প্রথম খণ্ড
দ্বিতীয় খণ্ড
তৃতীয় খণ্ড

২৩. কৃষিকাজ মেয়েদের আবিষ্কার

কৃষিকাজ মেয়েদের আবিষ্কার

তাহলে, সিদ্ধিদাতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এগোতে এগোতেই আমরা আমাদের মূল সমস্যাগুলির আলোচনায় ফিরতে বাধ্য হলাম।
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে অগ্রসর হয়ে আমরা দেখেছিলাম, লোকায়ত বলতে শুধুমাত্র সংকীর্ণ-অর্থে মাধবাচার্য-বর্ণিত চার্বাক-মতবাদকে বুঝতে গেলে ভুল হবে। কাপালিক, সহজীয়া প্রভৃতি বামাচারী সম্প্রদায়গুলিও লোকায়তিক সম্প্রদায়।
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী লোকায়তিক ধ্যানধারণার সম্যক উপলব্ধির জন্যে আর একটি মূল্যবান মূলসূত্রের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন : প্রাচীনদের মতে লোকায়তিকদের কাছে বার্তাই ছিলো প্রধানতম বিদ্যা।
তাই, লোকায়তিক ধ্যানধারণার উৎস-সন্ধানে বার্তা বা কৃষিবিদ্যা আবিষ্কারের আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। বস্তুত, আমাদের ধারণায় কৃষিবিদ্যা-আবিষ্কার সংক্রান্ত সাধারণভাবে জানতে-পারা তথ্যের ভিত্তিতেই লোকায়তিক,–তথা তান্ত্রিকাদি,–ধ্যানধারণাগুলির আদি-তাৎপর্য অনুমান করা সম্ভব। আমরা তাই শুরুতে কৃষিবিদ্যা-আবিষ্কার সংক্রান্ত সাধারণভাবে জানতে-পারা কয়েকটি তথ্যের আলোচনা করবো।
প্রথম প্রশ্ন হলো, কৃষিবিদ্যা আবিষ্কার করেছিলো কারা? পুরুষেরা, না, মায়েরা?
রবার্ট ব্রিফল্ট (৩১৬) বলছেন,

The art of cultivation has developed exclusively in the hands of women.
অর্থাৎ, একান্তভাবে মেয়েদের হাতেই কৃষিবিদ্যার বিকাশ ঘটেছে।

কী করে ঘটলো? মেয়েরা কেন? এ-বিষয়ে অধ্যাপক জর্জ টম্‌সনের (৩১৭) সংক্ষিপ্ত সিদ্ধান্ত উদ্ধৃত করা যায় :

In the pre-hunting stage there was no production, only simple appropriation of seeds, fruits, and small animals, and consequently there was no division of labour. With the invention of spear, however, hunting became the men’s task, while the women continued the work of food-gathering. This sexual division of labour is universal in hunting tribes, being due to the relative immobility of women during pregnancy and lactation.
Hunting led to the domestication of animals. Instead of being killed the game was brought home alive and kept. Accordingly cattle-raising is almost everywhere men’s work. On the other hand, food-gathering led to the cultivation of seeds in plots adjacent to the settlement, and so garden tillage is women’s work. Then, after the introduction of the cattle-dwawn plough, agriculture was transferred to the men. In parts of Africa, where the plough is only the recent acquisition, the change-over can be seen taking place at the present day.
অর্থাৎ, শিকারজীবী পর্যায়েড় আগে পর্যন্ত খাদ্য-উৎপাদন বলে কিছু ছিলো না; তার বদলে ছিলো বীজ, ফল, ছোটো জানোয়ার সংগ্রহ (খাদ্য-আহরণ)। অতএব, তখন শ্রমবিভাগ বলেও কিছু ছিলো না। কিন্তু বল্লম আবিষ্কারের ফলে শিকার হলো পুরুষের কাজ, তখনো মেয়েরা আগের মতোই খাদ্য-আহরণের কাজ করতে লাগলো। এই যৌন-শ্রমবিভাগ শিকারজীবী ট্রাইবদের মধ্যে সার্বভৌম ঘটনা; কেননা এর কারণ হলো গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানের সময়টায় মেয়েদের পক্ষে আপেক্ষিকভাবে ঘোরাফেরা করবার অক্ষমতা।
শিকার থেকেই মানুষ পশুপালন শিখলো। জানোয়ারটাকে মেরে ফেলবার বদলে ঘরে ধরে আনা এবং বাঁচিয়ে রাখবার ব্যবস্থা হতে লাগলো। ফলে, পশুপালন প্রায় সর্বত্রই পুরুষদের কাজ। অপরপক্ষে, খাদ্য-আহরণের চেষ্টা বস্তির আশপাশের ছোটোছোটো জমিতে বীজ পোঁতবার কাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলো। অতএব, বাগান-ক্ষেত (garden-tillage—কৃষিবিদ্যার আদিপর্ব : ছোটো ছোটো জমি খুঁড়ে বাগানের মত ক্ষেত করবার কাজ) হলো মেয়েদের কাজ। তারপর, জানোয়ার-জোতা লাঙল ব্যবহার শুরু হওয়া থেকে কৃষিকাজ এলো মেয়েদের হাত থেকে পুরুষদের হাত। আফ্রিকার কোথাও কোথাও সম্প্রতি কালে লাঙলের প্রচলন শুরু হয়েছে, সেখানে আজকের দিনে এই পরিবর্তনটি প্রত্যক্ষভাবে ঘটতে দেখা যায়।

আফ্রিকার জুলুদের বর্ণনায় ক্রিগ্‌ (৩১৮) বলছেন, আজকালকার দিনে ওই নিয়মটি (অর্থাৎ, কৃষিকাজ মেয়েদেরই হবে) ইয়োরোপীয় সভ্যতার প্রভাবের ফলে বহুলাংশে শিথিল হয়েছে; বলদ-জোতা লাঙলের ব্যবহার শুরু হওয়ার দরুন চাষের কাজ পুরোপুরি পুরুষদেরই হয়ে দাঁড়াচ্ছে, কেননা মেয়েরা পশুর ব্যবহার পারে না।
“এন্সাইক্লোপিডিয়া অব্‌ রিলিজন্‌ এণ্ড এথিক্স”-এও (৩১৯) কৃষি-আবিষ্কার প্রসঙ্গে স্বীকার করা হয়েছে, এ-আবিষ্কার পুরুষেরা করেনি—মেয়েরাই করেছিলো : “ট্রাইবের পুরুষেরা যখন বনজঙ্গলে শিকারে নিযুক্ত, বা, যুদ্ধে রত, মেয়েরা তখন শিশুদের নিয়ে বাসভূমির আশপাশে ছুঁচোলো কাঠের টুকরো বা পাথরের কুড়ুল দিয়ে মাটি খুঁড়তে খুঁড়তেই কৃষিকাজ আবিষ্কার করেছিলো। এই কৃষিকাজের রীতিমতো উন্নতি হবার আগে পর্যন্ত কাজের দায়িত্বটা মেয়েদের হাত থেকে পুরুষদের হাতে যায়নি।” নজির হিসেবে লেখক দেখাচ্ছেন, মধ্য-ব্রেজিল্‌-এ কৃষিকাজ যে মেয়েরাই আবিষ্কার করেছিলো সে-কথা স্টেইনেন (৩২০) ইতিপূর্বেই প্রমাণ করেছেন। এবং জেন্‌ হ্যারিস্যনের (৩২১) লেখা থেকে উদ্ধৃতির সাহায্যে দেখানো হয়েছে, আমেরিকার আদিবাসীদের একটি কুসংস্কারের মধ্যে ওই স্মৃতিটিরই পরিচয় পাওয়া যায় যে, কৃষিকাজ শুরুতে শুধুমাত্র মেয়েলি ব্যাপারই ছিলো : ওদের ধারণায় মেয়েরা ভুট্টা বুনলে এক-এক বৃন্তে তিন-তিন ভুট্টা হয়। কেন হয়? কেননা মেয়েরা জানে কেমন করে ফলবতী হওয়া যায়। তাই শুধু তারাই জানে গাছও কী করে ফলের জন্ম দেবে।
রবার্ট ব্রিফল্ট (৩২২) একের পর এক উদাহরণ দিয়ে দেখাচ্ছেন, মেয়েরাই যে কৃষিকাজ আবিষ্কার করেছিলো তার স্মৃতি নানান দেশের আদিম মানুষদের নানা উপকথায় আজো টিকে রয়েছে। চেরোকি জাতির (৩২৩) লোকেরা এখনো বিশ্বাস করে, পৃথিবীর প্রথম নারীই বনের মধ্যে শস্য আবিষ্কার করেছিলো, মারা যাওয়ার সময় সেই নারী নির্দেশ দিয়ে যায় যে, মাটির উপর দিয়ে তার শবদেহ টেনে নিয়ে বেড়াতে হবে—জমি সেই সবদেহের স্পর্শে শস্যশ্যামল হয়ে উঠলো। চেইন্নেস্‌দের (৩২৪) মধ্যেও বিশ্বাস যে, একজন মেয়েই প্রথম শস্য আবিষ্কার করেছিলো। ব্রেসিল্‌-এ টুপিস্‌দের (৩২৫) উপকথায় আছে, একটি কুমারী মেয়ে একবার অন্তঃসত্ত্বা হয়; তার গর্ভজাত শিশুটির মৃতদেহ থেকেই পৃথিবীর প্রথম শস্য জন্মায়। আফ্রিকার দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে (৩২৬) নানা আদিবাসীদেরও বিশ্বাস, শস্য আবিষ্কার করেছিলো পৃথিবীর এক আদি-নারী।
এই জাতীয় উপকথার ইঙ্গিতকে নিশ্চয়ই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কিন্তু আমাদের আজকের পুরুষ-প্রধান সমাজে এ-জাতীয় তথ্যের তাৎপর্যটা হৃদয়ঙ্গম করা অনেক সময় রীতিমতো কঠিন হয়ে ওঠে। তাৎপর্যটা হলো, মানুষের পক্ষে সভ্যতার দিকে এগোবার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথটির নির্দেশ পাওয়া গিয়েছিলো নারীজাতির কাছ থেকেই। অধ্যাপক জর্জ টম্‌সন্‌ (৩২৭) সেই তাৎপর্যের দিকে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন :
“শিকার এবং পশুপালন—উভয় ক্ষেত্রেই মানুষের যাযাবর-জীবন। কৃষিকাজই মানুষের অগ্রগতিপথে একটি বিরাট ও প্রচণ্ড পরিবর্তন নিয়ে এলো, মানুষ স্থায়ীভাবে একই জায়গায় বাসা বাঁধতে শিখলো। তাই তার পর থেকেই মানুষের পক্ষে পরিপূর্ণ অর্থে রাজনৈতিক জীব বা Political animal হওয়া সম্ভবপর হলো—এ্যারিস্টট্‌ল্‌-এর সংজ্ঞা অনুসারে শহরে বাস করাটাই রাজনৈতিক জীবের লক্ষণ। আমেরিকায় ইরোকোয়ারা এই স্তরের দিকেই এগোবার উপক্রম করছিলো,–এমন সময় কলম্বাসের অনুচরেরা গিয়ে হামলা করে; ইরোকোয়াদের অগ্রগতি বন্ধ হয়। তাই এ্যাস্টেক্সদের তুলনায় তারা পিছিয়েই পড়ে রইলো—এ্যাস্টেক্সদের ঘট, ধাতুব্যবহার, নির্মাণশিল্প, চিত্র-লিপি এবং পঞ্জিকা-আবিষ্কারের বাস্তব ভিত্তি হলো যাযাবর জীবন ছেড়ে কৃষিমূলক সমাজে স্থায়ী জীবন। পুরোনো পৃথিবীর আলোচনা-প্রসঙ্গে এই প্রভেদটি আরো স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। ইয়োরোপ ও এসিয়ার কোনো কোনো সমতল মরুদেশে আমাদের জীবদ্দশাতেই সভ্যতা শুরু হয়েছে; অথচ দক্ষিণ এসিয়ার পলি-পড়া ঊর্বর উপত্যকাগুলিতে কোন এক সুদূর অতীত থেকেই সাম্রাজ্যের উত্থান-পতন ঘটে দেখা যায়। নীল-নদ, ইউফ্রেটিস ও সিন্ধুর কিনারায় যে-নগরসভ্যতাগুলি গড়ে উঠেছিলো সেগুলির ঐশ্চর্যের চূড়ান্ত উৎস ছিলো চাষের জমিই—এ হলো যীশুখৃষ্টের তিন হাজার বছরের চেয়েও বেশি আগেকার কথা। অথচ, মধ্যবর্তী মরুদেশগুলি এখনো, আমাদের যুগ পর্যন্ত, বেদুইনদের দেশ হয়ে আছে! কৃষি আবিষ্কারের চরম গুরুত্ব নিয়ে দীর্ঘতর আলোচনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু কথা হলো, উৎপাদনের এই পদ্ধতিটি মেয়েদের আবিষ্কার। তাই, সভ্যতার দিকে এগোবার চূড়ান্ত পথনির্দেশ তাদের কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছে।”
পণ্ডিতেরা অনেক সময় আক্ষেপ করে বলেন, বৈদিক মানুষেরা আমাদের জন্যে কোনো রকম প্রত্নতত্ত্বমূলক চিহ্ন রেখে যায়নি; অপরপক্ষে হরপ্পা-মহেনজোদারোর মানুষগুলি কতো অপরূপ কীর্তির চিহ্ন রেখে গিয়েছে। সেই সঙ্গেই বলা হয়, বৈদিক-সাহিত্যে প্রধানতই পুরুষ-দেবতাদের ভিড়—নারী হিসেবে যে-দু’চারজনের উল্লেখ পাওয়া যায় তাদের স্থান নেহাতই গৌণ; অপরপক্ষে, হরপ্পা-মহেনজোদারোতে দেবীমূর্তির বহু নজিরই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কেন? এই প্রভেদ কেন? উভয় ঘটনাকেই বোঝবার যেটি হলো প্রকৃত মূলসূত্র তার আলোচনা প্রায়ই অস্পষ্ট থাকে : বৈদিক মানুষেরা ছিলো প্রধানতই পশুপালন-জীবী—সে-অর্থনীতির ভিত্তিতে স্থায়ী নগর গড়ে তোলবার সুযোগ নেই। তাই নগর-গড়বার চিহ্নের পরিবর্তে নগর-ধ্বংসের চিহ্ন রেখে যাওয়াই সেই মানুষদের পক্ষে স্বাভাবিক—আধুনিক পণ্ডিতেরা অনুমান করছেন সিন্ধুসভ্যতার নগরগুলি বৈদিক মানুষদের আক্রমণেই ধ্বংস হয়েছিলো (৩২৮)। অপরপক্ষে, প্রাচীন কালে সিন্ধু-অঞ্চলের মানুষেরা চাষবাস আবিষ্কার করেছিলো—এই আবিষ্কারই ছিলো অমন নগর-সভ্যতা গঠনের ভিত্তি এবং অমন নগর-সভ্যতা গঠনের ভিত্তি এই কৃষিবিদ্যা যে মেয়েদেরই আবিষ্কার ছিলো তার সাক্ষ্য বহন করছে হরপ্পা-মহেনজোদারোতে খুঁজে পাওয়া দেবীমূর্তিগুলি। কৃষিকাজ যে মেয়েদেরই আবিষ্কার তার একটি অত্যাশ্চার্য মূর্ত প্রমাণ হরপ্পায় পাওয়া গিয়েছে।
হরপ্পা-মহেনজোদারোর কথায় পরে ফেরা যাবে।
তার আগে দেখা যাক, ভারতীয় সংস্কৃতির ক্ষেত্রেই আর কোনো তথ্য পাওয়া যায় কিনা, যা থেকে অনুমান করা যেতে পারে যে, কৃষিবিদ্যা মেয়েদেরই আবিষ্কার।
এরেন্‌ফেল্‌স্‌ (৩২৯) লিখছেন, মেন্‌ঘিনের মতে নব্যপ্রস্তর যুগে কৃষিকাজের পক্ষে উপযুক্ত পাথরের যে-কুড়ুল সারা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছিলো, তা আবিষ্কার করেছিলো ভারতবর্ষের মেয়েরাই। মেন্‌ঘিন্‌-এর মূল রচনা পাঠ করবার সুযোগ আমার হয়নি। কিন্তু এরেন্‌ফেল্‌স তাঁর ‘মাদার-রাইট ইন্‌ ইণ্ডিয়া’, বা ভারতবর্ষে মাতৃপ্রাধান্য নামের গ্রন্থে বারবার এই বিষয়টিরই উল্লেখ করেছেন। তিনি দেখাতে চান যে, ভারতবর্ষে মাতৃপ্রাধান্যের সবচেয়ে প্রাকৃত স্তরটির সঙ্গে নারীজাতির কৃষিবিদ্যা-আবিষ্কারের যোগাযোগ রয়েছে (৩৩০) :

Women here not only invented systematic tilling of the soil but also put this into practice, which can by no means have been an easy task as conservatism was so strong in primitive society, especially in the primeval culture circle, that some remnants of this pre-agricultural groups have been preserved to the present day. In consequence of the tilling of the soil, the peoples of this first matriarchal culture-circle gave up roaming in the forest and became the first settlers.
অর্থাৎ, এখানে (ভারতবর্ষে) মেয়েরা শুধুই যে সুস্থভাবে জমি খোঁড়বার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলো তাই নয়, এ-পদ্ধতিকে কার্যেও পরিণত করেছিলো। ব্যাপারটা খুব সহজ ছিলো না, কেননা আদিম সমাজে রক্ষণশীলতা যে-হেতু খুব জোর সেইহেতু আজও বিশেষ করে আদিম সংস্কৃতির এলাকায় প্রাক-কৃষিমূলক দলের চিহ্ন থেকে গিয়েছে। চাষ করতে শেখবার দরুন এই প্রাথমিক মাতৃপ্রধান সংস্কৃতির এলাকার মানুষেরা জঙ্গলে জঙ্গলে ঘোরা বন্ধ করলো এবং সর্ব-প্রথম স্থায়ী আবাস গড়তে শুরু করলো।

এরেন্‌ফেল্‌স্‌ তাঁর এই সিদ্ধান্তের পক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য দিয়েছেন। তাঁর গবেষণার উপর নির্ভর করে আমরা সহজেই দেখতে পাই, ভারতবর্ষেও কৃষিবিদ্যা মেয়েদেরই আবিষ্কার।

—————–
৩১৬. R. Briffault M 3:2.
৩১৭. G. Thomson SAGS 41-2.
৩১৮. E. J. Krige SSZ 190.
৩১৯. ERE 1:227.
৩২০. Ibid.
৩২১. Ibid.
৩২২. R. Briffault M 3:2ff.
৩২৩. Ibid.
৩২৪. Ibid.
৩২৫. Ibid.
৩২৬. Ibid.
৩২৭. G. Thomson SAGS 150.
৩২৮. S. Piggot PI ইত্যাদি। অবশ্যই এই প্রকল্পকে সন্দেহ করা হয়েছে—P. V. Kane Presidential Address : All India History Congress—16th Session. B. K. Chatterji in CR—May 1956.
৩২৯. O. R. Ehrenfels MRI 2.
৩৩০. Ibid. 8.