আর আমি তোমাদের উপর ছায়া দান করেছি মেঘমালার দ্বারা এবং তোমাদের জন্য খাবার পাঠিয়েছি ’মান্না’ ও সালওয়া’। সেসব পবিত্র বস্তু তোমরা ভক্ষন কর, যা আমি তোমাদেরকে দান করেছি। বস্তুতঃ তারা আমার কোন ক্ষতি করতে পারেনি, বরং নিজেদেরই ক্ষতি সাধন করেছে।
And We shaded you with clouds and sent down on you Al-Manna and the quails, (saying): ”Eat of the good lawful things We have provided for you,” (but they rebelled). And they did not wrong Us but they wronged themselves.
وَظَلَّلْنَا عَلَيْكُمُ الْغَمَامَ وَأَنزَلْنَا عَلَيْكُمُ الْمَنَّ وَالسَّلْوَى كُلُواْ مِن طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ وَمَا ظَلَمُونَا وَلَـكِن كَانُواْ أَنفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ
Wathallalna AAalaykumu alghamama waanzalna AAalaykumu almanna waalssalwa kuloo min tayyibati ma razaqnakum wama thalamoona walakin kanoo anfusahum yathlimoona
YUSUFALI: And We gave you the shade of clouds and sent down to you Manna and quails, saying: “Eat of the good things We have provided for you:” (But they rebelled); to us they did no harm, but they harmed their own souls.
PICKTHAL: And We caused the white cloud to overshadow you and sent down on you the manna and the quails, (saying): Eat of the good things wherewith We have provided you – they wronged Us not, but they did wrong themselves.
SHAKIR: And We made the clouds to give shade over you and We sent to you manna and quails: Eat of the good things that We have given you; and they did not do Us any harm, but they made their own souls suffer the loss.
KHALIFA: We shaded you with clouds (in Sinai), and sent down to you manna and quails: “Eat from the good things we provided for you.” They did not hurt us (by rebelling); they only hurt their own souls.
৫৬। তোমাদের মৃত্যুর পরে আমি তোমাদের পুনর্জীবিত করলাম; [ফলে] তোমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশের সুযোগ ছিলো।
৫৭। আমি তোমাদের মেঘের ছায়া দিয়েছিলাম, এবং তোমাদের নিকট মান্না ৭১ ও কোয়েল প্রেরণ করেছিলাম এই বলে: ‘তোমাদের ভাল যা দান করেছি তা থেকে আহার কর।’ [কিন্তু তারা বিদ্রোহ করে]; তারা আমার কোন ক্ষতি করতে পারে নাই, বরং তারা তাদের নিজের আত্মার প্রতি ক্ষতি করেছে।
৭১। ইহুদীরা যে প্রান্তরে থাকতো তা ছিল উন্মুক্ত মরুভূমি প্রান্তর। এখানে কোনও লোকালয় বা গাছ ছিল না যার নীচে শীত-গরম বা সূর্যতাপ থেকে আশ্রয় নেয়া চলে। তেমনিভাবে এখানে পানাহারের উপকরণ বা পরিধানের বস্ত্রসামগ্রীও ছিল না। কিন্তু আল্লাহ্ হযরত মুসার দোয়ার বদৌলতে যাবতীয় প্রয়োজন মেটাবার বন্দোবস্ত করেন। মেঘ দ্বারা ছায়া দানের এবং ক্ষুধা পেলে ‘মান্না ও সালওয়া’ এর বন্দোবস্ত করেন। ‘মান্না’ কি? মান্নাকে বলা হয়েছে বরফের মত স্বচ্ছ, শ্রভ্র এক ধরণের মিষ্ট খাবার যা মাটিতে জমে থাকতো। এগুলিকে পরদিন পর্যন্ত রেখে দিলে পচে যেতো এবং সূর্যতাপে রাখলে গেল যেতো। প্রত্যেক লোকের জন্য প্রয়োজন ছিল এক ওমের (হিব্রু মাপ) যা ২ কোয়ার্টের সমান বর্তমানে সময়ে ‘মান্না’ বলতে যা বোঝায় তা হচ্চে ঝাউ জাতীয় একরকম চিরহরিৎ বৃক্ষের রস। এই রস মিষ্টি এবং আঠালো। এক রকমের পোকা যখন বৃক্ষকে ছিদ্র করে তখন এই রস নির্গত করে। ভারতে যেমন-লাক্ষা পোকা দ্বারা এক রকম বৃক্ষ থেকে লাক্ষা উৎপন্ন হয়।
সালওয়া হচ্ছে কোয়েল পাখীর মত ছোট ছোট পাখীর ঝাঁক। পাখীর ঝাঁক তাদের কাছে ঝাঁকে ঝাঁকে সমবেত হত, আর তারা সেগুলি সংগ্রহ করে নিত। পাখীর ঝাঁক তাদের দেখে পালাতো না। ‘মান্নার’ অসাধারণ প্রাচুর্য এবং কোয়েল পাখীর লোকভীতি না থাকাও ছিল অস্বাভাবিক। এ হিসেবে উভয় বস্তুই অদৃশ্য ধনভান্ডার হতে দেওয়া হয়েছিলো বলে প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে কোয়েল পাখির ঝাঁক বছরের কোনও এক নির্দিষ্ট সময়ে ভূ-মধ্যসাগরের বাতাস দ্বারা পরিচালিত হয়ে এখানে এসে পড়ে। এ ঘটনা ১৯১৪-১৯১৮ সনের বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বহু ভারতীয় সামরিক অফিসার যারা মিশর ও প্যালেষ্টাইনের মধ্যবর্তী এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন তারা প্রত্যক্ষ করেছেন।