২৭তম অধ্যায়
পুনঃ পাণ্ডবান্বেষণে দ্রোণাচাৰ্য্যের সম্মতি
অনন্তর যথাৰ্থদর্শী দ্রোণাচাৰ্য্য কহিলেন, “পাণ্ডব অসাধারণ শৌৰ্য্যশালী, কৃতবিদ্য, বুদ্ধিমান, জিতেন্দ্ৰিয়, ধর্ম্মজ্ঞ ও কৃতজ্ঞ অতএব তাদৃশ মহাত্মাগণ কদাপি বিনাশ বা পরাভব প্রাপ্ত হইবেন না। তাঁহাদিগের সর্ব্বশ্রেষ্ঠ যুধিষ্ঠির নীতিতত্ত্ব ও অর্থতত্ত্বে সবিশেষ পারদর্শিতা লাভ করিয়াছেন; ভীমাদি ভ্রাতৃচতুষ্টয় পিতার ন্যায় তাঁহার প্রতি ভক্তি প্ৰদৰ্শন করিয়া থাকে; অতএব ন্যায়পরায়ণ যুধিষ্ঠির অবশ্যই তাদৃশ বশংবাদ ভ্রাতৃগণের হিতানুষ্ঠান করিবেন। আমার নিশ্চয়ই বোধ হইতেছে, পাণ্ডবগণ বিনষ্ট হয়েন নাই, তাঁহারা কেবল সযত্ন হইয়া সমুচিত সময় প্রতীক্ষা করিতেছেন। অতএব তাঁহাদিগের প্রতিজ্ঞাত সময় পরিপূর্ণ না হইতেই যাহা আপনাদের কর্ত্তব্য থাকে, তাহা সম্পাদন করুন; পাণ্ডবগণ কোন্ স্থানে অবস্থান করিতেছেন, তাহা রীতিমত অনুসন্ধান করা আবশ্যক। তাঁহারা সকলেই ধীর, শৌৰ্য্যশালী, দুর্জেয়, দুৰ্দ্ধর্ষ ও তপস্বী, বিশেষতঃ তেজোরাশি, অজাতশত্ৰু, অতি বিশুদ্ধাত্মা, গুণবান ও সত্যপরায়ণ; অতএব তাঁহাদিগকে অন্বেষণ করা সামান্য লোকের কর্ম্ম নহে। যে সকল ব্ৰাহ্মণ, চর ও সিদ্ধ ব্যক্তি. পাণ্ডবগণকে সবিশেষ অবগত আছেন, তাঁহারাই পুনরায় তাঁহাদিগকে অন্বেষণ করিতে গমন করুন।