বারে বারে ক্ষমা প্রদর্শন এবং মানুষের প্রতি তার আস্থা প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ্র চোখে আত্মিক ও চারিত্রিক পরাকাষ্ঠাই হচ্ছে মানুষের সম্মানের চাবিকাঠি। তবু মানুষ বারে বারে এই মাপকাঠি থেকে পদস্খলিত হয়। মানুষের কাছে আল্লাহ্ এই নৈতিক দৃঢ়তা আশা করেন যেনো সে সততার ব্যাপারে [তা এতিমের সম্পত্তিই হোক বা অন্য কারও আমানত হোক] অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও কঠোর হতে পারে। যদি সে তা না হয়, তবে অবশ্যই তাকে আল্লাহ্র শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। ছলনা বা কূটনীতির আশ্রয় নিয়ে সে হয়তো সমাজের চোখে সম্মানীয় হতে পারবে এবং মানুষের সৃষ্ট আইনকে ফাঁকি দিতে সম্ভব হবে। কিন্তু আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, তাঁর শাস্তি অলঙ্ঘনীয়।