তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি তো এসব কিছু থেকে পবিত্র, বরং নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলে যা কিছু রয়েছে সবই তার আজ্ঞাধীন।
And they (Jews, Christians and pagans) say: Allâh has begotten a son (children or offspring). Glory be to Him (Exalted be He above all that they associate with Him). Nay, to Him belongs all that is in the heavens and on earth, and all surrender with obedience (in worship) to Him.
وَقَالُواْ اتَّخَذَ اللّهُ وَلَدًا سُبْحَانَهُ بَل لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضِ كُلٌّ لَّهُ قَانِتُونَ
Waqaloo itakhatha Allahu waladan subhanahu bal lahu ma fee alssamawati waal-ardi kullun lahu qanitoona
YUSUFALI: They say: “Allah hath begotten a son” :Glory be to Him.-Nay, to Him belongs all that is in the heavens and on earth: everything renders worship to Him.
PICKTHAL: And they say: Allah hath taken unto Himself a son. Be He glorified! Nay, but whatsoever is in the heavens and the earth is His. All are subservient unto Him.
SHAKIR: And they say: Allah has taken to himself a son. Glory be to Him; rather, whatever is in the heavens and the earth is His; all are obedient to Him.
KHALIFA: They said, “GOD has begotten a son!” Be He glorified; never! To Him belongs everything in the heavens and the earth; all are subservient to Him.
১১৬। তারা বলে, ‘আল্লাহ্ পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন।’ তিনি পবিত্র, বরং আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব আল্লাহ্র [নিয়ন্ত্রণাধীনে] সকল কিছুই তারই এবাদত করে ১১৯।
১১৯। ‘আল্লাহ্ পুত্র সন্তান গ্রহণ ,করেছেন’ এ কথাটির দ্বারা আল্লাহ্র মহিমা খর্ব করা হয়। শুধু খর্ব করাই নয়, এ এক ধরণের ‘ঈশ্বর নিন্দা’ কারণ এ কথার দ্বারা এটাই বোঝানো হয় যে, আল্লাহ্ সাধারণ মানুষের মত যৌন-তাড়িত বস্তুবাদী এক শক্তি। এতে আল্লাহ্র মহিমাকে খর্ব করা হয়। আল্লাহ্র কোন অভাব নাই। তিনি অভাবমুক্ত। মরণশীল মানুষ বা প্রাণীর যে কোনও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মহান আল্লাহ্র জন্য প্রয়োগ করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। অপরপক্ষে, আধ্যাত্মিক মতবাদ অনুযায়ী সমস্ত সৃষ্টিই আল্লাহ্র সন্তান তুল্য। মা যেভাবে নিজ সন্তানকে সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা করে। স্নেহ ভালবাসায় সন্তানের জীবনকে ভরিয়ে দেয়, আল্লাহ্ তার সৃষ্টিকে মায়ের স্নেহের থেকেও বেশি ভালবাসেন। তাঁর করুণাধারা মায়ের স্নেহ অপেক্ষাও বেশি তাঁর সৃষ্টিকে ঘিরে থাকে। সেই হিসেবে আমরা সবাই আল্লাহ্র সন্তান। তাঁর সৃষ্টির দিকে চোখ ফিরালে দেখতে পাই, সমস্ত সৃষ্টি তাঁর আইন অর্থাৎ হুকুম মেনে চলছে। বৃক্ষকুল, প্রাণীকূল, বিশ্ব-প্রকৃতি সদা-সর্বদা আল্লাহ্র আইন মেনে চলে। উদাহরণ স্বরূপ, বলা যায়-বীজকে উপযুক্ত পরিবেশে রাখলে অঙ্কুরোদগম ঘটে। বৃক্ষ তার নিজস্ব গতিতে বড় হয়, ফল-ফুলে শোভিত হয়ে এক সময়ে মরে যায়। এটা আল্লাহ্র আইন। পাহাড়, নদী, সমুদ্র, আকাশ, বাতাস, পানি, আলো সমস্ত বিশ্বভূবন ও বস্তুজগত সকলেই আল্লাহ্র প্রদত্ত স্ব-স্ব আইন মেনে চলে। সেই হিসেবে বিশ্ব-চরাচরে সকলেই আল্লাহ্র গুণগানে ব্যস্ত। আল্লাহ্র আইন মান্য করা মানেই তাঁর এবাদত করা। বস্তুজগতের ক্ষমতা নাই আল্লাহ্র আইন অমান্য করার। একমাত্র মানুষকেই আল্লাহ্ সীমিত ইচ্ছা শক্তির স্বাধীনতা দিয়েছেন যেনো সে তা প্রয়োগ করতে পারে আত্মিক উন্নতির জন্য। কিন্তু মানুষের যে দেহ সে দেহের দিকে লক্ষ্য করলেও আমরা দেখতে পাই সে নির্ভুলভাবে আল্লাহ্র আইন মেনে চলে। শৈশবে, কৈশোরে, যৌবনে, বার্ধক্যে তার যে পরিবর্তন তা আল্লাহ্র আইনকেই মেনে চলা। এ পরিবর্তনের ধারাকে রহিত করার ক্ষমতা কারও নাই। তাই আমাদের দেহ আল্লাহ্র আইন মেনে চলে। সুতরাং তাঁর গুণগান করে তাঁরই এবাদত করে। কিন্তু সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি [Limited free will] প্রাপ্ত হওয়ার ফলে মানুষ আল্লাহ্র আইন লঙ্ঘন করার ক্ষমতা রাখে এবং এ শক্তি তার আত্মায় নিহিত। এর সদ্ব্যবহার করলে আত্মিক উন্নতি হয়। অপব্যবহার আত্মিক ক্ষতি হয়।