২১৯তম অধ্যায়
মরণের পর পুনরায় জন্ম-মোক্ষাদি-বিবরণ
ভীষ্ম কহিলেন, “হে ধৰ্ম্মরাজ! ভূপতি জনদেব মহর্ষি পঞ্চশিখের মুখে এইরূপ ভ্রমপ্রমাদশূন্য অকপট নির্ম্মল ব্রহ্মনিষ্ট বাক্য শ্রবণ করিয়া পুনরায় তাঁহাকে জীবনের মরণান্তর সংসার ও মোক্ষলাভের বিষয়জিজ্ঞাসা করিতে উদ্যত হইয়া কহিলেন, ‘মহর্ষে! মোক্ষদশাতে যদি বিশেষ জ্ঞান না থাকে, তবে জ্ঞান ও অজ্ঞানের বিশেষ ফল কি? যখন আত্মনাশনিবন্ধন [দেহের অভাবহেতু] যমনিয়মাদি সমুদয়ই বিনষ্ট হইয়া যায়, তখন লোকের প্রমত্ততা ও অপ্রমত্ততায় লাভালাভ কি? আর মোক্ষদশাতে যদি বিষয়ের সহিত কোন সম্বন্ধ না থাকে কিংবা থাকিলেও উহা চিরস্থায়ী না হয়, তবে কোন্ ফলের নিমিত্ত লোক মোক্ষবিষয়ে অভিলাষ করিয়া তাহাতে প্রবৃত্ত হয়?’
“মহাত্মা পঞ্চশিখ জনদেব জনকের এইরূপ বাক্য শ্রবণে তাঁহাকে অজ্ঞানে সমাচ্ছন্ন ও আতুরের ন্যায় ভ্রান্ত দেখিয়া সান্ত্বনাপূৰ্ব্বক কহিতে লাগিলেন, ‘মহারাজ! শরীর, ইন্দ্রিয়, মন ও বুদ্ধি প্রভৃতির নাশনিবন্ধন যে মোক্ষ হয়, এরূপ নহে এবং ঐ সমুদয় থাকিলেও মোক্ষলাভের সম্ভাবনা নাই। কিন্তু জ্ঞানপ্রভাবে বুদ্ধি, মন প্রভৃতি নিরাকৃত হইলে অবিদ্যানাশজনিত স্বরূপানন্দ প্রাপ্ত হইয়া থাকে। শরীর, ইন্দ্রিয় ও মন ইহারা পরস্পর পরস্পরকে আশ্রয় করিয়া কাৰ্য্য নির্ব্বাহ করিতেছে। উহাদের মধ্যে একের নাশ হইলেই সমুদয় বিনষ্ট হইয়া যায়। জল, আকাশ, বায়ু, জ্যোতিঃ ও পৃথিবী এই পঞ্চধাতু স্বভাবতঃ মনুষ্যের দেহে অবস্থান ও উহা পরিত্যাগ করে। ফলতঃ মনুষ্যের শরীর আকাশ, বায়ু, তেজ, জল ও পৃথিবীর সমাহার মাত্র। মানবদেহে জ্ঞান, জঠরাগ্নি ও প্রাণ এই তিনটিকে কৰ্ম্মসংগ্রাহক [কৰ্ম্মসঞ্চয়কারক] বলিয়া নির্দ্দেশ করা যায়। ঐ তিনটি হইতেই ইন্দ্রিয়, শব্দাদিবিষয়, অর্থপ্রকাশকতা শক্তি, চেতনা, মন, প্রাণ, অপান ও অন্নাদিপরিপাক উৎপন্ন হইয়া থাকে। চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক এই পাঁচ ইন্দ্রিয় চিত্ত হইতে সমুৎপন্ন হয়। চিৎপ্রতিবিম্বসংযুক্ত চেতনাবৃত্তি তিন প্রকার; সুখযুক্ত, দুঃখযুক্ত ও সুখদুঃখবিরহিত। রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ ও মূৰ্ত্তি এই ষড়্গুণদ্বারা মনুষ্যের যাবজ্জীবন জ্ঞানসিদ্ধি হইয়া থাকে। শ্রোত্রাদিই স্বর্গসাধন কৰ্ম্ম, ব্রহ্মলোকপ্রদ সন্ন্যাস ও তত্ত্বার্থবিনিশ্চয়ের নিদান। পণ্ডিতেরা তত্ত্বনিশ্চয়কে মোক্ষলাতের বীজস্বরূপ এবং বুদ্ধিকে ব্রহ্মলাভের কারণ বলিয়া নির্দ্দেশ করিয়া থাকেন। যে ব্যক্তি এই সমুদয় গুণকে আত্মভাবে দর্শন করেন, তাঁহাকে অসম্যক [অসম্পূর্ণ] দর্শননিবন্ধন অনন্ত দুঃখভোগ করিতে হয়। আর যাহারা দৃশ্যপদার্থ কখন আত্মা হইতে পারে না, বিবেচনা করিয়া অহঙ্কার ও মমতা পরিত্যাগ করে, তাহাদিগের সাংসারিক দুঃখ নিরাশ্রয় হইয়া তাহাদিগকে পরিত্যাগ করে।
মোক্ষবিষয়ে সন্ন্যাসের উৎকর্ষ
‘হে মহারাজ! উৎকৃষ্ট ত্যাগশাস্ত্রপ্রভাবেই মনের সন্দেহ দূর হয়। আমি তোমার নিকট সেই শাস্ত্রের মত কীৰ্ত্তন করিতেছি, শ্রবণ কর; উহা তোমার মোক্ষলাভোপযোগী হইবে। মোক্ষলাভার্থী মহাত্মাদিগের কর্ম্মত্যাগ করাই অকৰ্ত্তব্য। যাঁহারা সুশিক্ষিত হইয়াও ত্যাগপরাঙ্মুখ হয়েন, তাঁহাদিগকে সতত ক্লেশভোগ করিতে হয়। পণ্ডিতেরা দ্রব্যত্যাগের নিমিত্ত যজ্ঞাদি কার্য্য, ভোগত্যাগের নিমিত্ত ব্রত, সুখত্যাগের নিমিত্ত তপস্যা ও সমুদয় ত্যাগের নিমিত্ত যোগসাধন করিতে উপদেশ প্রদান করিয়া থাকেন। সৰ্ব্বত্যাগই ত্যাগের পরাকাষ্ঠা। মহাত্মারা দুঃখ নিরাকরণের নিমিত্ত সৰ্ব্ব ত্যাগের পথস্বরূপ যোগবিষয় নির্দ্দিষ্ট করিয়া গিয়াছেন। যাঁহারা এই সন্ন্যাসধর্ম্ম আশ্রয় না করেন, তাঁহাদিগকে নিরন্তর দুর্গতি ভোগ করিতে হয়। মন ও কর্ণনেত্রাদি জ্ঞানেন্দ্রিয়সমুদয় বুদ্ধিতে অবস্থান করিতেছে। আর প্রাণ এবং আকুঞ্চনাদি [সঙ্কোচ-প্রসারণ] সম্পাদক হস্ত, গতিসম্পাদক চরণ, অপত্যোৎপাদক আনন্দজনক উপস্থ [জননেন্দ্রিয়], মলত্যাগসম্পাদক পায়ু ও শব্দসম্পাদক বাক্য এই সমুদয় কৰ্ম্মেন্দ্রিয় মনে অবস্থিত রহিয়াছে। বুদ্ধিমান্ ব্যক্তি ইহা বিবেচনা করিয়া অচিরাৎ বুদ্ধির সহিত মনকে পরিত্যাগ করিবে।
ইন্দ্রিয়ের ভোগবৈষম্যে আত্মার নানাত্মজ্ঞান
‘হে মহারাজ! যেমন শ্রবণজ্ঞানে কর্ণ, শব্দ ও চিত্ত এই তিনটি কারণ, তদ্রূপ স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধজ্ঞানেরও তিন-তিন কারণ বিদ্যমান আছে। ঐ পঞ্চদশ গুণদ্বারাই শব্দাদিজ্ঞান উৎপন্ন হইয়া থাকে। ঐ পঞ্চদশ গুণ আবার সত্ত্ব, রজঃ ও তমোভেদে তিন-তিন প্রকার হইয়া থাকে। সত্ত্বগুণপ্রভাবে লোকের মনে অকস্মাৎ বা কোন কারণবশতঃ হর্ষ, সুখ ও শান্তি প্রভৃতি আবির্ভূত হয়। রজোগুণপ্রভাবে অসন্তোষ, পরিতাপ, শোক, লোভ ও অক্ষমার উদয় হয় এবং তমোগুণপ্রভাবে অবিবেক, মোহ, প্রমাদ, স্বপ্ন ও তন্দ্রার উৎপন্ন হইয়া থাকে। যে ভাব লোকের শরীর ও মনের প্রীতিকর হয়, তাহার নাম সাত্ত্বিক ভাব; যে ভাব শরীর ও মনের অসন্তোষজনক, তাহার নাম রাজসিক ভাব; আর যে ভাবদ্বারা লোকের মোহ উৎপন্ন হয়, তাহার নাম তামসিক ভাব। এই ভাবত্রয়ের মধ্যে সাত্তিক ভাব উপাদেয় ও অন্য ভাবদ্বয় হেয়। শ্রোত্র আকাশাখ্য ভূতস্বরূপ, শব্দ ঐ আকাশের আশ্রয়। সুতরাং আকাশ ও শ্রোত্র শব্দের আধার। শব্দবিজ্ঞান, আকাশ ও শ্ৰোত্ৰজ্ঞানের কারণ নহে। কিন্তু যদি আধারাধেয়ের [স্থিতিস্থান স্থিতিমানের—যে স্থানে থাকে ও যে থাকে, এই উভয়ের] ঐক্য স্বীকার করা যায়, তাহা হইলে শব্দবিজ্ঞানকে আকাশ. ও শ্ৰোত্ৰজ্ঞানের কারণ বলিয়া নির্দ্দেশ করা যাইতে পারে; এইরূপ ত্বক্ বায়ুনামক, চক্ষু তেজোনামক, জিহ্বা জলনামক ও নাসিকা পৃথিবীনামক ভূতস্বরূপ। ত্বক ও বায়ু স্পর্শের, চক্ষু ও তেজ রূপের, জিহ্বা ও জল রসের এবং নাসিকা ও পৃথিবী গন্ধের আশ্রয়। স্পর্শাদি জ্ঞান ত্বক ও বায়ু প্রভৃতি জ্ঞানের কারণ নহে, কিন্তু আধার-আধেয়ের ঐক্য স্বীকার করিলে স্পর্শাদি জ্ঞানকে ত্বক্ ও শব্দাদি জ্ঞানের কারণ বলিয়া নির্দ্দেশ করা যাইতে পারে। এই পঞ্চজ্ঞানেন্দ্রিয় ও পঞ্চ বিষয়, এই দশ পদার্থে মন অবস্থান করিতেছে। কারণ, বিষয়ে ইন্দ্রিয়সংযোগ হইবামাত্র উহা মনে প্রকাশিত হইয়া থাকে। সুষুপ্তিসময়ে জাগ্ৰদবস্থার ন্যায় ইন্দ্রিয়, বিষয়, মন ও বুদ্ধি ইহারা একত্র সমবেত থাকে না; কিন্তু তন্নিবন্ধন যে আত্মার নাশ হয়, ইহা বিবেচনা করা বিধেয় নহে। কারণ, সুষুপ্তি তমোগুণের কার্য্য। উহাতে ইন্দ্রিয়সমুদয় কেবল কাৰ্য্যক্ষম হইয়া থাকে। যদি তাহা না হইত, তাহা হইলে সুষুপ্তিভঙ্গের পর পূর্ব্বের ন্যায় পুনরায় ইন্দ্রিয়, বিষয়, মন ও বুদ্ধি একত্র সমবেত হইত না। স্বপ্নবস্থাতে লোকের পূর্ব্বকৃত দর্শন ও শ্রবণাদিজনিত সংস্কার প্রভাবে ইন্দ্রিয়গণের বিষয়সম্বন্ধ চিন্তানিবন্ধন দর্শনাদি জ্ঞান জন্মিয়া থাকে। অতএব স্বপ্নবস্থাতেও জাগ্রদবস্থার ন্যায় ইন্দ্রিয়, বিষয়, মন ও বুদ্ধি একত্র সমবেত হয়। যে সময় তমোগুণসমাচ্ছন্ন চিত্ত আত্মার প্রবৃত্তিপ্রকাশ সংহারপূৰ্ব্বক ইন্দ্রিয়গণকে বিষয় হইতে উপরত [নিবৃত্ত] করে, সেই সময়কে সুষুপ্তির সময় বলিয়া নির্দ্দেশ করা যায়। সুষুপ্তি তমোগুণের কার্য্য। লোকে তমোগুণপ্রভাবেই মোহে অভিভূত হইয়া বেদনিন্দিত কৰ্ম্মের পরিণাম দুঃখ বিবেচনা না করিয়া উহার অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হয়।
গুণসাম্যে তত্ত্বজ্ঞানোদয়
‘এই আমি তোমার নিকট গুণসমুদয় কীৰ্ত্তন করিলাম। লোকে ঐ সমুদয় গুণের বশীভূত হইয়া বিবিধ কাৰ্য্যের অনুষ্ঠান করে। কেহ কেহ ঐ গুণসমুদয়ের দ্বারা সম্যকরূপে আক্রান্ত হয় এবং কেহ কেহ বা উহা পরিত্যাগ করিয়া থাকে। অধ্যাত্মচিন্তাপরায়ণ পণ্ডিতেরা ঐ পূর্বোক্ত মন ও ইন্দ্রিয়াদির একত্র সংযোগকে ক্ষেত্র বলিয়া নির্দ্দেশ করেন। আর ঐ ক্ষেত্রের মূলীভূত মনোমধ্যে যে আত্মা অবস্থান করেন, তিনিই ক্ষেত্রজ্ঞ বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকেন। অতএব যখন সৰ্ব্বভূতে অবস্থিত আত্মা দেহাদি হইতে ভিন্ন হইলেন, তখন দেহাদির নাশনিবন্ধন তাহার নাশ, কিরূপে সম্ভবপর হইতে পারে? ক্ষুদ্র নদী যেমন মহানদীতে এবং মহানদী যেমন সাগরে প্রবেশপূৰ্ব্বক স্বীয় স্বীয় নামরূপ পরিত্যাগ করিয়া উহাতে লীন হয়, তদ্রূপ জীবের স্থূল উপাধিসকল সূক্ষ্মে এবং সূক্ষ্ম উপাধিসমুদয় শুদ্ধ আত্মাতে বিলীন হইয়া থাকে। জীব যখন উপাধিযুক্ত থাকে, তৎকালেই তাহাকে স্থূল, কৃশ প্রভৃতি বলিয়া নির্দ্দেশ করা যায়, কিন্তু যখন তাহার উপাধিসমুদয় শুদ্ধ আত্মায় লীন হয়, তৎকালে কিরূপে পূর্ব্বের ন্যায় স্থূল, কৃশাদি বলিয়া নির্দ্দেশ করা যাইতে পারে? যে ব্যক্তি এই মোক্ষবিষয়িণী বুদ্ধি পরিজ্ঞাত ও অপ্রমত্ত হইয়া আত্মাকে জানিতে ইচ্ছা করেন, সলিলসিক্ত পদ্মপত্র যেমন জলে লিপ্ত হয় না, তদ্রূপ তাঁহাকেও অনিষ্টকর কৰ্ম্মফলে লিপ্ত হইতে হয় না। যে ব্যক্তি যজ্ঞাদি-ক্রিয়া ও অপত্যাদির স্নেহপাশ হইতে বিমুক্ত হইয়া সুখদুঃখ পরিত্যাগ করিতে পারেন, তিনিই সংসার হইতে বিমুক্ত ও লিঙ্গশরীরবিহীন হইয়া উৎকৃষ্ট গতি লাভ করিতে পারেন। আগমোক্ত মঙ্গলসাধন শমদমাদিদ্বারা লোকের পাপপুণ্য ক্ষয় ও তজ্জনিত ফলসমুদয় বিনষ্ট হইলে, সে জরা-মৃত্যু হইতে ভীত না হইয়া সুস্থচিত্তে কালাতিপাত এবং আকাশের ন্যায় নির্লিপ্ত অশরীরী পরমব্রহ্মকে বুদ্ধিতত্ত্বে প্রত্যক্ষ করিতে সমর্থ হয়। ঊর্ণনাভ [মাকড়সা] যেমন তন্তুময় [মাকড়সা] গৃহে বাস করে, অবিদ্যাবশীভূত জীব তদ্রূপ কর্ম্মময় গৃহে অবস্থান করিয়া থাকে। আর ঊর্ণনাভ যেমন তন্তুময় গৃহ পরিত্যাগে প্রবৃত্ত হয়, তদ্রূপ বিমুক্ত পুরুষ কর্ম্মময় গৃহ পরিত্যাগ করিয়া থাকেন। কৰ্ম্ম পরিত্যাগ করিতে পারিলেই লোকের দুঃখসন্ততি [দুঃখধারা] পাষাণসংঘট্টিত [পাথরে ঘোঁটা] পাংশুপিণ্ডের [ধূলিস্তুপের] ন্যায় বিনষ্ট হইয়া যায়। মৃগগণ যেমন শৃঙ্গ ও উরগগণ যেমন নির্ম্মোক পরিত্যাগ করে, তদ্রূপ মুক্ত ব্যক্তিরা অনায়াসে দুঃখত্যাগ করিয়া থাকেন। পক্ষী যেমন সলিলপতনোন্মুখ [জলে পড়-পড়] বৃক্ষ পরিত্যাগ করিয়া উড্ডীন হয়, তদ্রূপ মুক্ত ব্যক্তি সুখদুঃখ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক সৰ্ব্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠস্থানে গমন করিয়া থাকেন। মিথিলানগরী দগ্ধ হইতে আরম্ভ হইলে তোমার পূর্ব্বপুরুষ মহর্ষি জনক কহিয়াছিলেন যে, এক্ষণে আমার কিছুই দগ্ধ হইতেছে না।
“হে যুধিষ্ঠির! বিদেহাধিপতি মহারাজ জনদেব ভগবান্ পঞ্চশিখের মুখে এইরূপ অমৃতময় বাক্যসমুদয় শ্রবণ ও উহার মৰ্ম্মাবধারণপূৰ্ব্বক তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিয়া শোকহীনচিত্তে পরমসুখে বিহার করিতে লাগিলেন। যে ব্যক্তি এই মোক্ষজ্ঞানাত্মক বিষয় পাঠ বা সতত ইহার পর্য্যালোচনা করেন, তিনি দুঃখবিহীন ও নিরুপদ্রব হইয়া পঞ্চশিখকর্ত্তৃক অনুগৃহীত জনদেবের ন্যায় মোক্ষলাভে সমর্থ হয়েন।”