জবানবন্দি জের
সন্ধ্যার দিকে সুব্রত ও কিরীটীর মধ্যে আলোচনা চলছিল।
কিরীটী বলছিল, রায়পুরের হত্যা-মামলার প্রসিডিংসের ভিতর থেকে যতটুকু তুই পড়েছিস ও যে যে পয়েন্টগুলো নোট করে এনেছিস, সেগুলো আগাগোড়া বেশ ভাল করেই পড়ে দেখলাম, সমস্ত ব্যাপারটা বিবেচনা করে দেখলে কয়েকটা অত্যন্ত স্থূল অসংগতি আমাদের চোখে পড়ে।
সুব্রত প্রশ্ন করে, কি রকম?
কিরীটী বলে, প্রথমত এই ধর—১নং… তারিখের জবানবন্দি, যে সময় আসামী ডাঃ সুধীন চৌধুরী প্রথমে অস্বীকার করছে আদালতে জেরার সময়, গত ৩১শে মে স্টেশনে তার হাতে বাক্সের কত কিছু ছিল না বলে। অথচ আবার জেরার মুখে দিন দুই পরে সতীনাথবাবুর জবানবন্দিতে প্রকাশ পাচ্ছে, সুধীনের হাতে নাকি একটা কালো রংয়ের মরোক্কো-বাঁধাই ছোট্ট কেস ছিল এবং বিপক্ষের উকিলের জেরায় সে কথা সেদিন স্বীকারও করে নিল যে তার হাতে একটা কেস ছিল। এখন কথা হচ্ছে,কেন আসামী সুধীন চৌধুরী প্রথম দিনের জেরার সময় ঐ কথাটা অস্বীকার করলে? কি এমন তার কারণ থাকতে পারে? স্বাভাবিক বুদ্ধিমত বিচার করতে গেলে, তার এই অস্বীকারের মধ্যে দুটো কারণ থাকতে পারে, ১নং, হয় আসামীর সেকথা জবানবন্দি সময় আদপে সত্যই মনে হয়নি এবং ব্যাপারটার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু থাকতে পারে বলে সে ভাবেওনি। ২নং, হয়ত কোনো বিশেষ কারণেই প্রথম হতে আসামী সুধীন চৌধুরী ব্যাপারটা চেপে যাবার প্রয়াস পেয়েছে। এখন যদি ব্যাপারটার একটা আপাত মীমাংসা হিসাবে প্রথম কারণটা ছেড়ে দিয়ে আমরা দ্বিতীয় কারণটাই ধরে নিই, তাহলে আসামীর বিরুদ্ধে সেটা যাচ্ছে এবং তার সত্যাসত্যের একটা বিশেষ মীমাংসার প্রয়োজনও হচ্ছে আমাদের দিক হতে এখন—সত্যি কিনা?
সুব্রত মাথা হেলিয়ে সম্মতি জানায়। কিরীটী আবার তখন বলতে শুরু করে, তাহলে দাঁড়াচ্ছে, মামলার প্রসিডিংসের মধ্যে ১নং উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট:ছোট মরোক্কো বাঁধাই কেসটা, ২নং পয়েন্ট: এই মরোক্কো কেসটা সম্পর্কে প্রথমে সুধীনের অস্বীকার ও পরে স্বীকৃতি।
সুব্রত প্রশ্ন করে, আচ্ছা কিরীটী,ডাঃ মিত্রের জবানবন্দী সম্পর্কে তোর কি মনে হয়?
ডাঃ মিত্র সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন বলেই আমার ধারণা এবং আগাগোড়াই বিপক্ষের কারসাজি। সুধীন চৌধুরীকে ডাঃ মিত্র শুধু যে চিনতেন তাই নয়, বেশ ভাল ভাবেই চিনতেন। কিরীটী মৃদু অথচ কঠিন স্বরে জবাব দেয়।
***
পরের দিন জাস্টিস্ মৈত্রের বাড়িতে।
সুব্রত ঠিক আগের দিনের মতই গতকালের দেখা ফাইলের পরবর্তী অংশটুকু দেখছিল পড়ে।
আদালতে জেরা চলছিল আবারও সেদিন আসামী ডাঃ সুধীন চৌধুরীর ব্যাঙ্ক-ব্যালান্স সম্পর্কেই। সেই পুরাতন প্রশ্নের জের। প্রশ্ন করছিলেন রায়বাহাদুর অনিমেষ হালদার, সুধীনের পক্ষের উকিল।
ধর্মতলার জেনারেল অর্ডার সাপ্লায়ার বোস এ্যাণ্ড চৌধুরী কোম্পানী সম্পর্কে আপনি কিছু জানেন, ডাঃ চৌধুরী?
জানি, কারণ ওয়াকিং পার্টনার আমিই ছিলাম বোস এ্যাণ্ড চৌধুরী কোম্পানীর।
আপনাদের কোম্পানী কি ধরনের অর্ডার সাপ্লাই করত সাধারণত?
আমরা বড় বড় ফার্মাসিউটিস্টদের কাছ থেকে উচ্চহারের কমিশনে রীটেলে ওষুধ ও . পারফিউমারী কিনে সেই সব কলকাতার বিভিন্ন ঔষধ প্রতিষ্ঠানে সাপ্লাই করতাম।
উক্ত কোম্পানীতে আপনার লভ্যাংশের কি টার্মস্ ছিল?
নীট লাভের একের-তিন অংশ আমি পাব, এই চুক্তি ছিল।
কত দিন ধরে ঐ কোম্পানীর সঙ্গে আপনি সংশ্লিষ্ট ছিলেন?
তা বছর দেড়েক হবে।
আপনাদের কোম্পানীর কাগজপত্র চেক করে দেখেছি, মাসে হাজার দুহাজার টাকার মত আপনাদের কোম্পানীর নিট লাভ থাকত, এবং এও দেখেছি তিন মাস অন্তর আপনাদের হিসাবনিকাশ হত। তাই যদি হয়ে থাকে তবে অন্তত পাঁচবার লাভের অংশ আপনি পেয়েছেন, কেমন কিনা?
পেয়েছি। দুবার মাত্র পেয়েছি।
দুবারে কত পেয়েছেন?
হাজার সাতেক হবে।
সে টাকা আপনি কি করেছিলেন?
ব্যাঙ্কেই জমা রেখেছিলাম।
এমন সময় সন্তোষবাবু প্রশ্ন করলেন, ডাঃ চৌধুরী, আপনার ব্যাঙ্কের জমাখরচ থেকে জানা যায় ২৭শে এপ্রিল নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ৫ই মে আবার নগদ পাঁচ হাজার টাকা। আপনি আপনার অ্যাকাউন্টে ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছেন, অত টাকা আপনি একসঙ্গে কোথায় নগদ পেলেন ঐ অল্প সময়ের মধ্যে বলবেন কি?
আপনাকে তো আগেই বলেছি মিঃ ঘোষাল, আপনার ও প্রশ্নের জবাব দিতে আমি ইচ্ছুক নই।
এবারে আবার রায়বাহাদুর প্রশ্ন করলেন, ডাঃ চৌধুরী, ২১শে এপ্রিল বোস অ্যাণ্ড চৌধুরীর লেজার বুকে আপনার নামের against-এ যে পাঁচ হাজার টাকা credit দেখানো হচ্ছে আপনার ব্যবসার কোনো একটা বড় order supply-র ব্যাপারে লভ্যাংশ হিসাবে, সে টাকাটা আপনি কি করেছিলেন? আপনি যে একটু আগে বলছিলেন দুবার মাত্র কোম্পানী থেকে আপনি লভ্যাংশ পেয়েছেন—এই পাঁচ হাজার টাকাটা কি তারই মধ্যে একবার?
আমার ঠিক মনে নেই।
বেশ, তবেসেদিন আপনি আমার মাননীয় বন্ধু মিঃঘোষালের প্রশ্নের জবাবেকেন বলেছিলেন একমাত্র ব্র্যাকটিস ও ডিসপেসারী ছাড়া আপনার অন্য কোনো savings বা income ছিল না? মিথ্যে কথা বলেছিলেন—না ইচ্ছে করেই কথাটা গোপন করেছিলেন, বলবেন কি?
কোনো একটা বিশেষ কারণেই কথাটা আমায় সেদিন গোপন করতে হয়েছিল।
বেশ, তবে আবার স্বীকার করলেন কেন? মিঃ ঘোষাল প্রশ্ন করলেন।
যে কারণে সেদিন আমায় কথাটা গোপন করতে হয়েছিল, আজ আর সেই কারণ নেই, তাই স্বীকার করেছি।
কারণটা কি আদালতকে জানাবেন? প্রশ্ন করলেন মিঃ ঘোষাল।
না, সেটা প্রকাশ করতে আমি বাধ্য নই। আসামী সুধীন চৌধুরী জবাব দেয়।
সুব্রত মনে মনে ভাবে, আশ্চর্য! সুধীন চৌধুরী যেন কতকটা ইচ্ছে করেই নিজের প্রশ্নের জালে নিজে জড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু কেন? নিজের ভাল-মন্দটাও কি সে নিজে বোঝে না?
সুব্রত আবার পাতা উল্টিয়ে যায়।
আবার এক জায়গায় সন্তোষ ঘোষাল প্রশ্ন করছেন আসামী সুধীন চৌধুরীকে, ডাঃ চৌধুরী, আপনি কবে জানতে পারেন যে সুহাস মল্লিক অসুস্থ?
সুহাস এবারে অসুস্থ হয়ে কলকাতায় আসবার আগেই তার এক পত্রে তার অসুস্থতার সংবাদ জানতে পারি।
ছোট কুমার মানে সুহাসবাবু আপনাকে সেই চিঠিতে কি লিখেছিলেন?
লিখেছেন ট্রেন থেকেই সে অসুস্থ হয় এবং অসুখ ক্রমেই বেড়ে চলেছে, ডাঃ কালীপদ মুখার্জী সে সংবাদ পেয়ে রায়পুর গেছেন।
আপনি তার কি জবাব দেন?
তাকে যত শীঘ্র সম্ভব কলকাতায় চলে আসবার জন্য লিখেছিলাম।
এই সময় ডাঃ সুধীন চৌধুরীর পক্ষের উকিল রায়বাহাদুর প্রশ্ন করলেন, হঠাৎ আপনি তাকে কলকাতায় আসতে লিখলেন কেন? যতদূর আমরা জানি ডাঃ মুখার্জী তো একজন বেশ নামকরা ডাক্তার।
আমি তা জানি।
তবে?
আপনারা হয়তো জানেন না, এবারে অসুস্থ হওয়ার কিছুদিন আগে একবার সুহাসের টিটেনাস হয়েছিল। সে-সময়ও ডাঃ মুখাজীই তাকে দেখেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সুবিধা হয়নি, পরে সে সংবাদ পেয়ে আমিই তাকে কলকাতায় আনিয়ে ডাঃ সেনগুপ্তকে দিয়ে চিকিৎসা করবার ব্যবস্থা করেছিলাম।
আপনি কি তাহলে বলতে চান, ডাঃ মুখার্জীর মত প্রথিতযশা একজন ডাক্তার সামান্য টিটেনাস রোগটাও ধরতে পারেননি?
না, এমন কথা তো আমি বলিনি!
তবে?
বড় ডাক্তার যে সব সময়ই ঠিক ঠিক রোগ নির্ণয় করবেন তার কী মানে আছে, ভুলও তত হতে পারে! খুব অস্বাভাবিক তো নয়!
শুধু কি এটাই একমাত্র কারণ সুহাসবাবুকে কলকাতায় আসবার জন্য আপনার চিঠি লেখবার?
ডাঃ সুধীন চৌধুরী এবারে যেন বেশ একটু ইতস্ততই করতে থাকে।
জবাব দিন?
হ্যাঁ। তাছাড়া আর কিছু না হোক, কলকাতায় এলে প্রয়োজনমত আরও দু-চারজন বড় ডাক্তারকে কনসাল্ট তো করা যেতে পারে, তাই।
আচ্ছা, সুহাস মল্লিকের সঙ্গে কি আপনার নিয়মিত পত্রবিনিময় চলত ডাঃ চৌধুরী?
হ্যাঁ।
আপনার চিঠি পাওয়ার কতদিন পরে সুহাসবাবু কলকাতায় আসেন?
দিন পাঁচ-ছয় পরে বোধ হয়।
আপনার চিঠির জবাবে সুহাস মল্লিক আপনাকে কোনো পত্র দিয়েছিলেন?
না।
এমন সময় আবার ঘোষাল প্রশ্ন শুরু করলেন, আপনি জানতেন না সুহাস মল্লিকরা কবে এখানে আসছেন?
না।
আমি শুনেছি, যেদিন সুহাসবাবুরা কলকাতায় এসে পৌঁছন, সেই দিনই দ্বিপ্রহরের দিকে—আপনি ভবানীপুরে মল্লিক লজে সুহাসবাবুকে দেখতে যান, কথাটা কি ঠিক?
ঠিক।
আপনি থাকেন শ্যামবাজারে, আপনার বাড়িতে সে-সময় ফোনটা খারাপ ছিল, চিঠিও আপনি পাননি, তাছাড়া সংবাদ নিয়েছিকেউ আপনাকে সুহাসবাবুর আসবার সংবাদও দেননি, তবে কি করে আপনি জানলেন যে ঐদিনই সকালের ট্রেনে সুহাস কলকাতায় এসেছেন? সন্তোষ ঘোষাল প্রশ্ন করলেন।
যে ভাবেই হোক আমি সুহাসদের কলকাতায় পৌঁছবার বণ্টাখানেকের মধ্যেই খবরটা জানতে পারি।
ও, আপনার জবাব শুনে মনে হচ্ছে এখুনি যদি আমরা প্রশ্ন করি যে কি ভাবে সংবাদটা আপনি জানলেন, আগের মতই হয়তো বলে বসবেন, আমি জবাব দিতে প্রস্তুত নই, কেমন কিনা? Am I right?
ডাঃ সুধীন চৌধুরী সে প্রশ্নের কোনো জবাব দেয় না–চুপ করে থাকে। এবারে রায়বাহাদুর বলতে শুরু করেন, মিঃ লর্ড, যদি আমার মাননীয় বন্ধু মিঃ ঘোষারের প্রশ্ন শেষ হয়ে থাকে, তাহলে আমি ডাঃ চৌধুরীকে কতকগুলো প্রশ্ন করতে চাই।
জাস্টিস্ মৈত্র : প্রসিড!
ডাঃ চৌধুরী, রায়বাহাদুর হালদার প্রশ্ন শুরু করলেন, মামলা শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমার মাননীয় বন্ধু মিঃ ঘোষালের কতকগুলো গুরুতর প্রশ্নের জবাবে আপনি ইচ্ছাকৃত মৌনবৃত্তি অবলম্বন করেছেন। প্রশ্নগুলো—১নং, আপনার ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স দশ হাজার টাকা কোথা থেকে এল অর্থাৎ ঐ দশ হাজার টাকা আপনি কি ভাবে উপায় করেছেন, তার কোনো সদুত্তর দিতে আপনার অনিচ্ছা প্রকাশ : ২নং, আপনার একমাত্র ডাক্তারী প্র্যাকটিস্ ছাড়া আরও যে অর্থাগমের পথ ছিল সেকথা দ্বিতীয় দিন স্বীকার করবার পর আপনি বলেন কোনো একটা বিশেষ কারণেই নাকি কথাটা আগের দিন আপনি গোপন করেছিলেন; দ্বিতীয় দিন সব কথা স্বীকার করবার পর আবার বলেন, যদিও আপনাকে কথা অস্বীকার করতে হয়েছিল, পরে আর তার গোপন করবার নাকি কোনো প্রয়োজন ছিল না। অথচ কারণ যে কি তা আপনি জানাতে রাজী নন। ৩নং, শেষবার অসুস্থ অবস্থায় সুহাস মল্লিকের কলকাতায়। আসবার সংবাদ আপনি যে কি করে, কোন্ সূত্রে পেয়েছেন, তাও আপনি প্রকাশ করতে রাজী নন। একটা কথা নিশ্চয়ই আপনি ভুলে যাচ্ছেন না যে, অত্যন্ত রহস্যময় অথচ নিষ্ঠুর এক হত্যা-মামলার সঙ্গে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হোক, আপনি সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। অনুসন্ধানের ফলে যতটুকু জানা যায় তাতে অকুস্থানে আপনিও ছিলেন। এক্ষেত্রে আপনার সপক্ষে কিংবা বিপক্ষে অনেক প্রকার প্রশ্নই উঠতে পারে। কিন্তু বিশেষ বিশেষ প্রশ্নের যদি আপনি খেয়ালখুশিমত জবাব দেন, তাহলে স্বভাবতই আইন আপনাকে দোষী বলে মেনে নিতে বাধ্য হবে।
যে প্রশ্নের জবাব আমি দিইনি, সেগুলোর জবাব দেওয়া সত্যিই আমার পক্ষে সম্ভব নয় মিঃ হালদার। তাছাড়া আমার ধারণামত আপনাদের ঐ প্রশ্নগুলোর বর্তমানের এই মামলার সঙ্গে কোনো সংস্পর্শ আছে বলেই আমি মনে করি না। প্রশ্নগুলো সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার বলেই মনে করি।
.
সেই দিন রাত্রে আবার কিরীটী ও সুব্রত মিলিত হয়ে মামলাটা সম্পর্কে আলোচনা করছিল।
কিরীটীর হাতে একখানা নোটবুক। পর পর কতকগুলো পয়েন্ট কিরীটী সেই নোটবুকের মধ্যে লিখেছে। সেই পয়েন্টগুলো নিয়েই দুজনে পরস্পরের মধ্যে আলোচনা করছিল।
১নং : ৩১শে মে ডাঃ সুধীন চৌধুরী যখন সুহাসকে ট্রেনে তুলে দিতে যায়, তার হাতে একটা মরক্কো-বাঁধাই ছোট কেস ছিল, এবং যার অস্তিত্ব সম্পর্কে প্রথম দিন সে অস্বীকার করে। কিন্তু পরে জেরার মুখে আবার স্বীকার করে নেয়।
২নং : ডাঃ জগবন্ধু মিত্রের সুধীনের সঙ্গে কোনো পরিচয় ছিল সে কথাটা অস্বীকার করা।
৩নং: সুধীনের ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স দশ হাজার টাকার কোনো সন্তোষজনক কৈফিয়ত পাওয়া যায়নি।
৪নং : ডাঃ সুধীন চৌধুরী ও সুহাস মল্লিকের সঙ্গে পরস্পর পত্র-বিনিময় চলত।
৫নং : কি করে সুধীন শেষবার অসুস্থ অবস্থায় যেদিন সুহাস কলকাতায় চিকিৎসার জন্য আসে ঐদিনই তার আসবার সংবাদ পায়।
৬নং : ঐ ধরনের কতকগুলো প্রশ্নের সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায় সুধীনের ইচ্ছাকৃত অস্বীকার।
৭নং : নৃসিংহগ্রাম মহালে শ্রীকণ্ঠ মল্লিক মহাশয়ের অদৃশ্য আততায়ীর হাতে নিষ্ঠুর হত্যা। ৮নং : ঐ একই জায়গায় সুধীনের পিতার হত্যা।
৯নং : নায়েবজীর মৃত্যুশয্যায় কোনো একটি উইল সম্পর্কে তার পুত্রবধূ কাত্যায়নী দেবীকে ইঙ্গিত।
১০নং : রায়বাহাদুর রসময় মল্লিক, শ্ৰীকণ্ঠ মল্লিকের দত্তকপুত্র।
১১নং : কাত্যায়নী দেবীর পুত্রবধূ সুধীনের মা সুহাসিনী দেবীর মুখে শোনা রায়পুরের পুরাতন কাহিনী।
১২নং : ৩১শেমে শিয়ালদহস্টেশনেছাতাধারী একটি কালোলোকের আকস্মিক আবিভাব।
১৩নং : কালোলোকটির সেই ছাতাটি।