দূত মুখে বার্ত্তা পেয়ে পাঞ্চালাধিকারী।
দুহিতা হইবে মম রাজ্য-পাটেশ্বরী।।
ধৃষ্টদ্যুন্ন শিখণ্ড্যাদি হৈয়ে হৃষ্টচিত।
যজ্ঞ-অঙ্গ-দ্রব্য সব সাজায় ত্বরিত।।
চতুর্দ্দশ-সহস্র সেবকী মনোরমা।
সুধাংশুবদনী পদ্মনয়নী সুশ্যামা।।
অনেক লইল দাস দাসী সমুদয়।
সহস্রেক গাভী নিল মনোরম কায়।।
যুগল সহস্র বাজী, গতি বায়ু সম।
বহু বহু দ্রব্য নিল বাছিয়া উত্তম।।
সর্ব্বরাজ্য দিব, হেন বিচারিল মনে।
সহ দ্বারা চলে রাজা যজ্ঞের সদনে।।
চতুরঙ্গ-দলে আর প্রজা চারি জাতি।
নানাবাদ্য শব্দে যার কাঁপে বসুমতী।।
ইন্দ্রপ্রস্থে উপনীত হৈল পূর্ব্ব-দ্বারে।
বেত্র দিয়া ইন্দ্রসেন রাখিল তাহারে।।
রহ রহ ক্ষণেক পাঞ্চাল-অধিকারী।
রাজাজ্ঞা পাইলে দ্বার ছাড়িবারে পারি।।
এক্ষণে আসিবে সহদেব ধনুর্দ্ধর।
তার হাতে বার্ত্তা দিব রাজার গোচর।।
ইন্দ্রসেন বচনেতে রহে নৃপবর।
হেনকালে আইলেন মাদ্রীর কোঙর।।
দ্রুপদে দেখিয়া গেল রাজার গোচর।
ধর্ম্মরাজে জানাইল শিরে দিয়া কর।।
দাস দাসী আর আনে রত্ন অগণন।
অশ্ব হস্তী আনে সবে বিবিধ বরণ।।
আজ্ঞা পেলে আসি হেথা করে দরশন।
শুনিয়া দিলেন আজ্ঞা ধম্মের্র নন্দন।।
হস্তী অশ্ব পশু আদি যত রত্ন ধন।
দুর্য্যোধন-ভাঞ্চারীরে কর সমর্পণ।।
দাস দাসী সমর্পহ দ্রৌপদীর স্থানে।
পুত্র সহ হেথা লৈয়া আইস রাজনে।।
আজ্ঞা পেয়ে সহদেব করিল তেমনি।
যেই মত আজ্ঞা করিলেন তেমনি।।
সপুত্র ভিতরে গেল পাঞ্চাল-ঈশ্বর।
সঙ্গেতে চলিল কত শত নৃপবর।।