মহাকাশ নিকষ কালো অন্ধকার, তার মাঝে অসংখ্য নক্ষত্র জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। কোথাও নেবুলার রক্তিম ঘূর্ণন, কোথাও ধোয়াটে গ্যালাক্সি। কোথাও কোয়াজারের উজ্জ্বল নীলাভ আলো, কোথাও অদৃশ্য ব্ল্যাকহোলের আকর্ষণে আটকে পড়া নক্ষত্রে তীব্র আলোকছটা। সেই আদি নেই অন্ত নেই অন্ধকার হিমশীতল মহাকাশ দিয়ে নিঃশব্দে ছুটে চলছে ফোবিয়ান। নিঃসঙ্গ এই মহাকাশযানে দুজন যাত্রী। আমি এবং মিত্তিকা।
ফোবিয়ানের দুই নিঃসঙ্গ যাত্রী।
———-
নির্ঘণ্ট
১. নিও পলিমার : পোশাক হিসেবে ব্যবহার করার জন্যে নতুন ধরনের পলিমার (কাল্পনিক)।
২. বায়োডোম : জীবন রক্ষাকারী বিশাল গোলক (কাল্পনিক)।
৩. ভিডি টিউব : যোগাযোগের জন্যে বিশেষ ভিডিও সংযোগ (কাল্পনিক)।
৪. হলোগ্রাফিক : আলোর ব্যতিচার ব্যবহার করে ত্রিমাত্রিক ছবি দেখানোর বিশেষ পদ্ধতি।
৫. জিন : মানুষের ক্রমোজমে যে অংশটুকু জৈবিক বৈশিষ্ট বহন করে।
৬. জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং : জিনের পরিবর্তন করে জৈবিক বৈশিষ্ট পরিবর্তনের প্রক্রিয়া।
৭. গ্রিশিন গ্রহ : উল্কাপাতে বায়োডোম ধ্বংস হয়ে বসবাসকারী মানুষের মৃত্যু হয়েছিল যে গ্রহে (কাল্পনিক)।
৮, ব্ল্যাকহোল : প্রবল মহাকর্ষ বলে সৃষ্ট Singularity, যেখান থেকে আলো পর্যন্ত বের হতে পারে না।
৯. কারগো বে : মহাকাশযানের যেখানে পরিবহন করার জিনিসপত্র সংরক্ষণ করা হয় (কাল্পনিক)।
১০. নিউরণ : মস্তিষ্কের কোষ।
১১. সিনান্স : নিউরণদের মাঝে যোগাযোগ হওয়ার সংযোগস্থান।
১২. নিউরাল নেটওয়ার্ক : মানুষের মস্তিষ্কের অনুকরণে সৃষ্ট নেটওয়ার্ক।
১৩, মস্তিষ্ক ম্যাপিং : একজন মানুষের মস্তিষ্ককে সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া (কাল্পনিক)।
১৪. জিনম ল্যাবরেটরি : মানুষকে জন্ম দেওয়ার কৃত্রিম পদ্ধতি যে ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার করা হয় (কাল্পনিক)।
১৫. প্ল্যাসেন্টা : মাতৃগর্ভে সন্তান যে অংশ দিয়ে মায়ের দেহ থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে।
১৬. মেটা ফাইল : যে ফাইলে বিপুল পরিমাণ তথ্য সংরক্ষণ করা যায় (কাল্পনিক)।
১৭. স্কাউটশিপ : মূল মহাকাশযান থেকে আশেপাশে যাওয়ার জন্যে ছোট মহাকাশযান (কাল্পনিক)।
১৮. প্রতিপদার্থ : পদার্থের সংস্পর্শে এসে যেটি শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়।
১৯, প্লাজমা : পদার্থের চতুর্থ অবস্থা আয়োনিত গ্যাস।
২০. এক্সরে লেজার : কয়েক এংস্ট্রম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য দিয়ে তৈরি লেজার।
২১. নিহিলিন ১৮ : যে ড্রাগ খেয়ে দীর্ঘ সময় না ঘুমিয়ে থাকা যায় (কাল্পনিক)।
২২. তরল হিলিয়াম তাপমাত্রা : শূন্যের নিচে প্রায় দুইশত সত্ত্বর ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৩. নিউট্রন স্টার; যে নক্ষত্রে পরমাণু ভেঙে নিউক্লিয়াস সম্মিলিত হয়ে যায়।
২৪. হাইব্রিড : যে মানুষের ভিতরে তার জৈবিক সত্তার পাশাপাশি একটি যান্ত্রিক সত্তা বিরাজ করে (কাল্পনিক)।
২৫. বায়োমার : মানুষের শরীরের ওপর ব্যবহার করার জন্যে একটি বিশেষ পলিমার (কাল্পনিক)।
২৬. হোয়াইট ডোয়ারফ : নক্ষত্রের বিবর্তনে একটি বিশেষ পর্যায়।
২৭. আয়ন : পরমাণুতে প্রয়োজন থেকে বেশি কিংবা কম ইলেকট্রনের উপস্থিতি
২৮. গ্যালাক্টিক অবস্থান নির্ধারণ মডিউল : যে যন্ত্র দিয়ে গ্যালাক্সিতে যে-কোনো জায়গার অবস্থান নিখুঁতভাবে জানা যায় (কাল্পনিক)।
২৯. গ্লকোনাইট : অচিন্ত্যনীয় বিস্ফোরণের ক্ষমতাসম্পন্ন দুষ্প্রাপ্য খনিজ (কাল্পনিক)।
৩০. এটমিক ব্লাস্টার : শক্তিশালী পরমাণু দিয়ে তৈরি বিশেষ ধরনের অস্ত্র (কাল্পনিক)।
৩১. জেট প্যাক : শরীরের সাথে লাগানো ক্ষুদ্রকায় জেট ইঞ্জিন যেটি একজন মানুষকে উড়িয়ে নিতে পারে (কাল্পনিক)।
৩২. কোয়ারেন্টাইন কক্ষ : যে কক্ষে কোনো কিছুকে জীবাণু মুক্ত করা হয়।
৩৩. আন্ট্রাভায়োলেট রশ্মি : যে আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য থেকে ছোট।
৩৪. জিনেটিক প্রোফাইল : একজন মানুষের জিনের বিন্যাস।
৩৫. কপোট্রন : কৃত্রিম মস্তিষ্ক (কাল্পনিক)।
৩৬. ট্রান্সক্র্যানিয়াল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেটর : উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন এবং উচ্চ কম্পনের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দিয়ে মস্তিষ্কের বাইরে থেকে মস্তিষ্কের ভিতরে সংবেদন সৃষ্টি করার বিশেষ যন্ত্র।
৩৭. স্লিংশট : মহাকর্ষ বল ব্যবহার করে মহাকাশযানের গতিপথে শক্তি প্রয়োগের পদ্ধতি।
৩৮. সিনান্স মডিউল : মস্তিষ্কের ভিতরে কোথায় আলোড়ন সৃষ্টি হয় সেটি খুঁজে বের করার বিশেষ যন্ত্র (কাল্পনিক)।
৩৯. নিহিলা : মানুষকে দীর্ঘ সময় অচেতন রাখার বিশেষ ধরনের গ্যাস (কাল্পনিক)।