নিজের দুঃখের কথা ভাবলে বিপিনবাবু বেশ আনন্দ পান। যখনই ভাবেন, আহা আমার মতো এমন দুঃখী আর কে আছে, তখনই তাঁর চোখ ভরে জল আসে এবং মনটা ভারী হালকা হয়ে যায়। আর সেজন্যই বিপিনবাবু নিয়ম করে দু’বেলা ঘরের দরজা-জানলা এঁটে বসে নিজের দুঃখের কথা ভাবেন। ওই সময় বাড়ির লোক তাঁকে ভুলেও ডাকে না বা বিরক্ত করে না।
মাঘ মাস। নফরগঞ্জে হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। সন্ধের পর আর রাস্তাঘাটে মানুষ দেখা যায় না। কুকুর-বেড়ালটা পর্যন্ত পথে বেরোয় না। বিপিনবাবু নিজের ঘরে বসে একখানা ভারী বালাপোশে সর্বাঙ্গ ঢেকে খুবই আনন্দের সঙ্গে নিজের দুঃখের। ভাবতে শুরু করেছেন। ভাবতে-ভাবতে চোখে জল আসি-আসি করছে। মনটা বেশ হালকা হয়ে যাচ্ছে।
এই সময়ে বাইরে থেকে খনখনে গলায় কে যেন ডাকল, “বিপিনবাবু, আছেন নাকি? ও বিপিনবাবু..”
বিপিনবাবু ভারী বিরক্ত হলেন। এই শীতের সন্ধেবেলা আবার কে এল? গলাটা তো চেনা ঠেকছে না! দুঃখের কথা ভাবার বারোটা বেজে গেল। বিপিনবাবু হ্যারিকেনটা হাতে নিয়ে উঠে
দরজা খুলে বাইরে অন্ধকারে মুখ বাড়িয়ে বললেন, “কে? কে ডাকছে?”
“আজ্ঞে, এই যে আমি!” বলে অন্ধকার থেকে একটা লোক এগিয়ে এসে বারান্দায় উঠল।
হ্যারিকেনের আলোয় যেটুকু দেখা গেল তাতে মনে হল, লোকটি খুবই বুড়োমানুষ এবং বড় রোগা। মাথায় বাঁদুরে টুপি, গায়ে একটা লম্বা ঝুলের কোট, হাতে একখানা লাঠি।
বিপিনবাবু বিরক্ত হয়ে বললেন, “কোথা থেকে আগমন হচ্ছে?”
খনখনে গলায় লোকটি বলল, “বলছি মশায়, বলছি। কিন্তু শীতে যে হাত-পা সব কাঠ হয়ে গেল। একটু ঘরে ঢুকতে দেবেন
দিনকাল ভাল নয়। উটকো লোককে ঢুকিয়ে শেষে বিপদ ঘটাবেন নাকি? রোগা বা বুড়ো হলে কী হয়, হাতে লাঠি তো আছে। তা ছাড়া বাইরের লোককে ঘরে ঢোকাতে অন্যরকম আপত্তিও আছে বিপিনবাবুর। তিনি বিখ্যাত কৃপণ। তাঁর বাড়ির পিঁপড়েরাও খেতে না পেয়ে চিচি করে। এমনকী, এ-বাড়িতে কুকুর-বেড়াল নেই, কাকপক্ষীরাও বড় একটা আসে না। বাইরের লোক এলে পাছে লৌকিকতা করতে হয়, সেই ভয়ে বিপিনবাবু। বাইরে থেকেই সাক্ষাৎপ্রার্থীকে বিদেয় করে দেন। লোকে বিপিনবাবুকে চেনে, তাই আসেও না বড় একটা। বিপিনবাবু তাই দরজা আটকে দাঁড়িয়ে বললেন, “আমি ব্যস্ত আছি। সংক্ষেপে যা বলার বলুন।”
বিপিনবাবুর ঘোরতর সন্দেহ হল, লোকটা মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্য বা ছেলের বই কেনার টাকা না হয় ওরকমই কিছু চাইতে এসেছে।
লোকটা কিন্তু বড় সোজা লোক নয়। দরজা জুড়ে দাঁড়ানো বিপিনবাবুকে একটা গুতো মেরে সরিয়ে ঘরে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে বলল, “ওরে বাবা, এই শীতে কুকুর-বেড়ালটা পর্যন্ত পথে বেরোয়নি, আর আপনি এই বুড়োমানুষটাকে ঘরে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না, অ্যাাঁ! লোকে যে আপনাকে পাষণ্ড বলে তা তো এমনি বলে না মশায়!”
লোকটা বুড়ো হলেও হাতে-পায়ে দিব্যি জোর। কনুইয়ের অঁতো বিপিনবাবুর পাঁজরে এমন লেগেছে যে, তিনি ককিয়ে উঠে বুক চেপে ধরলেন। তারপর খেঁকিয়ে উঠে বললেন, “কে আমাকে পাষণ্ড বলে শুনি?”
“এখনও বলেনি কেউ? সে কী কথা! নফরগঞ্জের লোকেরা কি ভাল-ভাল কথা ভুলে গেল?”
বিপিনবাবু খুবই রেগে গিয়ে বললেন, “পাষণ্ড বললে তো আপনাকেই বলতে হয়। কনুই দিয়ে ওরকম তো যে দেয় সে অত্যন্ত হৃদয়হীন লোক। বুড়োমানুষ বলে কিছু বলছি না, তবে–”
লোকটা একটা কাঠের চেয়ারে জুত করে বসে হাতের লাঠিটা চেয়ারের গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখে বলল, “কী বললে, হৃদয়হীন? বাঃ, একথাটাও মন্দ নয়। তবে তোটা না দিলে তুমি তো আর আমাকে ঢুকতে দিতে না হে বাপু! তুমি আমাকে না চিনলেও আমি তোমাকে খুব চিনি। তুমি হলে হাড়কেল্পন বিপিনবিহারী রায়। তোমার বাড়িতে ভিখিরি কাঙাল আসে না। খরচের ভয়ে তুমি বিয়ে করে সংসারী অবধি হওনি।”
বিপিনবাবু এসব কথা বিস্তর শুনেছেন, তাই ঘাবড়ালেন না। বরং খাপ্পা হয়ে বললেন, “বেশ করেছি হাড়কেপ্পন হয়েছি। কেন হয়েছি তো নিজের পয়সায় হয়েছি। আপনার তাতে কী?”
লোকটা মৃদু-মৃদু মাথা নেড়ে বেশ মোলায়েম গলাতেই বলল, “তা অবশ্য ঠিক। তুমি কৃপণ তো তাতে আমার কী যায়-আসে। তবে বাপু, সত্যি কথা যদি শুনতে চাও আমি একজন পাকা কেন লোকই খুঁজে বেড়াচ্ছি। কাউকে তেমন পছন্দ হচ্ছে না। এই তুমি হলে তেরো নম্বর লোক।”
বিপিনবাবু দাঁত কড়মড় করে বললেন, “বটে! তা কেন দিয়ে কী করবেন শুনি! কেল্পনদের ফলারের নেমন্তন্ন করবেন নাকি?”
“ওরে সর্বনাশ! না না হে বাপু, ওসব নয়। একজন পাকাঁপোক্ত কেপ্লন আমার খুবই দরকার। কারণটা গুরুতর।“
বিপিনবাবু একটু বুক চিতিয়েই বললেন, “শুনুন মশাই, কৃপণ খুঁজতে আপনি খুব ভুল জায়গায় এসে পড়েছেন। আমি কস্মিনকালেও কৃপণ নই। একটু হিসেবি হতে পারি, কিন্তু কৃপণ কেউ বলতে পারবে না আমাকে। আমি রোজ সকালে মর্তমান কলা খাই, বাজার থেকে ভাল-ভাল জিনিস কিনে আনি, বছরে একজোড়া করে জুতো কিনি, আমার তিনটে ধুতি আর তিনটে জামা, দুটো গেঞ্জি আর একখানা আলোয়ান আছে। কৃপণ হলে হত এত সব? এবার আপনি আসুন গিয়ে। আমার এখন অনেক কাজ।”
লোকটা বাঁদুরে টুপির ফোকর দিয়ে ফোকলা মুখে একটু হেসে বলল, “মর্তমান কলা তো তোমার গাছেই হয়। যেগুলো কাঁদি থেকে খসে পড়ে সেইসব মজা কল্লা বাজারে বিক্রি হয় না বলে তুমি খাও। বাজারের কথা বললে, শুনে হাসিই পেল। বাজারে তুমি যাও একেবারে শেষে, যখন খদ্দের থাকে না। দোকানিরা যা ফেলেটেলে দেয় তাই তুমি রোজ কুড়িয়ে আনন। জুতো তুমি কেননা বটে, কিন্তু সে তোমার এক বুড়ি পিসি আদর করে তোমাকে কিনে দেয়। তোমার তিনটে জামা আর তিনটে ধুতির কত বয়স জানো? পাক্কা ছ’ বছর। আর গেঞ্জি দুটো ঘরমোছার ন্যাতা করলেই ভাল হয়। যাকগে, কৃপণ বলে নিজেকে স্বীকার করতে না চাইলে না করবে। কিন্তু স্বীকার করলে আখেরে লাভই হত। মেলা টাকাপয়সা এসে যেত হাতে।”
টাকাপয়সার কথায় বিপিনবাবু ভারী থতমত খেয়ে গেলেন। টাকাপয়সা ব্যাপারটাই তাঁকে ভারী উচাটন চনমনে করে তোলৈ। তিনি রাগটাগ ঝেড়ে ফেলে একটু নরম গলায় বললেন, “তা মশাইয়ের নামটা কী? কোথা থেকে আসা হচ্ছে?”
বুড়োমানুষটি ফোকলা মুখে ফের একটু হেসে বলল, “এই তো দেখছি ঠাণ্ডা হয়েছ। বলি বাপু, খামোখা মাথা গরম করে এত বড় দাঁওটা ফসকালে কি ভাল হত? যে তেরোজন কেল্পনকে বেছেছি তাদের মধ্যে জনাতিনেককে আমার বেশ পছন্দই হয়েছে। তবে বাপু, অত ধনরত্নের দায়িত্ব তো আর যাকে-তাকে দেওয়া যায় না। তাই ভাল করে সবাইকে পরীক্ষা করছি।”
বিপিনবাবু গলা আরও এক পরদা নামিয়ে বললেন, “ধনরত্ন! কীরকম ধনরত্ন?”
“ওঃ, সে ভাবতেও পারবে না। খাঁটি আকরি মোহরই হল সাত ঘড়া। তার ওপর বিস্তর হিরে, মুক্তো। এই দ্যাখো,”বলে লোকটি কোটের পকেট থেকে একটি মোহর আর একটি বেশ ঝলমলে ছোট্ট পাথর বের করে দেখাল। বলল, “এই হল নমুনা।”
“বলেন কী?” বিপিন একেবারে হাঁ।
“সত্যি কথাই বলছি।” টক করে মোহর আর হিরে পকেটে পুরে বলল লোকটা।
“তা সেসব কোথায় আছে?” লোকটা খ্যাঁক করে উঠে বলল, “আমাকে অত বোকা পাওনি যে ফস করে বলে ফেলব।”
“না, না, আপনাকে মোটেই বোকা বলে মনে হয় না।”
“বোকা নইও, বুঝলে, ধনরত্নের ঠিকানা বলে দিলেই তো আমার মাথায় ডাণ্ডা মেরে গিয়ে সব গাপ করবে।”
“আজ্ঞে না, কৃপণ হলেও আমি তো পাষণ্ড নই।”
“কিন্তু লোকে তোমাকে পাষণ্ডই বলে থাকে, তা জানো? যাকগে, তুমি পাষণ্ড হলেও কিছু যায় আসে না। ধনরত্ন যেখানে আছে সেখানে গিয়ে ফস করে হাজির হওয়াও সোজা নয়। সে খুব ভয়ঙ্কর দুর্গম জায়গা। এ শমা নিয়ে না গেলে বেঘোরে ঘুরে মরতে হবে।”
“যে আজ্ঞে। তা এবার একটু সবিস্তারে না বললে যে সবটা বড় ধোঁয়াটে থেকে যাচ্ছে। আপনার শ্রদ্ধেয় নামটিও যে এই পাপী কানে শুনতে পেলুম না এখনও।”
বুড়ো খিঁচিয়ে উঠে বলল, “থাক-থাক, আর অত বিনয়ের দরকার নেই। আমার নাম রামভজন আদিত্য। রামবাবু বা ভজনবাবু যা খুশি বলতে পারো।”
তবু বিপিনবাবু খুব বিনয়ের সঙ্গেই বললেন, “আচ্ছা, আপনি কি অন্তর্যামী? আমি যে সকালে মজা কলা খাই, আমার পিসি যে আমাকে একজোড়া করে জুতো দেয়, বাজারে গিয়ে ফেলা-ছড়া জিনিস কুড়িয়ে আনি, এসব তো আপনার জানার কথা নয়!”
“ধ্যাত, অন্তর্যামী হতে যাব কোন দুঃখে? আমি নফরগঞ্জে এসে একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম এই গাঁয়ে কৃপণ লোক কেউ আছে কি না। অমনই দেখলাম, আরও লোক জুটে গেল। তারা পঞ্চমুখে তোমার সব গুণকীর্তির কথা বলতে লাগল। কেউ-কেউ এমনও বলল যে, তোমার মতো পাষণ্ডের মুখ দেখলেও নাকি পাপ হয়।”
বিপিনবাবুর মাথায় রক্ত উঠে যাচ্ছিল। এত বড় সাহস নফরগঞ্জের লোকদের? নামগুলো জেনে নিয়ে–নাঃ, বিপিনবাবুর মাথাটা আচম্বিতে ফের ঠাণ্ডা হয়ে গেল। লোকগুলো তাঁর নিলে করে তো উপকারই করেছে! নইলে কি এই রামবাবু বা ভজনবাবু তাঁর কাছে আসতেন? বিপিনবাবু খুবই বিগলিত মুখ করে বললেন, “তারা মোটেই বাড়িয়ে বলেনি। বরং কম করেই বলেছে। তারা তা আর জানে না যে, আশপাশে লোকজন না থাকলে আমি জুতোজাড়া পা থেকে খুলে হাতে ঝুলিয়ে হাঁটি, অন্যদের মতো মাসে-মাসে চুল না হেঁটে আমি বছরে দু’বার ন্যাড়া হই, দাড়ি কামানোর মেলা খরচ বলে এই দেখুন ইহজন্মে আমি দাড়ি কামাইনি…”
ভজনবাবুকে খুশি করা কঠিন ব্যাপার। এতসব শোনার পরও তিনি অতিশয় জুলজুলে চোখে বিপিনবাবুর দিকে চেয়ে থেকে বললেন, “সবই বুঝলুম, তবে আরও একটু বাজিয়ে দেখতে হবে বাপু। যাকে-তাকে তো আর অত ধনরত্নের দায়িত্ব দেওয়া যায় না।”
বিপিনবাবু হাত কচলাতে কচলাতে বললেন, “আজ্ঞে, আপনার হল জহুরির চোখ। আশা করি আমাকে চিনতে আপনার ভুল হবে না।”
ভজনবাবুর ফোকলা মুখে একটু হাসি ফুটল, “এখনও ঠিক-ঠিক চিনেছি বলা যায় না। তবে যেন চেনা-চেনা ঠেকছে। এই যে আমি বুড়োমানুষটা এই বাঘা শীতের সন্ধেবেলা কাঁপতে কাঁপতে এসে হাজির হলুম, তা আমাকে এখন অবধি এক কাপ গরম চা-ও খাওয়াওনি। তুমি পাষণ্ডই বটে।”
বিপিনবাবু শিউরে উঠে বললেন, “চা! ওরে বাবা, সে যে সাঙ্ঘাতিক জিনিস! আগুন, চা-পাতা, চিনি, দুধ, অনেক বায়নাক্কা।”
ভজনবাবু খুব ভালমানুষের মতো মাথা নেড়ে বললেন, “তা তো অতি ঠিক কথাই হে বাপু। তবে কিনা সাত রাজার ধনদৌলত পেতে যাচ্ছ, তার জন্য একটু খরচাপাতি না হয় হলই।”
“তবে কি আমাকে আপনার পছন্দ হয়েছে?”
“তা তুমিই বা মন্দ কী?”
“যে আজ্ঞে, তা হলে চায়ের কথাটা মাসিকে বলে আসি।”
“সঙ্গে দুটো বিস্কুট।”
“বিস্কুট!” বলে থমকে দাঁড়াল বিপিনবাবু।
ভজনবাবু ফোকলা হেসে বললেন, “বিস্কুট শুনে মূর্ছা যাওয়ার কিছু নেই। চায়ের সঙ্গে বিস্কুট আমি পছন্দ করি।”
“যে আজ্ঞে, তা হলে আর কথা কী? বিস্কুট তো বিস্কুটই সই।”
“হ্যাঁ, আর ওইসঙ্গে রাতের খাওয়াটার কথাও বলে এসো। রাতে আমি মাছ-মাংস খাই না। লুচি, আলুর দম, ছোলার ডাল, বেগুনভাজা আর ঘন দুধ হলেই চলবে।”
বিপিনবাবু চোখ কপালে তুলে মূর্ছা যাচ্ছিলেন আর কী! নিতান্তই মনের জোরে খাড়া থেকে ভাঙা গলায় বললেন, “ঠিক শুনছি তো! না কি ভুলই শুনলাম।”
“ঠিকই শুনেছ।”
“ওরে বাবা! বুকটা যে ধড়ফড় করছে। হার্টফেল হয়ে মরে না যাই।”
ভজনবাবু গম্ভীর হয়ে বললেন, “তোমার হার্টফেল হলে বিদ্যাধরপুরের পাঁচুগোপাল আছে। তাকে আমার সবদিক দিয়েই পছন্দ ছিল। তোমাকে বাজিয়ে দেখে মনে হয়েছিল, তুমি তার চেয়েও সরেস। কিন্তু বুকের পাটা বলতে তোমার কিছু নেই।”
বিপিনবাবু সঙ্গে-সঙ্গে বুক চিতিয়ে বললেন, “কে বলল নেই! লুচি, আলুরদম, ছোলার ডাল, বেগুনভাজা আর ঘন দুধ তো! ওই সঙ্গে আমি আরও দুটো আইটেম যোগ করে দিচ্ছি, পাতিলেবু আর কাঁচালঙ্কা।”
“বাঃ বাঃ, এই তো চাই।”
“আমার হাসিরাশিমাসি রাঁধেও বড় ভাল।“
“আহা, বেশ, বেশ। আর শোনো, বিছানায় নতুন চাঁদর পেতে দেবে, একখানা ভাল লেপ। আমি আজেবাজে বিছানায় ঘুমোতে পারি না।”