এরাই হল সে সমস্ত লোক, যারা হেদায়েতের বিনিময়ে গোমরাহী খরিদ করেছে এবং (খরিদ করেছে) ক্ষমা ও অনুগ্রহের বিনিময়ে আযাব। অতএব, তারা দোযখের উপর কেমন ধৈর্য্য ধারণকারী।
Those are they who have purchased error at the price of Guidance, and torment at the price of Forgiveness. So how bold they are (for evil deeds which will push them) to the Fire.
أُولَـئِكَ الَّذِينَ اشْتَرَوُاْ الضَّلاَلَةَ بِالْهُدَى وَالْعَذَابَ بِالْمَغْفِرَةِ فَمَآ أَصْبَرَهُمْ عَلَى النَّارِ
Ola-ika allatheena ishtarawoo alddalalata bialhuda waalAAathaba bialmaghfirati fama asbarahum AAala alnnari
YUSUFALI: They are the ones who buy Error in place of Guidance and Torment in place of Forgiveness. Ah! what boldness (They show) for the Fire!
PICKTHAL: Those are they who purchase error at the price of guidance, and torment at the price of pardon. How constant are they in their strife to reach the Fire!
SHAKIR: These are they who buy error for the right direction and chastisement for forgiveness; how bold they are to encounter fire.
KHALIFA: It is they who chose the straying instead of guidance, and the retribution instead of forgiveness. Consequently, they will have to endure Hell.
১৭৫। এরাই তারা যারা সৎপথের বিনিময়ে ভ্রান্ত পথ ক্রয় করে, ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি [ক্রয় করে]। আঃ আগুনের [শাস্তির] জন্য তারা কতই না সাহসী।
১৭৬। [তাদের ধ্বংসের] কারণ আল্লাহ্ সত্যসহ কিতাব [কোরআন] প্রেরণ করেছেন, কিন্তু যারা কিতাবের মাঝে মতভেদ অনুসন্ধান করে, তারা [মতভেদের জন্য] ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে [যা প্রকৃত লক্ষ্য থেকে বহুদূরে] ১৭৬।
১৭৬। এতক্ষণ আলোচনার বিষয়বস্তু সীমাবদ্ধ ছিল জীবন ধারণের, বিশেষভাবে খাদ্য বস্তু সম্পর্কীয় আলোচনার মধ্যে। দেহ এবং আত্মা এই দুই-ই মিলেই পৃথিবীর জীবন। দেহের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আত্মার বিকাশ ঘটানোই হচ্ছে পৃথিবীতে আমাদের বাসস্থানের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। দেহ ব্যতীত আত্মার বিকাশ অসম্ভব। তাই দেহের প্রকৃত পরিচর্যার নিয়মাবলী এখানে আলোচিত হয়েছে। খাদ্য, পানীয়, যৌনসংযম ইত্যাদি বিধি নিষেধ না মানলে শুধু যে দেহ ক্ষতিগ্রস্থ হয় তা নয়, দেহের ভিতরে যে আত্মার বাস সে আত্মার বিকাশেরও অবনতি ঘটে। তাই এই আয়াতটিতে [২:১৭৬] দৈহিক নিয়মাবলী থেকে নৈতিকতা এবং বিশ্বাসের কথা বলা হয়েছে। যেমন-যে প্রচণ্ড মদ খায় এবং ব্যাভিচারে অভ্যস্ত তার আত্মার সুস্থ বিকাশ অসম্ভব। যে ব্যক্তি ঘুষ খেয়ে বা হারাম পয়সায়, বা জাল-জুয়াচুরি করে জীবিকা নির্বাহ করে তার আত্মায় আল্লাহ্র নূর প্রবেশে বাঁধা পায় ইত্যাদি। সুতরাং ধর্মের সাথে জীবন ধারণের রীতিনীতি অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত।
এই আয়াতটিতে আল্লাহ্ বলেছেন যে এই পৃথিবীতে জীবন ধারণের জন্য যে নিয়মাবলী তিনি প্রেরণ করেছেন তা মানা কর্তব্য। কিন্তু এ নিয়ে যারা বাড়াবাড়ি করে তারা ধর্মের মূল সুর থেকে সরে যায়। যারা ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা ও নিয়ম-নীতি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তারাই সাম্প্রদায়িকতায় পরিণত হয় এবং পরিণতিতে ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। ফলে এরা মৌলবাদীতে পরিণত হয়। সুতরাং জীবন ধারণের রীতিনীতিই [খাদ্য, পানীয়, পর্দ্দা, বিয়ে ইত্যাদি] যেনো ধর্মে পরিণত না নয়। তাহলে ধর্মের মূল সূর হচ্ছে আত্মার বিকাশ, সেই পরম করুণাময়ের সান্নিধ্যলাভ, সেই বিশ্বাস, সেই মানসিকতা, সেই অনুভব ক্ষমতা আমাদের আত্মাকে আলোকিত করতে পারবে না। আমরা অন্ধকারে হারিয়ে যেয়ে নিজেদের মধ্যে শুধু বিভেদই সৃষ্টি করতে পারবো। এ কথাটাই এই আয়াতে আলোচনা করা হয়েছে।