গোবিন্দ চরণে মন, নিবেদিয়া অনুক্ষণ,
রচিলাম দ্রোণপর্ব্ব পুঁথি।
সৃষ্টি কৈল ব্যাস মুনি, অমৃত সমান জানি,
শ্রবণে নাশয়ে অধোগতি।।
গোবিন্দের লীলারস, যাহাতে সংসার বশ,
ত্রিভুবনে এই মাত্র সার।
ভজ সাধু অনুক্ষণ, নিবিষ্ট করিয়া মন,
নাহি ভয় হয় যমদ্বার।।
পূর্ণ হিমকর সম, মুখচন্দ্র নিরূপম,
পদ নথ যেন দশ বিধু।
রক্তোৎপল জিনি পদ, ভুবনে অতুল্য পদ,
প্রেমরসে বৃষ্টি করে মধু।।
চতুর্ভূজ পিতাম্বর, বনমালা মনোহর,
কৌস্তুভ-শোভিত বক্ষঃদেশ।
মুকুট কুণ্ডল শোভা, দীপ্ত দীনকর আভা,
বিচিত্র আসন নাগ শেষ।।
ক্ষীরোদসাগর জলে, নিদ্রা কৃষ্ণ যান ছলে,
নাভিপদ্মে সৃষ্টি করে ধাতা।
ত্রিভুবন করি সৃষ্টি, করেন পীযুষ বৃষ্টি,
ব্রহ্মরে করিয়া সৃষ্টি কর্ত্তা।।
মুখচন্দ্র যাঁর দীপ্ত, ত্রিভুবন হৈল তৃপ্ত,
চন্দ্ররূপে ভুবন প্রকাশ।
ক্ষিতি যাঁর অন্তরীক্ষে, শূণ্যভরে দুই পক্ষে,
নিজ গুণে তমঃ হয় নাশ।।
নানারূপ মূর্ত্তি ধরি, বিষ্ণুমায়া সৃষ্টি করি,
মোহিত করেন সর্ব্বজন।
মায়াতে আচ্ছন্ন হয়, নানারূপ ক্লেশ পায়,
যায় লোক যমের সদনে।।
গোবিন্দ সেবক যেই, সর্ব্বত্র বিজয়ী সেই,
নাহি তার শমনের ভয়।
নিজ রথ আরোহণে, পাঠাইয়া ভক্তজনে,
লয়ে যান আপন আলয়।।
অনুক্ষণ ধ্যান করি, একমনে ভাবি হরি,
রচিলেন ভারত আখ্যান।
দ্রোণপর্ব্ব সুধারস, শুনিলে কলুষ নাশ,
কাশীরাম কৈল সমাপন।।