তিনিই সে সত্ত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য যা কিছু জমীনে রয়েছে সে সমস্ত। তারপর তিনি মনোসংযোগ করেছেন আকাশের প্রতি। বস্তুতঃ তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত।
He it is Who created for you all that is on earth. Then He Istawâ (rose over) towards the heaven and made them seven heavens and He is the All-Knower of everything.
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُم مَّا فِي الأَرْضِ جَمِيعاً ثُمَّ اسْتَوَى إِلَى السَّمَاء فَسَوَّاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
Huwa allathee khalaqa lakum ma fee al-ardi jameeAAan thumma istawa ila alssama-i fasawwahunna sabAAa samawatin wahuwa bikulli shay-in AAaleemun
YUSUFALI: It is He Who hath created for you all things that are on earth; Moreover His design comprehended the heavens, for He gave order and perfection to the seven firmaments; and of all things He hath perfect knowledge.
PICKTHAL: He it is Who created for you all that is in the earth. Then turned He to the heaven, and fashioned it as seven heavens. And He is knower of all things.
SHAKIR: He it is Who created for you all that is in the earth, and He directed Himself to the heaven, so He made them complete seven heavens, and He knows all things.
KHALIFA: He is the One who created for you everything on earth, then turned to the sky and perfected seven universes therein, and He is fully aware of all things.
২৯। তিনিই পৃথিবীর সকল বস্তু তোমাদের [ব্যবহারের] জন্য সৃষ্টি করেছেন। উপরন্তু তার পরিকল্পনা আকাশকেও অন্তর্ভূক্ত করে, তিনি সপ্ত আসমান তৈরির কাজকে সুষম করেন। সকল বিষয় সম্বন্ধে তিনি পরিপূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী।
৪৬। এই [২ : ২২]-আয়াতে আল্লাহ্ তার বান্দাকে জানাচ্ছেন তার অসীম করুণার কথা। সন্দেহ বাতিকদের সন্দেহ খণ্ডন করেছেন ২ : ২৩-এ। অন্যায় কাজের শাস্তি বর্ণনা করেছেন ২ : ২৪ আয়াতে এবং যারা পৃথিবীতে ভাল কাজ করে তাদের জন্য আছে সুখবর :২৫ আয়াতে। কোরআনের আয়াতে এসব বর্ণনা করা হয়েছে চমৎকার ভাষা ও যুক্তির মাধ্যমে। আয়াত ২ : ২৬-২৭ আয়াতে বলা হয়েছে যে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে ভালর পরিবর্তে মন্দকে বেছে নেয়, আল্লাহ্র বাণীকে অস্বীকার করে, আল্লাহ্র দেখানো রাস্তাকে (নৈতিক ও চারিত্রিক গুনাবলীর উন্নতি) পরিহার করে, ফলে আল্লাহ্র সাথে মানুষের যে ওয়াদা তারা তা ভঙ্গ করে। মহাগ্রন্থ কুরআনে বর্ণিত ছোট ছোট উপমার দ্বারা এইসব উদ্ধত ও অবাধ্যজনকেই বিপথগামীরূপে বর্ণনা করা হয়েছে। এরা আল্লাহ্র সাথে কৃত অঙ্গীকার ভঙ্গ করে এবং যে সব সম্পর্ক আল্লাহ্ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে। যার পরিণাম স্বরূপ ধরার বুকে অশান্তি বিস্তার করে।
এর পরের আয়াতে ২ : ২৮-২৯ আল্লাহ্ তার বান্দার অন্তরের অনুভূতির কাছে আবেদন রেখেছেন। তিনি বলেছেন এই পৃথিবীতে বান্দার সর্ব অস্তিত্ব, তার ধন-সম্পদ, ক্ষমতা-প্রতিপত্তি, জ্ঞান-মেধা সবকিছুই তাঁরই দান। জীবন ও মৃত্যুর রহস্য তাঁরই হাতে। মরদেহের মৃত্যুই জীবনের শেষ কথা নয়। ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবন। এই পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবনকে পরকালের ‘শিক্ষানবীশ কাল’ (Probationary Period) বলা যায়। পরকালের অনন্ত জীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার সময় হচ্ছে পৃথিবীর এই জীবন। এই জীবন শেষে আল্লাহ্র কাছেই ফিরে যেতে হবে। আল্লাহ্ মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব করে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর সমস্ত সৃষ্টিকে মানুষের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টি করেছেন। আলোচ্য আয়াতে এ তথ্যের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর দ্বারা বোঝা যায় যে পৃথিবীতে এমন কোন বস্তু নাই যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মানুষের উপকার সাধন করে না। পৃথিবীর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুজীব থেকে বিরাট মহাবিশ্ব সবই তাঁর সৃষ্টি। মহাবিশ্বের আয়তন ধারণা করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এই মহাকাশকে আল্লাহ্ সপ্ত আকাশে ভাগ করেছেন। ভবিষ্যতের বিজ্ঞানই হয়তো এই সপ্ত আকাশের সন্ধান দেবে। এখানে সপ্ত আকাশ হয়তো আল্লাহ্ সাতটি গ্যালাক্সির বা ছায়াপথের সন্ধান দিচ্ছেন-যেখানে আমাদের বিজ্ঞান বিশ্বজগতের শুধুমাত্র এক আকাশ বা একটি ছায়াপথের সন্ধান দেয়। ভবিষ্যতের বিজ্ঞান আমাদের এই রহস্যের সমাধান দেবে। স্রষ্টার সৃষ্টি বিশাল এবং সুক্ষ্ম কৌশল এবং জ্ঞানে ভরা। তার সৃষ্টির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাঁর সৃষ্টির বৈশিষ্ট্য ও জ্ঞান আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে ধারণা করাও অসম্ভব। সেই স্রষ্টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে যারা অস্বীকার করে তাদের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি (Spiritual Faculty) আস্তে আস্তে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে যায়।