আর যখন তাদেরকে কেউ বলে যে, সে হুকুমেরই আনুগত্য কর যা আল্লাহ তা’আলা নাযিল করেছেন, তখন তারা বলে কখনো না, আমরা তো সে বিষয়েরই অনুসরণ করব। যাতে আমরা আমাদের বাপ-দাদাদেরকে দেখেছি। যদি ও তাদের বাপ দাদারা কিছুই জানতো না, জানতো না সরল পথও।
When it is said to them: ”Follow what Allâh has sent down.” They say: ”Nay! We shall follow what we found our fathers following.” (Would they do that!) Even though their fathers did not understand anything nor were they guided?
وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اتَّبِعُوا مَا أَنزَلَ اللّهُ قَالُواْ بَلْ نَتَّبِعُ مَا أَلْفَيْنَا عَلَيْهِ آبَاءنَا أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئاً وَلاَ يَهْتَدُونَ
Wa-itha qeela lahumu ittabiAAoo ma anzala Allahu qaloo bal nattabiAAu ma alfayna AAalayhi abaana awa law kana abaohum la yaAAqiloona shay-an wala yahtadoona
YUSUFALI: When it is said to them: “Follow what Allah hath revealed:” They say: “Nay! we shall follow the ways of our fathers.” What! even though their fathers Were void of wisdom and guidance?
PICKTHAL: And when it is said unto them: Follow that which Allah hath revealed, they say: We follow that wherein we found our fathers. What! Even though their fathers were wholly unintelligent and had no guidance?
SHAKIR: And when it is said to them, Follow what Allah has revealed, they say: Nay! we follow what we found our fathers upon. What! and though their fathers had no sense at all, nor did they follow the right way.
KHALIFA: When they are told, “Follow what GOD has revealed herein,” they say, “We follow only what we found our parents doing.” What if their parents did not understand, and were not guided?
১৬৯। সে তোমাদের মন্দ ও অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয় এবং আল্লাহ্ সম্বন্ধে তোমাদের যে জ্ঞান নাই এমন সব বিষয়ে বলার জন্য নির্দেশ দেয়।
১৭০। যখন তাদের বলা হয়, ‘আল্লাহ্ যে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন তা অনুসরণ কর’; তারা বলে, ‘না! আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদের পথ অনুসরণ করবো।’ কি! যদিও তাদের পিতৃপুরুষগণ ছিলো প্রজ্ঞাবিহীন এবং তারা সঠিক পথে পরিচালিত ছিলো না তথাপিও ?
১৭১। যারা ঈমানকে প্রত্যাখ্যান করে, তাদের উপমা হচ্ছে ভেড়ার পালের ন্যায়-যারা শুধু হাঁকডাক ও চিৎকার ব্যতীত কিছুই শোনে না ১৭০। [এরা হচ্ছে] বধির, বোবা ও অন্ধ ১৭১। [সুতরাং] তারা হচ্ছে জ্ঞান ও প্রজ্ঞাবিহীন।
১৭০। যারা আল্লাহ্র অস্তিত্বে বিশ্বাসী নয়, তাদের আত্মায় স্বর্গীয় আলো প্রবেশের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। এ সেই আলো যা মানুষের আত্মাকে বিবেক, জ্ঞানে ও প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ করে। এ জ্ঞান দানের ক্ষমতা একমাত্র সর্বশক্তিমান ব্যতীত আর কারও নাই বিশ্বজগতে। ফলে অবিশ্বাসী ব্যক্তি ধর্মীয় জীবন যাপন পদ্ধতির মাধ্যমে অমিয় শান্তির বাণী হৃদয়ঙ্গম করতে অক্ষম হয়। এই ব্যক্তির উপমা হচ্ছে গরু ও ভেড়ার পালের মত। যেমন-গরুর পাল বা ভেড়ার পাল কিছুই বোঝে না, দেখে না, শোনে না। দেখে না শোনে না এই অর্থে যে তারা শুধু মাত্র রাখালের চিৎকার দ্বারা পরিচালিত হয়। রাস্তার বা পথের ভাল-মন্দ বা চিৎকার বা শব্দের বিভিন্ন ধ্বনি (অর্থাৎ আদর বা রাগ) কিছুরই পার্থক্য করতে এরা অপারগ। সেই রকম যে ব্যক্তি আল্লাহ্তে বিশ্বাসী নয়, তার হৃদয় বিবেকের আলো বা অন্তর্দৃষ্টি লাভে অক্ষম। অন্তর্দৃষ্টি না থাকার দরুণ চক্ষু থাকলেও কোনও ঘটনার গূঢ় অর্থ অনুধাবনে হবে ব্যর্থ, কান থাকলেও স্রষ্টার বাণীর গূঢ় অর্থ সে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে ব্যর্থ। ‘They are void of wisdom’.
১৭১। আয়াত [২:১৮] তে বলা হয়েছে যে যারা আল্লাহ্কে অস্বীকার করে ‘তারা হবে বধির, বোবা এবং অন্ধ’। তারা আর কখনও সুপথে আসবে না। যেহেতু তারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করে, সুতরাং তারা আত্মার মূল উৎপত্তিকে অস্বীকার করে। স্রষ্টাকে বিশ্বাস করার ফলে, তার উপরে নির্ভর করার ফলে আত্মার ভিতরে জন্ম নেয় এক বিশেষ স্বর্গীয় অনুভূতি [State of mind]। এই অনুভূতির ব্যবহারের ফলে ব্যক্তির জীবনে অন্তর্দৃষ্টি জন্ম নেয়। ভাল-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বোঝার ক্ষমতা জন্মে। আত্মার ভিতরে জন্ম নেয় বিবেকের আলো-যে আলোর উৎপত্তি স্বর্গীয়। এই আলো তাকে পথ দেখায়। এই আলোই তাকে আল্লাহ্র বাণীর অর্থ বুঝতে সাহায্য করে। এই আলোই তাকে সন্ধান দেয় শান্তির অমিয় ধারার। তারা চর্ম চক্ষুর বাইরেও দেখেন, শ্রবণেন্দ্রীয়ের বাইরেও শোনেন। এরা জ্ঞানী ও বিবেকবান। কিন্তু আল্লাহ্কে অস্বীকার করা ব্যক্তি গরু-ছাগলের পালের মত যারা চক্ষু থেকেও পথের নিশানা চেনে না, কান থাকতেও ধ্বনির পার্থক্য করতে পারেনা।