৭.
পরের দিন সকালে কফি মেকারে জল ঢালছি, দেখলাম একেনবাবু সোফায় বসে খুব মন দিয়ে ল্যাপটপে কী জানি দেখছেন।
“সাত সকালে কী পড়ছেন এত মন দিয়ে?”
“বেহালার ওপর একটা আর্টিকল স্যার।”
“বেহালা?”
“খুব ইন্টারেস্টিং ব্যাপার স্যার। ট্র্যাডিভারির বেহালা সঙ্গে নতুন পুরোনো ভালো ভালো বেহালার তুলনা করা হয়েছে। কিন্তু সে রকম ভাবে কোনও তফাৎ ধরা পড়েনি।”
.
কাগজের ফিল্টারে এখন ছ’চামচ কফির গুঁড়ো দিতে হবে। একটু কম-বেশি হলেই প্রমথ চেঁচামেচি জুড়বে উইক বা স্ট্রং হয়েছে বলে! আমার অ্যাটেনশানটা তাই সেদিকে। প্রায় বলতে যাচ্ছিলাম, তাতে হয়েছেটা কি?
এরমধ্যেই একেনবাবু সোফা থেকে উঠে ল্যাপটপটা খুলে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। উত্তেজিত ভাবে বললেন, “এই যে দেখুন স্যার, ১৯৭৭ সালে বিবিসি রেডিওর প্রোগ্রামে চারটে বেহালা আনা হয়েছিল। একটা স্ট্রাডিভারিয়াস, একটা গুয়ার্নেরির ১৭৩৯ সালে বানানো ডেল গেসু। অন্য দুটো অত পুরোনো নয়– ১৮৪৬ আর ১৯৭৬ সালের তৈরি। ভালো বেহালা বাদকদের দিয়ে সেগুলো বাজানো হয়েছিল পর্দার আড়ালে। বিচারক ছিলেন আইজ্যাক স্টার্ন, পিঞ্চাস জাকারম্যান আর বেহালা বিশেষজ্ঞ চার্লস বিয়ারক। এঁরা সবাই বিখ্যাত, তাই না স্যার?”
আইজ্যাক স্টার্নের নাম আমি আগে শুনেছি। অন্য দু’জনও নিশ্চয় বিখ্যাত হবেন। সেটাই জানালাম।
“তাহলেই বুঝুন স্যার, এঁরা কেউই চারটের মধ্যে দুটো ঠিক করে বলতে পারেননি। এঁদের মধ্যে দু’জন আবার ভেবেছিলেন ১৯৭৬ সালের বেহালাটা স্ট্রাডিভারিয়াস!”
আমি কফি মেশিনটা চালু করে বললাম, “চলুন আগে বসি, তারপর বলুন আপনার পয়েন্টটা কি?”
সোফায় বসতে বসতে একেনবাবু বললেন, “আমি বলতে চাচ্ছি স্যার, ওই দুম করে যে রবার্ট দত্ত ছড়ে একটা টান দিয়েই বললেন এটা ডেল গেসু নয়, সেটা সত্যি হতে পারে না!”
“তাহলে?”
“একটা গল্প মনে পড়ছে স্যার। একটা আসরে আলো নিভে যাবার সুযোগ নিয়ে এক মহিলা অতিথির হিরের আঙটি খুলে নিয়েছিল এক চোর। তারপর মুখ থেকে চুইংগাম বার করে সেটাতে লাগিয়ে ডেল গেসুর মতো দামি কোনও বেহালার সাউন্ড বক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। চুইংগামের জন্য আঙটিটা বেহালার ভিতরেই আটকে গেল।
আলো যখন জ্বলল, তখন তন্ন তন্ন করে খুঁজেও আঙটিটা পাওয়া গেল না। পুলিশ এসে সবাইকে সার্চ করেও কিছু পেল না। ইট ওয়াজ এ মিস্ট্রি স্যার। শুধু বেহালার আওয়াজটা আগের মতো খুলছিল না।”
“গল্পটা ইন্টারেস্টিং। কিন্তু শেষে লাভবান হলেন কে? বেহালার মালিক না চোর?”
“সেটাই ভুলে গেছি স্যার।”
“তা এখন কী করতে চান?”
“ভাবছি স্যার… একবার খোঁজ করলে হয়, সেদিন ওখানে কারও কিছু খোয়া গিয়েছিল কিনা।”
“এর থেকে অনেক সহজ এক্সপ্লানেশন আছে। নিজে কত বড় বোঝদার প্রমাণ করার জন্যে রবার্ট দত্ত একটা ফালতু স্টেটমেন্ট করেছেন।” আমি বললাম।
“তার থেকেও সিনিস্টার এক্সপ্লানেশন হল নিজের রদ্দি ডেল গেসু রেখে দিয়ে গোলমালের মধ্যে আঙ্কলের ভালো মালটা নিয়ে কেটে পড়েছেন।” প্রমথ কখন ঘরে এসেছে খেয়াল করিনি।
“এটা মন্দ বলেননি স্যার। কিন্তু এটা ডেল গেসু নয়’ বলার কী দরকার ছিল? আপনার থিওরি ঠিক হলে স্যার, উনি তো প্যান্ডেমোনিয়ামের মধ্যে এক্সচেঞ্জটা করেই ফেলেছিলেন। নিজের বেহালাটাই না হয় একটু বাজিয়ে, তারপর রেখে দিয়ে চলে যেতেন। কারও সন্দেহের কোনও প্রশ্ন থাকত না। কিন্তু আরও ফান্ডামেন্টাল প্রশ্ন স্যার, উনি কী করে জানলেন আঙ্কলের বেহালা শুধু জেনুইন নয়, একটা ভালো ডেলগেসু… যার জন্য ওই এক্সচেঞ্জটা উনি করতে গিয়েছিলেন?”
একেনবাবুর এই যুক্তিটা প্রমথ নাকচ করতে পারল না। ব্যাজার মুখে বসে রইল।
একেনবাবু কয়েক মিনিট চুপ করে বসে থাকার পর পা নাচাতে নাচাতে প্রমথকেই জিজ্ঞেস করলেন, “আচ্ছা স্যার, চুরির মোটিভ কী হতে পারে?”
“সিম্পল অর্থোপার্জন। কিন্তু প্রসঙ্গটা আসছে কোত্থেকে?” আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম।
“ঠিক স্যার, অথবা কারও ক্ষতি করা, নিজের তেমন লাভ হোক বা না হোক।”
“এত হেঁয়ালি করে কথা বলছেন কেন?”
“মাঝে মাঝে সব কিছু খুব কনফিউসিং লাগে স্যার।”
প্রমথ বিরক্ত হয়ে বলল, “আমার তো আপনার এখনকার কথাই কনফিউসিং লাগছে। কী বলতে চান বা করতে চান বলুন তো?”
“ভাবছি আঙ্কলকে একটা ফোন করব।”
.
আমি অনেকবারই এই কথা লিখেছি, একেনবাবুর মাথায় কিছু চাপলে যতক্ষণ সেটা না হচ্ছে, ততক্ষণ আশেপাশে সবার লাইফ হেল করতে দ্বিধা করেন না। আমাকে দিয়েই ফোন করানোর চেষ্টা করছিলেন, লাকিলি প্রীতমের ফোন এল। প্রীতম আমাদের এদিকে এসেছে, আমাদের সঙ্গে একটু কথা বলতে চায়। এতে আবার সমস্যা কি? চলে আসতে বললাম।
.
একটুবাদে ও একাই এল। ওর কাছে শুনলাম, বাড়িতে প্রবল গোলমাল চলছে। আঙ্কল রেগে আগুন হয়ে রয়েছেন, বিপ্লবের বাবাকে ফোন করে যাচ্ছতাই গালাগালি করেছেন ঠকাবার জন্য। যেসব কাগজপত্র বেহালার অথেনটিসিটির প্রমাণ হিসেবে বিপ্লবের বাবা দিয়েছেন, সেগুলো সব ভুয়ো বলে কেস করার কথা বলেছেন। বল্লরী কান্নাকাটি করছে।
শেষ করল এই বলে, “অমল কী যে একটা ঝামেলা পাকাল?”
“আচ্ছা স্যার, এই অমল মিত্র ভদ্রলোকটি কে?”
“ও-র ঠাকুরদা আমার মায়ের দাদুর উকিল ছিলেন। আমার আন্টির দুর সম্পর্কের আত্মীয়। বলতে গেলে ফ্যামিলিরই একজন। তবে..”
কী জানি বলতে গিয়ে প্রীতম থেমে গেল।
“তবে কী স্যার?”
“ও আন্টির খুব প্রিয়, কিন্তু আঙ্কলের সঙ্গে একটু সমস্যা আছে। অমলের ধারণা আঙ্কলদের এই বিশাল ব্যাবসায়ে ওর ঠাকুরদার প্রচুর অবদান। বিশেষ করে অ্যাসবেস্টসের বিজনেসটা উনিই দাঁড় করিয়েছিলেন। সেই বিজনেসটা অবশ্য এখন নামে মাত্র আছে। কিন্তু এক সময় তো বিরাট আয় হত। তার প্রতিদানে ওকে চাকরির ক্ষেত্রে সেরকম সুযোগ বা সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে একদিন বলেছিল আঙ্কলদের এক কম্পিটিটর ওকে অনেক স্টার্ট-আপ বোনাস আর মাইনে দিয়ে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু ও পারিবারিক সম্পর্কটা নষ্ট হতে দিতে চায় না।”
“ভেরি ইন্টারেস্টিং স্যার।”
“বুঝলাম না,” প্রমথ বলল।” ওর কোম্পানি ছেড়ে যাবার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হবার প্রশ্ন উঠছে কেন। ও চলে গেলে যদি ইন্ডাস্ট্রি লাটে উঠত, তাহলে এসব কনসিডারেশন আসতে পারত!”
“তা নয়।”
“তা হলে আর কী হতে পারে… বল্লরীকে পাবার চান্স চলে যাবে? সরি, তোমার বোন… এভাবে কথাটা বলা উচিত নয়।”
“তুমি আবার কবে রেখে ঢেকে কথা বল!” প্রীতম হেসে ফেলল। “আন্টির তরফ থেকে সে চান্স দিতে আপত্তি হবে না। তবে বল্লরী আঙ্কলের চোখের মণি। আঙ্কলের কাছে বল্লরীর উপযুক্ত এখনও কেউ জন্মায়নি।”
‘সর্বনাশ! এর পরে জন্মালে তো বয়সের ডিফারেন্স বেড়ে যাবে!” প্রমথ বলে উঠল।
“ও কথা থাক। আসলে ব্যাপারটা এত বিচ্ছিরি অবস্থায় চলে যাচ্ছে। কিছু একটা করে স্টিমটা আউট করা দরকার।”
“সেই জন্যেই তুমি এই সকালবেলা একেনবাবুর কাছে এসেছ?”
“তোমাদের সবার কাছেই পরামর্শের জন্যে এসেছি। মল্লিকাও পুরো ব্যাপারটাতে খুব আপসেট।”
“তা তো বুঝতে পারছি স্যার। তার আগে আসুন, কফি খাওয়া যাক, সবারই মাথা তাতে খেলবে। সেই ফাঁকে আরও দুয়েকটা কথা জেনে নিই, তারপর না হয় যাওয়ার কথা ভাবা যাবে।”
প্রীতমের তাতে কোনও আপত্তি আছে বলে মনে হল না। প্রমথ এক পট কফি বানালো। বাড়িতে ডোনাট ছিল। সেই নিয়ে আমরা বসলাম।
“কাল আমার মাথাতে কতগুলো প্রশ্ন জেগেছিল স্যার, সেগুলো আগে ক্লিয়ার করি। এই যে রবার্ট দত্ত, এঁকে কি আপনি আগে কোথাও দেখেছেন?”
“হ্যাঁ, বেশ কিছুদিন আগে জুবিন মেহেতার একটা কনসার্টে বাজিয়েছিলেন লিড ভায়োলিনিস্ট হিসেবে। সেটাই ওঁর প্রথম ব্রেক। মল্লিকাও ওঁকে দেখেছে গতবছর লন্ডনের একটা কনসার্টে। খুব আত্মম্ভরি লোক।”
“আই সি। অমল মিত্র ওঁকে চিনলেন কী ভাবে স্যার?”
“তা বলতে পারব না। তবে অমলের অসীম ক্ষমতা লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যাপারে। বহু সেলিব্রেটিকে ও চেনে।”
“বুঝলাম স্যার, কিন্তু উনি হঠাৎ রবার্ট দত্তকে নিয়ে এসে একটা ভায়োলিন পরীক্ষা করতে বললেন কেন, আর রবার্ট দত্তই বা তাতে রাজি হলেন কেন?”
“এই প্রশ্নটা আমার মাথাতেও এসেছিল যখন শুনলাম অমল ওঁকে আনার চেষ্টা করছে। পরে ব্যাপারটা ক্লিয়ার হল।”
“কী ক্লিয়ার হল স্যার?”
“আঙ্কলের মনে একটা সন্দেহ হচ্ছিল ভায়োলিনটা সত্যিই কতটা ভালো। কাগজপত্রে তো অনেক কিছুই লেখা থাকে। ভাবছিলেন কাকে দিয়ে পরীক্ষা করাবেন। অমলই তখন রবার্ট দত্তের কথা বলেছিল। রবার্ট দত্ত রাজি হয়েছিলেন, কিন্তু সেটা করার জন্য পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন। তারপর আমার রিসেপশনে যখন আসবেন ঠিক হল, তখন সেই পারিশ্রমিকের ওপর একটা অ্যাপিয়ারেন্স ফী-ও আঙ্কল দিয়েছিলেন। এক্সাক্ট অ্যামাউন্ট আমি জানি না। কিন্তু ভালো টাকাই হবে মনে হয়।”
“আমি একটু কনফিউসড স্যার। আঙ্কল নিজে তো বাজান না, কিন্তু এরকম একটা দামি বেহালা কিনলেন কেন? সেটা কি ইনভেস্টমেন্টের জন্য?”
“তা হতে পারে, কিন্তু এক্ষেত্রে মনে হয় অন্য একটা কারণ কাজ করেছিল।”
“অন্য কী কারণ স্যার?”
“আমার মামাতো ভাই, এই আঙ্কলের একমাত্র ছেলে, বেহালা বাজাত। ওর খুব সাধ ছিল ডেল গেসু বা স্ট্রাডিভারিয়াস কিনবে। বেশ কয়েক বছর আগে ও দুর্ঘটনায় মারা
যায়। সেটাও হয়তো মনের মধ্যে ছিল… কে জানে?”
“অমলবাবুর সঙ্গে কি এর মধ্যে আপনার কথা হয়েছে?”
“না।”
“ঠিক আছে স্যার, আমি যাব। আপনারাও চলুন না স্যার?”
“আমরা গিয়ে কী করব?” আমি প্রশ্ন করলাম।
“আমি যাচ্ছি না। আমি গেলে স্টিম-আউট হবার বদলে স্টিমের চাপ বেড়ে যাবে… যত্তসব!” প্রমথ অনড়।
অগত্যা আমি আর একেনবাবুই গেলাম। কিন্তু একেনবাবুকে সতর্ক করলাম, “আমি যাব আর আসব। আমাকে আজকেই এ্যান্টের রিপোর্ট শেষ করতে হবে, নো ইফ অর বাট।”
.
প্রীতম আন্টির সঙ্গে কথা বলেই এসেছিল। টেরাস তখনও পরিষ্কার করা হয়ে ওঠেনি। দু’জন লোক সেখানে কাজ করছে। বল্লরী আর মল্লিকা আন্টির সঙ্গে বসে আছে ফ্যামিলি রুমে। আঙ্কল বাড়িতে নেই। মনে হল বেহালার কাগজপত্র পরীক্ষা করানোর জন্যে একজন বিশেষজ্ঞ-উকিলের কাছে গেছেন।
একেনবাবু আন্টিকে কোনও ভনিতা না করেই জিজ্ঞেস করলেন, “আন্টি, আমি কি আঙ্কলের ডেল গেসু বেহালাটা একটু দেখতে পারি?”
সবাই বিস্মিত। আন্টি জিজ্ঞেস করলেন, “কেন বল তো?”
“একটা জিনিস পরীক্ষা করতাম। কিন্তু একটা জেমস ক্লিপ বা চুলের কাঁটা দরকার।”
জেমস ক্লিপ, চুলের কাঁটা! বিস্ময়টা একেবারে তুঙ্গে। বল্লরীই চট করে কোত্থেকে চুলের কাঁটা নিয়ে এসেছে।
.
আঙ্কলের অফিসে গেলাম। আগেও এসেছি, সেই একই রয়েছে। ওডিনের উপহারটা যেভাবে দিয়েছিলাম সেভাবেই ডেস্কের ওপর। কাল রাতে যা ঘটেছে, তারপর আর ওটা দেখার সময় পাননি। ডেল গেসু বেহালা বাক্স-শুদু ডেস্কের আরেক কোণে। সেটাকে আর ডিসপ্লে ক্যাবিনেটে ঢোকানো হয়নি।
বেহালাটা বাক্স থেকে উঠিয়ে পকেট থেকে একটা ছোট্টো ফ্ল্যাশ-লাইট বের করে একেনবাবু কী জানি দেখার চেষ্টা করলেন।
তারপর চুলের কাঁটাটা একটু বেঁকিয়ে সোজা করে বেহালার ছোট্ট মুখের মধ্যে ঢুকিয়ে… ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে যে জিনিসটা বার করলেন, সেটা আমি যেন এক্সপেক্টই করছিলাম, একটা চুইংগাম!
“এর মানে?” প্রীতম আর বল্লরী প্রায় একসঙ্গেই জিজ্ঞেস করল।
“ম্যাডাম, কেউ এটার আওয়াজ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল… আরও কিছু গাম হয়তো আটকে আছে, কিন্তু খোঁচাখুঁচি করে বেহালাটা ড্যামেজ করতে চাই না।”
.
এই কীর্তি কে করেছে একেনবাবু মনে হল বুঝতে পেরেছেন। আমিও মনে হয় একই লোককে সন্দেহ করেছি। বল্লরীর চোখ দেখলাম জ্বলছে, সে ঠিকই ধরেছে।
“আঙ্কলকে বলবেন ম্যাডাম, বেহালা সারাই করার ভালো লোক ডেকে এটাকে ঠিক মতো ক্লিন করতে।” বল্লরীকে বললেন একেনবাবু। আন্টি আমাদের চা খাওয়ানোর চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু আমরা বসলাম না।
ফেরার পথে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনার কী করে সন্দেহ হল যে অমল মিত্র এর সঙ্গে জড়িত? এইভাবে বিপ্লবকে ফিল্ড থেকে হটিয়ে দেওয়া… এত একেবারে মাস্টার স্ট্রোক!”
“এটা একেবারেই ঝড়ে বক পড়ে স্যার। চুইং গামটা হঠাৎ পেয়ে গেলাম, নইলে তো এটা চিটিং কেস! ভালো বলে বাজে মাল গছানো!”
“সে যাই হোক, যে বম্বশেল ফাটিয়ে এলেন, এবার দেখুন কী দাঁড়ায়! একটা পারিবারিক অশান্তির পরিবেশ যে হবে সেটাতে সন্দেহ নেই।”