বস্তুতঃ এহেন কাফেরদের উদাহরণ এমন, যেন কেউ এমন কোন জীবকে আহবান করছে যা কোন কিছুই শোনে না, হাঁক-ডাক আর চিৎকার ছাড়া বধির মুক, এবং অন্ধ। সুতরাং তারা কিছুই বোঝে না।
And the example of those who disbelieve, is as that of him who shouts to the (flock of sheep) that hears nothing but calls and cries. (They are) deaf, dumb and blind. So they do not understand.
وَمَثَلُ الَّذِينَ كَفَرُواْ كَمَثَلِ الَّذِي يَنْعِقُ بِمَا لاَ يَسْمَعُ إِلاَّ دُعَاء وَنِدَاء صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ
Wamathalu allatheena kafaroo kamathali allathee yanAAiqu bima la yasmaAAu illa duAAaan wanidaan summun bukmun AAumyun fahum la yaAAqiloona
YUSUFALI: The parable of those who reject Faith is as if one were to shout Like a goat-herd, to things that listen to nothing but calls and cries: Deaf, dumb, and blind, they are void of wisdom.
PICKTHAL: The likeness of those who disbelieve (in relation to the messenger) is as the likeness of one who calleth unto that which heareth naught except a shout and cry. Deaf, dumb, blind, therefore they have no sense.
SHAKIR: And the parable of those who disbelieve is as the parable of one who calls out to that which hears no more than a call and a cry; deaf, dumb (and) blind, so they do not understand.
KHALIFA: The example of such disbelievers is that of parrots who repeat what they hear of sounds and calls, without understanding. Deaf, dumb, and blind; they cannot understand.
১৬৯। সে তোমাদের মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ্ সম্বন্ধে তোমাদের যে জ্ঞান নাই এমন সব বিষয়ে বলার জন্য নির্দেশ দেয়।
১৭০। যখন তাদের বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন তা অনুসরণ কর’; তারা বলে, ‘না! আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পথ অনুসরণ করবো।’ কি! যদিও তাদের পিতৃপুরুষগণ ছিলো প্রজ্ঞাবিহীন এবং তারা সঠিক পথে পরিচালিত ছিলো না তথাপিও ?
১৭১। যারা ঈমানকে প্রত্যাখ্যান করে, তাদের উপমা হচ্ছে ভেড়ার পালের ন্যায়-যারা শুধু হাঁকডাক ও চিৎকার ব্যতীত কিছুই শোনে না ১৭০। [এরা হচ্ছে] বধির, বোবা ও অন্ধ ১৭১। [সুতরাং] তারা হচ্ছে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাবিহীন।
১৭০। যারা আল্লাহ্র অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয়, তাদের আত্মায় স্বর্গীয় আলো প্রবেশের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এ সেই আলো যা মানুষের আত্মাকে বিবেক, জ্ঞানে ও প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ করে। এ জ্ঞান দানের ক্ষমতা একমাত্র সর্বশক্তিমান ব্যতীত আর কারও নাই বিশ্বজগতে। ফলে অবিশ্বাসী ব্যক্তি ধর্মীয় জীবন যাপন পদ্ধতির মাধ্যমে অমিয় শান্তির বাণী হৃদয়ঙ্গম করতে অক্ষম হয়। এই ব্যক্তির উপমা হচ্ছে গরু ও ভেড়ার পালের মত। যেমন-গরুর পাল বা ভেড়ার পাল কিছুই বোঝে না, দেখে না, শোনে না। দেখে না শোনে না এই অর্থে যে তারা শুধু মাত্র রাখালের চিৎকার দ্বারা পরিচালিত হয়। রাস্তার বা পথের ভাল-মন্দ বা চিৎকার বা শব্দের বিভিন্ন ধ্বনি (অর্থাৎ আদর বা রাগ) কিছুরই পার্থক্য করতে এরা অপারগ। সেই রকম যে ব্যক্তি আল্লাহ্তে বিশ্বাসী নয়, তার হৃদয় বিবেকের আলো বা অন্তর্দৃষ্টি লাভে অক্ষম। অন্তর্দৃষ্টি না থাকার দরুণ চক্ষু থাকলেও কোনও ঘটনার গূঢ় অর্থ অনুধাবনে হবে ব্যর্থ, কান থাকলেও স্রষ্টার বাণীর গূঢ় অর্থ সে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে ব্যর্থ। ‘They are void of wisdom’.
১৭১। আয়াত [২:১৮] তে বলা হয়েছে যে যারা আল্লাহ্কে অস্বীকার করে ‘তারা হবে বধির, বোবা এবং অন্ধ’। তারা আর কখনও সুপথে আসবে না। যেহেতু তারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করে, সুতরাং তারা আত্মার মূল উৎপত্তিকে অস্বীকার করে। স্রষ্টাকে বিশ্বাস করার ফলে, তার উপরে নির্ভর করার ফলে আত্মার ভিতরে জন্ম নেয় এক বিশেষ স্বর্গীয় অনুভূতি [State of mind]। এই অনুভূতির ব্যবহারের ফলে ব্যক্তির জীবনে অন্তর্দৃষ্টি জন্ম নেয়। ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বোঝার ক্ষমতা জন্মে। আত্মার ভিতরে জন্ম নেয় বিবেকের আলো-যে আলোর উৎপত্তি স্বর্গীয়। এই আলো তাকে পথ দেখায়। এই আলোই তাকে আল্লাহ্র বাণীর অর্থ বুঝতে সাহায্য করে। এই আলোই তাকে সন্ধান দেয় শান্তির অমিয় ধারার। তারা চর্ম চক্ষুর বাইরেও দেখেন, শ্রবণেন্দ্রীয়ের বাইরেও শোনেন। এরা জ্ঞানী ও বিবেকবান। কিন্তু আল্লাহ্কে অস্বীকার করা ব্যক্তি গরু-ছাগলের পালের মত যারা চক্ষু থেকেও পথের নিশানা চেনে না, কান থাকতেও ধ্বনির পার্থক্য করতে পারেনা।