৯. কলকাতা পৌঁছুনোর দুদিন পরে

কলকাতা পৌঁছুনোর দুদিন পরে বিকেল চারটেয় দৈনিক সত্যসেবক পত্রিকার অফিসে টেলিফোনে কর্নেলের তলব এল। চলে এস জয়ন্ত। এক্সক্লুসিভ স্টোরির চান্স এসে গেছে। দেরি কোরো না।

তখনই বেরিয়ে পড়লাম। ইলিয়ট রোডে কর্নেলের তেতলার অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে দেখি, বৃদ্ধ প্রকৃতিবিদ একগুচ্ছ পোস্টকার্ড সাইজের রঙিন ছবি মনোযোগ দিয়ে দেখছেন। মুখ না তুলেই বললেন, আমি কখনও খালি হাতে ফিরি না। বুরুডি আমাকে প্রতারণা করেছিল। কিন্তু কান্দ্রা আমাকে বিমুখ করেনি। তিন রকম পুষ্পবতী অর্কিড, দুরকম প্রজাপতি, তারপর অনেক রকম সারস– মোটামুটি একটা প্রবন্ধের উপাদান পেয়ে গেছি। কিন্তু না–আমার বক্তব্যের ঝোঁকটা থাকবে কান্দ্রা লেকের দূষিত. জলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে। খনি থেকে প্রচুর আবর্জনা লেকের জলে ফেলা হয়। আন্তর্জাতিক মহলে আগ্রহ জাগলে আমাদের সরকারের টনক নড়বে।

এতক্ষণে সোফায় বসে বললাম, এই আপনার এক্সক্লুসিভ স্টোরি?

হ্যাঁ। আমার। তোমার স্টোরির জন্য পাঁচটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বলে কর্নেল ছবিগুলো খামে ভরে টেবিলের ড্রয়ারে ঢোকালেন। তারপর আমার দিকে ঘুরে বসলেন। ইতিমধ্যে তুমি মৃন্ময়ীভবনের ব্যাপারে প্রশ্ন থাকলে করতে পারো।

একটু ভেবে নিয়ে বললাম, হরি সিংকে সনৎ সেন বনমানুষ সাজিয়েছিলেন কেন?

রুহা প্রপাত এলাকায় নির্জনে দাদার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য। এমনকি, নিজের বাড়িতেও ওকে বনমানুষ সাজিয়ে পাঁচিলের পাশে ওত পাতার ভঙ্গিতে বসে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর একমাত্র কারণ, সনৎ সেন আমার পরিচয় পেয়ে আমাকেও মিসগাইড করতে চেয়েছিলেন।

আপনি কী করে বুঝলেন হরি সিংই বনমানুষ সাজে?

মন্দিরের পেছনের দরজা হলো এক নম্বর সূত্র। দুনম্বর সূত্র, রুহা প্রপাতের কাছে কিছু লোম পড়ে থাকতে দেখেছিলাম। এবার স্মরণ করে দেখ, তিতি, বনশ্রী, রাম সিং সবাই খুব জোর দিয়ে বলছিল, হরি সিংয়ের গায়ে হাতির জোর। যেদিন পাহাড় থেকে পাথর খসে পড়ে, সেদিন সেনসায়েব মন্দিরের দরজা খুলে হরি সিংকে কিছু নির্দেশ দিচ্ছিলেন। তিতি বলেছিল একথা। রাধাচূড়ার তলায় রাখা পাথরগুলোর কথাও বলেছিল। কাজেই আমার অঙ্ক নির্ভুল ছিল।

তিনটে সিগারেটের ফিল্টারটিপ–

কর্নেল আমাকে থামিয়ে টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা কাগজের মোড়ক বের করলেন। খুলে বললেন, এতে দশটা ফিল্টারটিপ আছে। সাতটা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম পার্বতীর মন্দিরের কাছে। একই সাইজ এবং একই রকম ফাইবার। এদিকে আধপাগলা রাজেনবাবু বলেছিলেন, নরেশ ভার্মাকে তিনি দেখেছেন। তুমি নিজেও বাইনোকুলারে তাকে পার্বতীর মন্দিরের আড়ালে লুকোতে দেখেছিলে।

যষ্ঠীচরণ কফি আনল। কফি খেতে খেতে কর্নেল বললেন, সনৎ সেনের পরিচয় টের পেয়ে আর তার বাড়িতে থাকা আমার বরদাস্ত হচ্ছিল না। বিশেষ করে রমেশ সিনহাকে দেখার পর সিদ্ধান্ত নিতে হলো, আমাকে চলে যেতেই হবে। জয়ন্ত! ওর আসল নাম বিনোদ সিনহা। আন্তর্জাতিক একটা স্মাগলিং র‍্যাকেটের লোক। বছর পাঁচেক আগে বিনোদ ধরা পড়েছিল। আমি অবশ্য নেপথ্যে ছিলাম। তবে আমাকে সে কাস্টম অফিসারদের সঙ্গে দেখে থাকবে।

ডঃ বি কে সেন যে জীবিত, তা কী ভাবে টের পেলেন?

অমন বিখ্যাত ভূবিজ্ঞানীর মৃত্যু হলো। অথচ শেষরাতে কান্দ্রা শ্মশানে চুপচাপ তার দাহ হয়ে গেল? প্রথমে এতেই আমার খটকা লেগেছিল। তারপর রাজেনবাবুর মুখে তার প্রেতাত্মার সঙ্গে দেখাসাক্ষাতের কথা শুনে সন্দেহ বেড়ে গেল। কিন্তু তার আগেই পশ্চিমের পাহাড় থেকে বাইনোকুলারে তাকে অস্পষ্টভাবে দেখেছিলাম। তখন তাকে চিনতে পারিনি। পরে নিশ্চিত হলাম উনি জীবিত। যাই হোক, উনি পাঁচটায় এসে পড়বেন। তার মুখে সবটা শোনা যাবে।

সময় কাটতে চাইছিল না। পাঁচটা তিন মিনিটে ডোরবেল বাজল। তারপর ষষ্ঠী একজন রোগাটে চেহারার প্রৌঢ় ভদ্রলোককে নিয়ে এল। সনৎ সেনের সঙ্গে এঁর চেহারার মিল লক্ষ্য করেই বুঝতে পারলাম, ইনি কে!!

কর্নেল আলাপ করিয়ে দিলেন। ডঃ বি কে সেন সোফায় বসে মৃদুস্বরে বললেন, আপনাকে আমি পার্বতীর মন্দিরের আড়াল থেকে দেখেছিলাম। কিন্তু নরেশ ভার্মাকে ওখানে আবিষ্কার করার পর আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয়েছিল।

এতদিন আপনি কোথায় ছিলেন?

বোম্বেতে। নাম ভাড়িয়ে বিদেশে চলে যাবার জন্য পাসপোর্ট-ভিসার ব্যবস্থা করছিলাম। হঠাৎ সনৎ-এর চিঠি পেলাম। নরেশ ভার্মা তাকে উত্ত্যক্ত করছে। উত্ত্যক্ত সে করতেই পারে। কারণ তাকে আমি ইউরেনিয়াম পাচারের দায়ে হাতে-নাতে ধরিয়ে দিয়েছিলাম। তার চেয়ে সাংঘাতিক ঘটনা হলো, নরেশের ভাই সুরেশ ছিল আমার ল্যাবরেটরি-অ্যাসিস্ট্যান্ট। নরেশ জেল থেকে পালিয়ে এসে আমার ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ভাইকে প্ররোচিত করেছিল। গত বছর ২৪ সেপ্টেম্বর অনেক রাত অব্দি আমি কাজ করছিলাম। সুরেশও ল্যাবে ছিল। হঠাৎ সে একটা বিষাক্ত গ্যাসের পাইপ খুলে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ধস্তাধস্তির সময় দুর্ভাগ্যক্রমে পাইপটা তার মুখের দিকে ঘুরে যায়। বেচারা মারা পড়ে। পাইপটা বন্ধ করে দিয়ে সনৎকে ডাকলাম। সনৎ হঠকারী, নির্বোধ আর ভীষণ জেদি। তার পরামর্শ আমি বোকার মতো মেনে নিলাম।

কর্নেল সকৌতুকে বললেন, অর্থাৎ সুরেশের লাশ ডঃ বি কে সেনের লাশে পরিণত হলো।

হ্যাঁ। ডেথ সার্টিফিকেট পেতে অসুবিধে হয়নি। ডাক্তার পাণ্ডে আমাদের ফ্যামিলির সঙ্গে বাবার আমল থেকে পরিচিত। তবে আসল ব্যাপারটা হলো টাকা। তার টাকার লোভ ছিল প্রচণ্ড।

কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার ছোটভাই হরি সিংকে দিয়ে ডাক্তার পাণ্ডেকে কার্যত খুনই করিয়েছিলেন?

ডঃ বি কে সেন একটু চুপ করে থাকার পর বললেন, সম্প্রতি সনৎ-এর চিঠি পেয়ে কান্দ্রায় গিয়ে শুনলাম সে কী করেছিল। তাকে বকাবকি করে আর লাভ নেই। তখনও টের পাইনি সনৎ-এর প্রকৃত উদ্দেশ্য কি। নরেশ ক্রমাগত তাকে নাকি হুমকি দিয়ে উড়ো চিঠিতে আমার এক্স ফাইল দাবি করছে। তো আমি তাকে চিঠি লিখে নির্দেশ দিলাম, এক্স ফাইল খনিকর্তৃপক্ষের হাতে প্রকাশ্য অনুষ্ঠান করে তুলে দাও।

ষষ্ঠী আবার কফি দিয়ে গেল। কর্নেল বললেন, কফি খান ডঃ সেন। সৌভাগ্যক্রমে আপনার ছোটভাইয়ের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। এক্স ফাইল আমার হাতে এসে গেছে।

ডঃ সেন কফিতে চুমুক দিয়ে বললেন, দূর থেকে আপনাকে ঘাটে ঝোপের ভেতর ঢুকতে দেখেছিলাম। আমি তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কলকাতা ফিরে গিয়ে আপনার অপেক্ষা করব। তারপর আপনি ফিরে এলে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করব।

এই সময় আমি জিজ্ঞেস করলাম, কর্নেল! রাজেনবাবুকে মেরে ফেলার চক্রান্ত আপনি কী করে টের পেলেন?

ডঃ সেন চমকে উঠে বললেন, রাজেনবাবু, মানে রাজেন্দ্রলাল দ্বিবেদীকে?

কর্নেল বললেন, উনি বলছিলেন, আপনার প্রেতাত্মার সঙ্গে প্রায়ই ওঁর দেখাসাক্ষাৎ এবং কথাবার্তা হয়।

ডঃ সেন বিমর্ষমুখে হাসলেন। বার দুই দৈবাৎ ওঁর সামনে পড়ে গিয়েছিলাম। ভদ্রলোক মাঝে মাঝে প্রায় পাগলের মতো আচরণ করেন। কখনও সুস্থ মানুষের মতো। প্রথমবার ভয় পেয়ে মন্ত্রতন্ত্র পড়তে শুরু করেছিলেন। অগত্যা সশরীরে প্রেতাত্মার অভিনয় করা ছাড়া উপায় ছিল না। কিন্তু তাকে কেন মেরে ফেলতে চেষ্টা করল সনৎ?

উনি ধরেই নিয়েছিলেন, আপনি যে জীবিত, সে কথা রাজেনবাবু জানেন।

তাই বলে ওঁকে মেরে ফেলতে হবে?

আপনি মৃত সাব্যস্ত হয়েছেন। এখন যদি আপনার ভাই এক্স ফাইল কোনও আন্তর্জাতিক স্মাগলিং র‍্যাকেটের চাইকে বিক্রি করেন, টাকাটা তিনিই পাবেন। এদিকে আপনি জীবিত, একথা সেই চাইরা কোনওভাবে টের পেলে তাদের একটা ঝুঁকি নেওয়ার ভয় থাকবে। কারণ আপনি একজন বিখ্যাত ভূতত্ত্ববিদ। আপনার আন্তর্জাতিক খ্যাতি আছে। তাই তারা পিছিয়ে যেতে পারে। অতএব রাজেনবাবুর মুখ চিরকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া দরকার।

ডঃ সেন কফির পেয়ালা রেখে দুহাতে মুখ ঢেকে শুধু বললেন, সনৎ এই বয়সেও বদলায়নি?

কর্নেল বললেন, যে নরেশ ভার্মার ভয়ে আপনি মৃত মানুষে রূপান্তরিত হয়েছিলেন, সনবাবু তার সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে নেমেছেন। তবে তার সঙ্গে কুখ্যাত রমেশ সিনহা ওরফে বিনোদ সিনহা আছে। দেখা যাক কী হয়!

ডঃ সেন রুমালে মুখ মুছে আবার কফিতে চুমুক দিলেন।

 আমি বললাম, কর্নেল! আমার প্রশ্নটার উত্তর পাইনি।

কর্নেল বললেন, রাতে খাওয়ার পর আমি বারান্দার আলো নিভিয়ে চুরুট টানছিলাম। মনে পড়ছে?

বললাম, হ্যাঁ।

হঠাৎ মন্দিরের ওদিকে টর্চের আলো জ্বলে উঠল। আমি চুরুট আড়াল করে লক্ষ্য রাখলাম। হরি সিংয়ের গলা শুনতে পেলাম। শুধু দুটো কথা। কাল সুবামে? ঠিক হ্যায়। উও পাগলাবাবু–তারপর তার চাপা হাসির শব্দ এবং সনৎ সেনের ধমক। ব্যস! আমার অঙ্ক ঠিকই ছিল।

ডঃ সেন আস্তে বললেন, আমার কষ্ট হয় খালি আমার ভাগনী সুদেষ্ণার জন্য।

তিতি খুব ভালো মেয়ে। ও আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। কলকাতা ফিরে আমার সঙ্গে দেখা করবে। ওর জন্য আপনি ভাববেন না। এবার বলুন, আপনার এক্স ফাইলে কী আছে?

কান্দ্রা এলাকায় ভূগর্ভে এক ধরনের খনিজ পদার্থ আছে, যা থেকে বিষাক্ত গ্যাস প্রতিষেধক সলিউশন তৈরি করা যায়।

আপনার দিল্লি সেমিনারে পড়া পেপারে এই বিষয়টা ছিল মনে আছে।

তখন ছিল থিওরিতে। পরে আমি তা তৈরি করতে পেরেছিলাম। সুরেশ ভার্মারও তা অজানা ছিল না। আমার সন্দেহ, তার দাদা নরেশ ভার্মার কাছে এ খবর সে-ই পাচার করেছিল।

এবার বলুন এক্স ফাইল নিয়ে কী করতে চান? বলে কর্নেল উঠে গিয়ে আলমারি খুললেন এবং লকারের ভেতর থেকে একটা প্যাকেট নিয়ে এলেন।

ডঃ সেন বললেন, আমার ইচ্ছা, আপনিই ওটা কেন্দ্রীয় খনিদপ্তরের হাতে তুলে দিন। কীভাবে আপনার হাতে এই ফর্মুলা এল, সেকথা আপনি নিজের খুশিমতো জানাবেন। আমি শুধু একটা অনুরোধ জানাতে এসেছি। আমি মৃত মানুষ হয়েই থাকতে চাই। কারণ এদেশে আমার থাকার অসুবিধা আছে। বলে উনি উঠে দাঁড়ালেন। পা বাড়িয়ে দরজার কাছে গিয়ে হঠাৎ ঘুরে খুব আস্তে বললেন, যদি তিতি আপনার কাছে আসে, গোপনে শুধু তাকেই জানাবেন আমি বেঁচে আছি। বিদেশে পৌঁছুনোর পর তাকে আমার নতুন নামে চিঠি দেব।

কর্নেল বিদায় দিতে গেলেন। আমার জানতে ইচ্ছে করছিল, ডঃ সেনের নতুন নাম কী? কিন্তু সুযোগ পেলাম না।

দরজা বন্ধ করে ফিরে এসে কর্নেল বললেন, জয়ন্ত। এক্সকুসিভ স্টোরিটা লিখতে আরও কয়েকটা দিন দেরি করো। ডঃ সেনকে বিনা বাধায় বিদেশে যেতে দাও।

বললাম, উনি মৃত হয়েই থাকবেন আমার স্টোরিতে।

বেশ। কিন্তু একটা উপলক্ষ তো দরকার। আমি কেন্দ্রীয় খনিদপ্তরে শিগগির যোগাযোগ করছি। এক্স ফাইল আনুষ্ঠানিকভাবে

প্রায় আর্তনাদ বেরিয়ে গেল আমার গলা দিয়ে। না, না! তা হলে এক্সক্লুসিভ স্টোরি হবে কী করে? খবর এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন শুধু দৈনিক সত্যসেবক পত্রিকাই দেবে।

কর্নেল হাসলেন। ঠিক আছে। আমার ঘরেই গোপনে এক্স ফাইল সরকারের প্রতিনিধির হাতে তুলে দেব। তুমি উপস্থিত থাকবে। আর ইতিমধ্যে তিতি ফিরে এলে সে-ও থাকবে।

***

একটু উপসংহার আছে। পরদিন সকালে কর্নেল আমাকে টেলিফোনে বলেছিলেন, আজকের সব কাগজে একটা ছোট্ট খবর বেরিয়েছে। তুমি কাগজের লোক হয়ে কাগজ পড়ো না ডার্লিং! শোনো, কান্দ্রা শিল্পাঞ্চলে গতকাল জেলপলাতক কয়েদি নরেশ ভার্মা এবং জনৈক হরি সিং পালোয়ানের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউরেনিয়াম পাচারের অভিযোগে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার নরেশ ভার্মার পাঁচ বছরের জন্য জেল হয়েছিল।

এটুকু শুনেই বললাম, আর নয়। আমি নিজেই খবরটা পড়ে নিচ্ছি। আপনাকে কষ্ট করে আর পড়তে হবে না…..