জনাব আবু তালেবের ইন্তেকালের দু’মাস অথবা শুধু তিনদিন পর উম্মুল মোমেনিন খাদিজাতুল কোবরা (রা) ইহলোক ত্যাগ করেন। নবুয়্যতের দশম বর্ষ রমজান মাসে তাঁর ইন্তেকাল হয়েছিল সে সময় তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। রসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বয়স তখন পঞ্চাশে পরেছিলো।
রসুলুল্লাহ (সাঃ)’র জন্য হযরত খাদিজা (রা) ছিলেন আল্লাহর এক বিশিষ্ট নেয়ামত। সিকি শতাব্দী যাবত তিনি রসুলুল্লাহ (সাঃ)’র জীবন সঙ্গীনি ছিলেন। এ সময় দুঃখে কষ্টে বিপদের সময় প্রিয় স্বামীর জন্য তাঁর প্রাণ কেঁদে উঠতো, বিপদের সময় তিনি তাঁকে ভরসা দিতেন, তাবলীগে দ্বীনের ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গী থাকতেন। নিজের জান-মাল দিয়েও তাঁর দুঃখ কষ্ট দূর করতেন। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “ যে সময় মানুষ আমার সাথে কুফরী করেছিলো, সে সময় খাদিজা আমার উপর ঈমান এনেছিলেন, যে সময় লোকেরা আমাকে অবিশ্বাস করেছিলো, সে সময় খাদিজা আমাকে সত্যবাদী বলে গ্রহণ করেছেন। যে সময় লোকেরা আমাকে বঞ্চিত করেছিলো, সে সময় তিনি আমাকে নিজের ধন-সম্পদের অংশীদার করেছেন। তাঁর গর্ভ থেকে আল্লাহ আমাকে সন্তান দিয়েছেন, অন্য স্ত্রীদের গর্ভ থেকে আমাকে কোন সন্তান দেয়া হয়নি।
সহীহ বোখারীতে হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত আছে যে, হযরত জিব্রাইল (আ) রসুলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে বললেন, হে আল্লাহর রসুল, দেখুন, খাদিজা আসছেন। তাঁর কাছে একটি বরতন রয়েছে। সেই বরতনে আগুন, খাবার অথবা পানীয় রয়েছে। তিনি আপনার কাছে এলে আপনি তাঁকে তাঁর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সালাম জানাবেন এবং জান্নাতে একটি মতিমহলের সু-সংবাদ দিবেন। সেই মহলে কোন শোরগোল থাকবে না এবং ক্লান্তি ও অবসন্নতাও কাউকে গ্রাস করবে না।