৩৬৬তম অধ্যায়
মহর্ষি চ্যবননিকটে বিপ্রের দীক্ষাগ্রহণ
ভীষ্ম কহিলেন, “ধৰ্ম্মরাজ! এইরূপে সেই ব্রাহ্মণ নাগরাজকে আমন্ত্রণপূৰ্ব্বক তথা হইতে প্রস্থান করিয়া দীক্ষালাভের অভিলাষে ভৃগুনন্দন চ্যবনের নিকট উপস্থিত হইয়া স্বীয় বৃত্তান্ত আদ্যোপান্ত কীৰ্ত্তন করিতে লাগিলেন। মহাত্মা চ্যবন তাঁহার বাক্য শ্রবণ করিয়া তাঁহার সংস্কারসম্পাদনপূৰ্ব্বক উঞ্ছবৃত্তিধর্ম্মে দীক্ষিত করিলেন। তখন ব্রাহ্মণ ধৰ্ম্মে একান্ত অনুরক্ত হইয়া সংযম ও নিয়ম অবলম্বনপূর্ব্বক বনে বনে পরিভ্রমণ করিয়া উঞ্ছবৃত্তিদ্বারা জীবিকানির্ব্বাহ করিতে লাগিলেন। প্রথমতঃ মহর্ষি চ্যবন জনকের আলয়ে উপস্থিত হইয়া দেবর্ষি নারদের নিকট ঐ উঞ্ছবৃত্তি ব্রাহ্মণের বৃত্তান্ত আনুপূর্ব্বিক কীৰ্ত্তন করেন। পরে নারদ দেবরাজ ইন্দ্রকে ও দেবরাজ ব্রাহ্মণগণকে ঐ বৃত্তান্ত কহিয়াছিলেন। পরশুরামের সহিত আমার যখন যুদ্ধ উপস্থিত হয়, সেই সময়ে বসুগণ আমার নিকট এই পবিত্র কৃথা কহিয়াছিলেন। এক্ষণে তুমি আমাকে আশ্রমীদিগের ধর্ম্ম জিজ্ঞাসা করাতে আমি তোমার নিকট সেই উঞ্ছবৃত্তি উপাখ্যান কীৰ্ত্তন করিলাম।”
মোক্ষধর্ম্মপাধ্যায় সমাপ্ত
শান্তিপর্ব্ব সমাপ্ত