একা পার্থ মহা আর্ত্ত করিল কৌরবে।
দেখিবারে সুরাপুর আসিলেন সবে।।
হংস-পৃষ্ঠে অষ্ট দৃষ্টে চাহে প্রজাপতি।
বৃষারূঢ় শশীচূড় ভূষণ বিভূতি।।
গজস্কন্ধে সুরবৃন্দে আসিল সুরেন্দ্র।
রবি করি সঙ্গে সৌরী সহ গ্রহবৃন্দ।।
বায়ু মৃগে, অগ্নি ছাগে নরে বৈশ্রবণ।
মৎস্যোপর জলেশ্বর, মহিষে শমন।।
সিংহ শিখী মূষে থাকি সপুত্র পার্ব্বতী।
অষ্টবসু কোলে শিশু ষষ্ঠী অরুন্ধতী।।
কাদ্রবয় বৈনতেয় অশ্বিনী-কুমার।
শুনি রস চতুর্দ্দশ মর্ত্ত্যে আগুসার।।
স্বায়ম্ভূব আদি সব এল প্রজাপতি।
হৃষ্টমন সর্ব্বজন আসিলেন ক্ষিতি।।
প্রশান্ত মূরতি অশ্বিনীকুমার দ্বয়।
চতুর্দ্দশ রস যতেক শূন্যেতে রয়।।
স্বায়ম্ভূব আদি যত সব প্রজাপতি।
শূন্য হতে হৃষ্ট মনে চাহে পার্থ প্রতি।।
যক্ষেশ্বর বিদ্যাধর আর রক্ষেশ্বর।
এইরূপে আসিলেন যতেক অমর।।
মধুর সৌরভেতে দশদিক পূরিল।
দেবদেবী সবে মিলি পুষ্পবৃষ্টি কৈল।।
দিব্যগন্ধেতে সমর-ভূম আমোদিল।
কাশীরাম দাস পয়ার ছন্দে গাহিল।।