০৩. ‘আমি রাত্রির সন্তান’
-আরও দুটুকরো বরফ ফেলে দাও।
-আরে ব্বাস!
বেয়ারার অস্ফুট উক্তি অঞ্জনের কানে এল। সে হাসি চেপে মুখ ঘুরিয়ে নিল।
খরিদ্দারের আদেশ পালন করার জন্য বেয়ারা পা বাড়াল, সঙ্গেসঙ্গে অঞ্জনের পিছন থেকে একটা অপরিচিত কণ্ঠ সকৌতুকে বলে উঠল, আরে ভাই, চমকে যাচ্ছ কেন? অবশ্য চমকে যাওয়াই স্বাভাবিক, এমন দারুণ ঠান্ডা কলকাতা শহরে কয়েক বছরের মধ্যে পড়েনি। তবে উনি বহুদিন ইউরোপের নানা জায়গায় ঘুরেছেন, তাই এই ঠান্ডা ওঁর গায়েই লাগছে না। ওঁর গেলাসের জিনিস একটু বেশি ঠান্ডা হওয়া দরকার।
চমকে উঠে পিছন ফিরে তাকাল অঞ্জন, দেখল তার পিছনেই দাঁড়িয়ে আছে এক দীর্ঘকায় পুরুষ। লোকটির দেহে ইউরোপীয় পরিচ্ছদ– গায়ের ফর্সা রং রোদে পুড়ে তামাটে, রোমশ জোড়া জ্বর নিচে একজোড়া ঝকঝকে কালো চোখ, সরু গোঁফ আর মাথায় লালচে-বাদামি চুলের মাঝখানে সিৗথ দেখে বাঙালি তো দুরের কথা ভারতীয় বলেই মনে হয় না। চেহারা দেখে যাই মনে হোক, তার কথা শুনে তাকে খাঁটি বঙ্গসন্তান ছাড়া আর কিছু ভাবা অসম্ভব।
সীমা আর শ্রীময়ীর কাছে বিদায় নিয়ে অঞ্জন চলে এসেছিল চৌরঙ্গী এলাকায়। অত্যন্ত ক্লান্ত বোধ করছিল সে, মাথার ভিতরটা দপ দপ করছিল। একটা রেস্তোরাঁয় ঢুকে বেয়ারাকে ঠান্ডা পানীয় পরিবেশনের ফরমাশ করল সে। বেয়ারা হুকুম তামিল করেছিল। কিন্তু ঠান্ডা পানীয়কে আরও-ঠান্ডা করার জন্য বরফ দেয়নি। এই নিদারুণ ঠান্ডায় কোনো খরিদ্দার যে বরফ চাইতে পারে, তা সে ভাবতেই পারেনি। তবু দুটুকরো বরফ দেওয়ার পরেও খরিদ্দারটি যখন আরও বরফ চাইল, তখনই তার মুখ থেকে বেরিয়ে এল অস্ফুট স্বগতোক্তি, আরে ব্বাস! আর তখনই হল অপরিচিত আগন্তুকের আবির্ভাব। পরবর্তী ঘটনা আগেই বলা হয়েছে, পুনরুক্তি নিষ্প্রয়োজন।
অঞ্জনের বিস্ময়টুকু উপভোগ করতে করতে আগন্তুক বলল, আমি কি এখানে বসতে পারি, মিঃ চৌধুরী?
লোকটির ঠোঁটের কোনায় মৃদু হাসি;- অঞ্জনের মনে হল সেই হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে প্রচ্ছন্ন ব্যঙ্গ।
শিষ্টাচারের নিয়ম পালন করলেও আগন্তুক অনুমতির অপেক্ষা করল না, মুখোমুখি একটা চেয়ার টেনে আসন গ্রহণ করল হাসিমুখে।
মিঃ চৌধুরী, বোধহয় চমকে গেছেন?
-আপনি আমাকে চেনেন?
চিনি বৈকি!
–কিন্তু আমি তো আপনাকে চিনি না।
–স্বাভাবিক।
–তার মানে? আমি আপনাকে চিনি না, অথচ আপনি আমায় চেনেন, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার বলতে চান?
-কেন নয়? বিখ্যাত ব্যক্তিদের সাধারণ মানুষ দেখলেই চিনতে পারে, কিন্তু তারা কি সাধারণ মানুষকে চেনেন? যে-সব অভিনেতা বা খেলোয়াড় খ্যাতিলাভ করেছেন, সারা দেশের রাম, শ্যাম, যদু, মধু অথবা টম, ডিক, হ্যারি তাদের দেখলেই চিনতে পারে, কিন্তু ওইসব বিখ্যাত ব্যক্তিরা কি তাদের ভক্তবৃন্দের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হতে পারেন?
ও!–অঞ্জনের ললাট রেখাগুলো মিলিয়ে গেল,– তাই বলুন, আপনি আমার খেলা দেখেছেন। তাহলে বলব, আপনার স্মৃতিশক্তি খুবই প্রখর। কারণ, মাঝখানে আমি বেশ কয়েক বছর ছুটি নিয়েছিলাম– বছর তিনেক আগে আমার খেলা দেখেছিলেন হয়তো। আজ এতবছর বাদে পৃথিবীর এক ভূখণ্ড ছেড়ে অপর ভূখণ্ডে এসেও আপনি যে আমায় দেখামাত্র চিনতে পেরেছেন, সেটা খুবই আশ্চর্য ব্যাপার। খেলোয়াড় যখন দেখে তার খেলা মানুষকে আকর্ষণ করছে, তখনই সে সমস্ত কষ্ট আর পরিশ্রম সার্থক মনে করে। দর্শকের স্বীকৃতি খেলোয়াড়, অভিনেতা বা শিল্পীর কাছে সবচেয়ে বড়ো পুরস্কার। আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার ফলে আমি যে কত খুশি হয়েছি, সেকথা বুঝিয়ে বলতে পারব না। কিন্তু আমার খেলা কোথায় দেখেছেন? ইউরোপের কোন দেশে? নাকি, আমেরিকায়!… হাসছেন? তবে কি জাপানে?
-সর্বত্র।
–বলেন কী!
—ঠিকই বলছি, মিঃ চৌধুরী।
অঞ্জনের ললাটে আবার রেখা পড়ল, ভুল করছেন বোধহয়। আমি চৌধুরী নই, ঘোষ। অঞ্জন
আগন্তুক হাসল, হ্যাঁ, ওই নামেই পরিচয় ঘোষণা করা হয়েছিল বটে।
আপনি কি বলতে চান? অঞ্জনের কণ্ঠস্বরে বিরক্তির আভাস বেশ স্পষ্ট, বলতে চান পদবিটা ভুয়ো, মিথ্যা? ঠারেঠোরে আপনি যেন সেইরকম ইঙ্গিত দিচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে!
–পদবি সত্য। কিন্তু—
কিন্তু বলে থামলেন কেন?
—কিন্তু অশ্বথামা হত, ইতি গজ!
–দেখুন মিঃ—
–আপনি আমায় জোসেফ বলে ডাকতে পারেন।
–মিঃ জোসেফ! এর আগে আপনাকে আমি কখনো দেখিনি। আপনি হয়তো বিদেশে কোথাও আমার খেলা দেখেছেন। ভালো লেগেছে তাই মনেও রেখেছেন। সেজন্যে আমি খুবই আনন্দিত। কিন্তু আপনি এমন উলটোপালটা কথা বলছেন যে
বাধা দিয়ে আগন্তুক বলল, আমি উলটোপালটা বলছি না, সেকথা আপনি ভালো করেই জানেন।
আপনি আমায় দস্তুর মতো বিরক্ত করছেন, হাতের গেলাসে একটা লম্বা চুমুক দিল অঞ্জন, এবার আমি উঠব।
উঠবেন না, মিঃ চৌধুরী, আগন্তুকের কণ্ঠস্বর গম্ভীর, আপনার সামনে মস্ত বিপদ। আগামী রাত্রের কথাটা কি ভুলে গেছেন?
চমকে উঠল অঞ্জন, সামনে ঝুঁকে পড়ে প্রায়-অবরুদ্ধ স্বরে বলে উঠল, কোন বিপদের কথা বলছেন?
ব্রেজিল থেকে যে-বিপদ আপনি আমদানি করেছেন, আগন্তুক অঞ্জনের চোখে চোখ রাখল, আমি সেই বিপদের কথাই বলছি।
ক-ক-কী! আর একটু খুলে বলুন। মিঃ জোসেফ, মনে হয় আপনি খ্রিস্টান। আপনাদের ঈশ্বরের দোহাই, খুলে বলুন আপনার বক্তব্য।
আমি খ্রিস্টান নই। কিন্তু ঈশ্বরের দোহাই দিলেও শয়তান ক্ষমা করে না।
–কী বললেন?
এক চোখ টিপে হাসল জোসেফ, বলছিলাম ঈশ্বরের দোহাই দিলে শয়তান ক্ষমা করবে কি?
অঞ্জন চট করে জোসেফের একটা হাত চেপে ধরল।
জোসেফ হাসল, ইঙ্গিতটা তাহলে বুঝেছেন? কিন্তু অতজোরে হাত চাপবেন না। আমার কবজিটা লোহা দিয়ে তৈরি নয়, ভেঙে যেতে পারে। আমি আপনার শত্রু নই- বন্ধু।
দুঃখিত, মাফ করবেন, লজ্জিত হয়ে হাত ছেড়ে দিল অঞ্জন, আপনি কিন্তু এখন পর্যন্ত বন্ধুত্বের প্রমাণ দেননি, ক্রমাগত রহস্যের সৃষ্টি করে আমার মনে উদ্বেগ ও আশঙ্কার সৃষ্টি করছেন।
–রহস্যের সৃষ্টি যদি করে থাকি, সমাধানও আমিই করব। একটা কথা বলছি, শুনুন; আপনার সামনে যে ভয়ংকর বিপদ এগিয়ে আসছে, তার সম্পর্কে আপনি এখনো অবহিত নন।
যে-ভাবেই হোক, ব্যাপারটা আপনি জেনেছেন। তবে এটাকে আপনি যতটা বিপজ্জনক ভাবছেন, আমার কাছে ব্যাপারটা অত গুরুতর নয়। শেষ মুহূর্তে যদি গোলমাল হয়, সামাল দেওয়ার মতো শারীরিক ক্ষমতা আমার আছে জানবেন। তবে মানসম্মানের প্রশ্নটা থেকেই যায় আর সেটাই আমার কাছে অত্যন্ত গুরুতর।
মান নয়, প্রাণ নিয়েই হয়তো টানাটানি পড়তে পারে। মৃত্য এখানে রক্তাক্ত হিংস্রতার চেহারা নেবে না, ধীরে ধীরে আপনাকে গ্রাস করবে নিঃশব্দে!
–মিঃ জোসেফ! আপনার কথা আমি এতক্ষণ বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু আবার আপনি হেঁয়ালির সৃষ্টি করছেন।
মিঃ চৌধুরী! জোসেফ গম্ভীর কণ্ঠে বলল, সমস্ত ব্যাপারটা আপনাকে খুলে বলতে গেলে সময় লাগবে, এই স্থানও তার উপযুক্ত নয়। তবে এইটুকু বলতে পারি, আপনার অবস্থা হয়েছে। কথামালার একচক্ষু হরিণের মতো। মৃত্যু যেদিক থেকে আসছে সেদিকটা আপনি দেখতেই পাচ্ছেন না; তাই বিপদের গুরুত্বও বুঝতে পারছেন না। আপনি যে বিপদের কথা ভাবছেন, সেই বিপদে আপনার প্রাণসংশয় হতে পারে বটে, কিন্তু সেজন্যে আপনি দেহে-মনে প্রস্তুত। অতএব অসম্মানিত হলেও প্রাণহানি হয়তো ঘটবে না, এই ক্ষেত্রে মৃত্যুকে হয়ত আপনি এড়িয়ে যাবেন। কিন্তু বর্তমান সমস্যাকে কেন্দ্র করেই সম্পূর্ণ অন্যদিক থেকে আপনার দিকে এগিয়ে আসছে ছদ্মবেশী মৃত্যু তার কবল থেকে আপনি উদ্ধার পাবেন কী করে? তাকে তো আপনি চেনেন না!
অঞ্জন আর বিরক্তি গোপন করার চেষ্টা করল না, উত্তপ্ত স্বরে বলে উঠল, আপনি যখন ব্রেজিলের আমদানিকরা বিপদের কথা বলছেন, তখন আমি আপনার কথা বুঝতে পারছি। অন্য কোনো বিপদের কথা আমি জানি না।
আমি জানি।
–বেশ, বলুন। আমি শুনছি।
–বলবার কিছু নেই, শুনবার কিছু নেই, শুধু দেখার আছে।
বিপদের স্বরূপ দেখার জন্য আপনার সঙ্গে আমি কোথাও যেতে রাজি নয়।
কোথাও যেতে হবে না, এই ঘরে বসেই আপনি সব দেখতে পারেন, সব জানতে পারবেন। জোসেফ তার বাঁ হাতটা টেবিলের উপর মেলে দিল, উপুড় করে আঙুলগুলো প্রসারিত করল অঞ্জনের চোখের সামনে প্রাণঘাতী বিপদের চেহারাটা দেখে নিন।
অসতর্ক পথিক পায়ের কাছে হঠাৎ সাপ দেখলে যে-ভাবে চমকে ওঠে, ঠিক সেইভাবে চমকে উঠল অঞ্জন, কে তুমি?
জোসেফ হাসল, উত্তেজিত হবেন না। লোকে শুনছে।
কথাটা সত্যি। অঞ্জনের উত্তেজিত তীব্ৰস্বর কয়েকজন খরিদারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দুজন বেয়ারাও থমকে দাঁড়িয়েছে, তাদেরও চোখ পড়েছে অঞ্জন আর জোসেফের দিকে।
মুহূর্তের মধ্যে কণ্ঠস্বর সংযত করে নিল অঞ্জন, ক্ষমা করবেন, কিন্তু আপনি কে? দৈবজ্ঞ মহাপুরুষ? না, শয়তানের মন্ত্রশিষ্য? কে আপনি?
টেবিলের পাশেই জানালা। সেই জানালা দিয়ে দূর আকাশের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করল জোসেফ, মিঃ চৌধুরী, কী দেখছেন ওখানে?
-~-কী দেখব? অন্ধকার আকাশ, আবার কী?
শুধু আকাশ? শুধু অন্ধকার? আলোর ফুলকিগুলো দেখতে পাচ্ছেন না?
পাচ্ছি। অন্ধকার আকাশে জ্বলছে অসংখ্য তারা। নিতান্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। ওখানে দেখার কি আছে?
নির্বোধ মানুষ শুধু তারা দেখবে, জোসেফ হাসল, পরক্ষণেই মুছে গেল হাসির রেখা, তার ওষ্ঠাধর থেকে, ঝকঝকে কালো চোখ থেকে বিদায় নিল উজ্জ্বল দীপ্তি; ম্লান স্তিমিত দৃষ্টি আকাশের দিকে সঞ্চালিত করল জোসেফ, তারপর গম্ভীর স্বরে বলল, ওরা তারা নয়।
তারা নয়? তাহলে ওগুলো কি?
ওরা তারা নয়। অসংখ্য নক্ষত্রের অগ্নিময় চক্ষু মেলে মায়াবিনী রাত্রি তাকিয়ে আছে পৃথিবীর দিকে, পাহারা দিচ্ছে তার গোপন রহস্যের রত্নভাণ্ডার। মানুষের পার্থিব চক্ষু রাত্রির অন্ধকার অঞ্চল ভেদ করে সেই অমূল্য রত্নভাণ্ডারের অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পারে না। কিন্তু আমি পারি।
–আপনি পারেন? কেমন করে? আপনি কি পৃথিবীর মানুষ নন?
–হ্যাঁ, আমিও পৃথিবীর মানুষ। তবে আমার কথা স্বতন্ত্র। অগণিত নক্ষত্রের আগুন-জ্বালা চোখে মায়াবিনী রাত্রি যা দেখতে পায়, মাত্র দুটি চোখ দিয়েই আমিও তাই দেখতে পাই। কারণ?- আমি যে রাত্রির সন্তান!
স্তম্ভিত অঞ্জন সম্মোহিতের মতো তাকিয়ে রইল উপবিষ্ট মানুষটির দিকে!… জোসেফের মুখ পাথরের মতো ভাবলেশহীন নিষ্প্রাণ… দুই চোখের উদাস দৃষ্টি হারিয়ে গেছে অন্তহীন আকাশের অন্ধকারে…
আচম্বিতে উচ্চকণ্ঠের বচসা ও কোলাহলে ফিরে এল আচ্ছন্ন চেতনা, সচমকে মুখ তুলে অঞ্জন দেখল দোকানের কাউন্টারে ভিড় জমে উঠেছে একটি বিদেশি মানুষকে ঘিরে। লোকটির চেহারা দেখলেই বোঝা যায় সে ইউরোপ কিংবা আমেরিকার অধিবাসী। উক্ত বিদেশি ও দোকানের মালিকের ক্রুদ্ধকণ্ঠের বাদানুবাদ ভেদ করে কলহের উৎস আবিষ্কার করা সম্ভব নয় তৃতীয় ব্যক্তির পক্ষে। হঠাৎ মালিকের ইঙ্গিতে একজন বলিষ্ঠ দর্শন বেয়ারা লোকটির ঘাড়ে হাত দিয়ে সজোরে ধাক্কা মারল এবং এক ধাক্কাতেই পৌঁছে দিল দরজার কাছে
তার পরই অভাবিত কাণ্ড!
রবারের বল দেয়ালে ছুড়লে যে ভাবে ঠিকরে ফিরে আসে, ঠিক সেইভাবেই ফিরে এল লোকটি তার আক্রমণকারীর দিকে! পরক্ষণেই চোয়ালের উপর পড়ল এক প্রচণ্ড ঘুষি এবং আক্রমণকারী বেয়ারা হল ভূমিশয্যায় লম্বমান! হৈ হৈ! গণ্ডগোল! ধুন্ধুমার!..
ব্যাপারটা ঠিক বুঝতে পারলাম না, অঞ্জন ক্রুদ্ধস্বরে বলল, কিন্তু অতগুলো লোক মিলে একটা লোককে মারছে এই দৃশ্য অসহ্য।
সে এগিয়ে যাওয়ার উপক্রম করতেই বাধা পড়ল। তাকে ঠেলে সরিয়ে সামনে এগিয়ে এল জোসেফ, না, মিঃ চৌধুরী, আপনি ঝামেলা করবেন না। ব্যাপারটা আমি সামলাতে পারব।
লম্বা লম্বা পা ফেলে কাউন্টারের দিকে এগিয়ে গেল জোসেফ- সেখান তখন বিদেশি মানুষটি লড়াই করছে সপ্তরথী-বেষ্টিত অভিমন্যুর মতো!…