শ্রীরাম বলেন, ধন্য ধন্য হনুমান।
ত্রিভুবনে বীর নাহি তোমার সমান।।
তব বিক্রমেতে আমার চমৎকার।
কি দিব তোমারে আমি আমিই তোমার।।
অন্য কি প্রসাদ দিব লহ আলিঙ্গন।
ইহা বলি কোল দেন কমল-লোচন।।
পবন-পুত্রের কথা শুনি হরষিত।
শুভযাত্রা করিলেন শ্রীরাম ত্বরিত।।
দ্বিতীয় প্রহর রাত্রি উত্তরফাল্গুনী।
শুভক্ষণ শুভলগ্ন শুভফল গণি।।
দক্ষিণে সবৎসা ধেনু হরিণ ব্রাহ্মণ।
দেখিলাম রাম বামে শব শিবাগণ।।
সূর্য্যবংশী নৃপতির নক্ষত্র রোহিণী।
রাক্ষসগণের মূলা সর্ব্বলোকে জানি।।
মূলা ঋক্ষ দেখিলেন রোহিণী বড় রোষে।
স্বংশে মরিবে তেঁই রাবণ রাক্ষসে।।
চলিল বানর-ঠাট নাহি দিশপাশ।
কটক যুড়িয়া যায় মেদিনী আকাশ।।
কিলি কিলি শব্দ করি কপিগণ চলে।
উত্তরিল গিয়া সবে সাগরের কূলে।।
রহিবারে পাতা লতা দিয়া করে ঘর।
অবস্থিতি করিলেক সকল বানর।।
সেই স্থানে রহিলেন শ্রীরাম লক্ষ্মণ।
চরমুখে নিত্য বার্ত্তা পায় সে রাবণ।।